জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ও কুসুম্বা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট তুলসীগঙ্গা (খাল) নদীটির উভয় পাড়ের কৃষকদের নানাভাবে উপকারে আসছে এখন। খালটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বৃষ্টির পানির সঙ্গে দুই পাড়ের জমির কাদা-মাটি নদীতে নেমে তা ভরাট হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন প্রকারের গাছপালা ও ঝোঁপঝাড়ের কারণে বর্ষার পানি দ্রুত নদীতে নেমে যেতে পারত না। কৃষকের লাগানো ফসল পানির নিচে অনেক দিন ধরে ডুবে থাকত। ফলে ক্ষতি হত ফসলের। চলতি বছর বর্ষা মৌসুমের আগে জয়পুরহাট বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (বিএমডিএ) তুলসীগঙ্গা খালটি পুনঃখনন করে। খননের কারণে বর্ষার পানি আর বাধাগ্রস্ত হয় না। সহজে নেমে যেতে পারে পানি। এতে কৃষকের ফসলের ক্ষতিও আর হচ্ছে না।
কলন্দপুর গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক সাইদুজ্জামান বলেন, এ খালের পাশে আমার জমি রয়েছে। খাল খননের আগে কয়েক বার বর্ষার পানিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। খালটি খননের কারণে বর্ষার পানি ২-৩ দিনের মধ্যেই জমি থেকে নেমে যাচ্ছে। ফলে ফসল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি আমরা। রামপুরা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত বলেন, বর্ষার পানি আগে খাল পাড়ের ফসলের জমিতে ১৫-২০ দিন ধরে আটকে থাকত। কিন্ত খননের পরে অতিদ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় ফসলের কোন প্রকার ক্ষতি হচ্ছে না।
জয়পুরহাট বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আল-মামুনুর রশিদ বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৬ কিমি. তুলসীগঙ্গা খাল পুনঃখননের কাজ করা হয়েছে। দুইপাড়ের মাটি ভেঙে না পরে সে কারণে খননের পরেই উভয় পাড়ের নতুন মাটিতে বিভিন্ন প্রকারের ২০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। চারা গাছ বড় হয়ে এখন শোভা বাড়িয়েছে তুলসীগঙ্গা নদীর।
শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭
আব্দুল হালিম সাবু, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ও কুসুম্বা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট তুলসীগঙ্গা (খাল) নদীটির উভয় পাড়ের কৃষকদের নানাভাবে উপকারে আসছে এখন। খালটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বৃষ্টির পানির সঙ্গে দুই পাড়ের জমির কাদা-মাটি নদীতে নেমে তা ভরাট হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন প্রকারের গাছপালা ও ঝোঁপঝাড়ের কারণে বর্ষার পানি দ্রুত নদীতে নেমে যেতে পারত না। কৃষকের লাগানো ফসল পানির নিচে অনেক দিন ধরে ডুবে থাকত। ফলে ক্ষতি হত ফসলের। চলতি বছর বর্ষা মৌসুমের আগে জয়পুরহাট বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (বিএমডিএ) তুলসীগঙ্গা খালটি পুনঃখনন করে। খননের কারণে বর্ষার পানি আর বাধাগ্রস্ত হয় না। সহজে নেমে যেতে পারে পানি। এতে কৃষকের ফসলের ক্ষতিও আর হচ্ছে না।
কলন্দপুর গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক সাইদুজ্জামান বলেন, এ খালের পাশে আমার জমি রয়েছে। খাল খননের আগে কয়েক বার বর্ষার পানিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। খালটি খননের কারণে বর্ষার পানি ২-৩ দিনের মধ্যেই জমি থেকে নেমে যাচ্ছে। ফলে ফসল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি আমরা। রামপুরা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত বলেন, বর্ষার পানি আগে খাল পাড়ের ফসলের জমিতে ১৫-২০ দিন ধরে আটকে থাকত। কিন্ত খননের পরে অতিদ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় ফসলের কোন প্রকার ক্ষতি হচ্ছে না।
জয়পুরহাট বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আল-মামুনুর রশিদ বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৬ কিমি. তুলসীগঙ্গা খাল পুনঃখননের কাজ করা হয়েছে। দুইপাড়ের মাটি ভেঙে না পরে সে কারণে খননের পরেই উভয় পাড়ের নতুন মাটিতে বিভিন্ন প্রকারের ২০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। চারা গাছ বড় হয়ে এখন শোভা বাড়িয়েছে তুলসীগঙ্গা নদীর।