প্রতারণা করে ১২ বিয়ে মাইক্রো চালকের

বিচার দাবিতে ৩ স্ত্রীর লিখিত অভিযোগ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রতারণা করে শফিকুল ইসলাম নামের এক মাইক্রো চালকের বিরুদ্ধে ১২টি বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার ওই প্রতারক স্বামীর বিচার ও স্ত্রী অধিকার চেয়ে বর্তমান ৫ স্ত্রীর মধ্যে তিন স্ত্রী সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রেস ক্লাব ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে প্রতারক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে, বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে মারধোর, বিভিন্ন কৌশলে স্ত্রীদের টাকা আত্মসাৎ, মুখ খুললে হত্যার হুমকিসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়।

জানা যায়, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের শোলাপ্রতীমা দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে মাইক্রোচালক শফিকুল ইসলাম (৪০) ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর মধুপুর উপজেলার ১নং কুড়ালিয়া ইউনিয়ন কাজী অফিসে ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আ. গফুরের মেয়ে বিউটি আক্তারকে বিয়ে করেন। ৮ মাস পর ২০১৯ সালের ৫ জুলাই প্রতারক শফিকুল ইসলাম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ৫, ৬, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে গাজীপুরের ভাওরাইদ গ্রামের রফিজ উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা আক্তারকে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। এরই ৫ মাস পর ওই প্রতারক টাঙ্গাইল পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে আকলিমা আক্তারকে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। এছাড়াও প্রতারক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সুমি, আখি, খালেদা, শিল্পী, কহিনুর, ফেরদৌসি এবং শরীফা আক্তারসহ আরও একাধিক বিয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযোগকারী বিউটি, খোদেজা ও আকলিমা আক্তার বলেন, শফিকুল প্রতারণা করে একে একে ১২টি বিয়ে করেছে। বর্তমানে আমরা তিনজনসহ তার ৫জন স্ত্রী আছে। প্রতারক শফিকুলকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। যেন আর কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করতে না পারে। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একাধিক বিয়ে করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আর কোন অভিযোগ সত্য নয়। এ ব্যাপারে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদিউজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর
তাড়াশে ৬শ’ হেক্টর রোপা আমন পানির নিচে : দিশেহারা কৃষক
তুলসীগঙ্গার ৬ কিমি. খননে দুই ইউপির কৃষকের ভাগ্য বদল
পাইকগাছা উপ-নির্বাচন আ’লীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
সুন্দরগঞ্জে মুজিব শতবর্ষে ৭৪ প্রা. স্কুলে শহীদ মিনার
বাঁশখালীতে কাউন্সিলরসহ ৯ জনের বাদীকে মামলা মামলা তুলতে বাদিকে হত্যার হুমকি
উচ্ছেদ আতঙ্কে আরও ৭০ দরিদ্র হিন্দু পরিবার
শত্রুতার জেরে দোকানে তালা : ২০ লক্ষাধিক টাকার ওষুধ নষ্ট হওয়ার উপক্রম
বালিয়াকান্দিতে এক কিশোরের আত্মহত্যা
শিকদারবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মেঘনার ভাঙনে বিলীনের আশঙ্কা
মোরেলগঞ্জে কৃষকের খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ
উগ্রবাদ সহিংসতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছেন সাংবাদিকরা
তাড়াশে সড়কে ঝরল মাদ্রাসাছাত্র

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭

প্রতারণা করে ১২ বিয়ে মাইক্রো চালকের

বিচার দাবিতে ৩ স্ত্রীর লিখিত অভিযোগ

প্রতিনিধি, সখীপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রতারণা করে শফিকুল ইসলাম নামের এক মাইক্রো চালকের বিরুদ্ধে ১২টি বিয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার ওই প্রতারক স্বামীর বিচার ও স্ত্রী অধিকার চেয়ে বর্তমান ৫ স্ত্রীর মধ্যে তিন স্ত্রী সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রেস ক্লাব ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে প্রতারক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে, বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে মারধোর, বিভিন্ন কৌশলে স্ত্রীদের টাকা আত্মসাৎ, মুখ খুললে হত্যার হুমকিসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়।

জানা যায়, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের শোলাপ্রতীমা দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে মাইক্রোচালক শফিকুল ইসলাম (৪০) ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর মধুপুর উপজেলার ১নং কুড়ালিয়া ইউনিয়ন কাজী অফিসে ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আ. গফুরের মেয়ে বিউটি আক্তারকে বিয়ে করেন। ৮ মাস পর ২০১৯ সালের ৫ জুলাই প্রতারক শফিকুল ইসলাম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ৫, ৬, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে গাজীপুরের ভাওরাইদ গ্রামের রফিজ উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা আক্তারকে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। এরই ৫ মাস পর ওই প্রতারক টাঙ্গাইল পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাজী অফিসে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে আকলিমা আক্তারকে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। এছাড়াও প্রতারক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সুমি, আখি, খালেদা, শিল্পী, কহিনুর, ফেরদৌসি এবং শরীফা আক্তারসহ আরও একাধিক বিয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযোগকারী বিউটি, খোদেজা ও আকলিমা আক্তার বলেন, শফিকুল প্রতারণা করে একে একে ১২টি বিয়ে করেছে। বর্তমানে আমরা তিনজনসহ তার ৫জন স্ত্রী আছে। প্রতারক শফিকুলকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। যেন আর কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করতে না পারে। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একাধিক বিয়ে করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আর কোন অভিযোগ সত্য নয়। এ ব্যাপারে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদিউজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।