চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ওষুধ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ওষুধ বিক্রয়কারী একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়ায় তাপ সংবেদনশীল এসব মূল্যবান ওষুধগুলো নষ্ট হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মহানগরের চান্দগাঁও শামসের পাড়ার আবদুল হামিদ শাহ রোডস্থ অবসরপ্রাপ্ত স:প্র: শিক্ষক আজিজুর রহমান ও তার ছোটভাই আতাউর রহমানের মালিকানাধীন মেসার্স মদিনা ফার্মেসিটি বিগত ২৬ দিন ধরে প্রতিপক্ষ বন্ধ করে দেয়ায় এসব ওষুধ নষ্ট হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। এদিকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট আতাউর রহমানের মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী সাজেদা বেগম রিনা বায়েজিদের ভাড়া বাসায় গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আতাউর রহমান প্রতিদিনের মতো খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লেও সকালে উঠে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ সময় রিনার বড়ভাইসহ এলাকার মানুষকে ফোনে ঘটনাটি অবগত করলেও আতাউরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনায় মিত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় সে কারাবরণ করে।
অভিযোগ রয়েছে, এ সুযোগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শামসের পাড়ার মো. সরওয়ার আলম আপত্তিকর বক্তব্য ব্যানারে লিখে ওই ওষুধ প্রতিষ্ঠানে বিগত ২৫ দিন আগে তালা দিয়ে দেয়। গতকাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে কাউকে ডুকতে না দেয়ায় ওষুধগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দোকানের আয়ের ওপর সংসারের যাবতীয় ব্যয়সহ তাদের বৃদ্ধ মায়ের চিকিৎসা চলছে বলে জানালেন আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি ১০ লাখ টাকার ঋন নিয়েছেন। বর্তমানে জোরপূর্বক দোকনটি তাল মেরে দেয়ায় পরিবারের সকলের ব্যায়ভার বহনের পাশাপাশি ওই ঋণের কিস্তি চালাতে সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন।
শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭
চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ওষুধ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ওষুধ বিক্রয়কারী একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়ায় তাপ সংবেদনশীল এসব মূল্যবান ওষুধগুলো নষ্ট হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মহানগরের চান্দগাঁও শামসের পাড়ার আবদুল হামিদ শাহ রোডস্থ অবসরপ্রাপ্ত স:প্র: শিক্ষক আজিজুর রহমান ও তার ছোটভাই আতাউর রহমানের মালিকানাধীন মেসার্স মদিনা ফার্মেসিটি বিগত ২৬ দিন ধরে প্রতিপক্ষ বন্ধ করে দেয়ায় এসব ওষুধ নষ্ট হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। এদিকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট আতাউর রহমানের মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী সাজেদা বেগম রিনা বায়েজিদের ভাড়া বাসায় গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আতাউর রহমান প্রতিদিনের মতো খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লেও সকালে উঠে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ সময় রিনার বড়ভাইসহ এলাকার মানুষকে ফোনে ঘটনাটি অবগত করলেও আতাউরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনায় মিত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় সে কারাবরণ করে।
অভিযোগ রয়েছে, এ সুযোগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শামসের পাড়ার মো. সরওয়ার আলম আপত্তিকর বক্তব্য ব্যানারে লিখে ওই ওষুধ প্রতিষ্ঠানে বিগত ২৫ দিন আগে তালা দিয়ে দেয়। গতকাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে কাউকে ডুকতে না দেয়ায় ওষুধগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দোকানের আয়ের ওপর সংসারের যাবতীয় ব্যয়সহ তাদের বৃদ্ধ মায়ের চিকিৎসা চলছে বলে জানালেন আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনি ১০ লাখ টাকার ঋন নিয়েছেন। বর্তমানে জোরপূর্বক দোকনটি তাল মেরে দেয়ায় পরিবারের সকলের ব্যায়ভার বহনের পাশাপাশি ওই ঋণের কিস্তি চালাতে সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন।