শিকদারবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মেঘনার ভাঙনে বিলীনের আশঙ্কা

৩শ’ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চরজহিরউদ্দিনের নিশ্চিন্তপুর চরে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শিকদারবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি শেষ পর্যন্ত মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে। গত বুধবার ভবনের একাংশ মেঘনায় ভেঙে পড়ে। বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য শিক্ষক, অভিভাবকরা দাবি জানালেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। ১৫ দিন আগে ভাঙন থেকে দুইশ’ ফুট দূরে থাকা অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান মাহামুদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমানসহ একটি টিম ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে স্কুল ভবন রক্ষা করা যাবে না, মর্মে সিদ্ধান্ত দেন। এমন কি ভবন ভেঙে নেয়ার জন্য নিলাম ডাক দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তার করা হয়নি বুধবার পর্যন্ত। নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, ১৫ দিন আগের পরিদর্শনকালে এটি রক্ষার দাবি করা হয়ে ছিল। কিন্তু ওই এলাকাটি মেঘনার ত্রিমুখী ভাঙনের মুখে পড়ে। ফলে ওই এলাকা রক্ষা করতে কয়েকশ কোটি টাকা প্রয়োজন। তাও জরুরিভাবে কাজ শুরু করা যাবে না। ইমাজেন্সি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে এটি রক্ষা করা সম্ভব ছিল না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, এত দ্রুত স্কুলটি ভাঙনের মুখে পড়বে ভাবাই যায় নি। ভবনটি ভেঙে সরানোর জন্য নিলাম ডাকের প্রস্তুতি নিয়া হয়ে ছিল। তাও কাজে লাগেনি। গত বুধবার ভবনের সামনের একাংশ বিলীন হলে ভবনের মালামাল সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন স্কুল শিক্ষকরা। এদিকে প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ২০১০/১১ অর্থবছরে মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্টের মাধ্যমে ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে স্কুল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৫ফুট দীর্ঘ ও ২১ ফুট চওড়া স্কুল ভবনটিই ছিল ওই এলাকার মানুষর ঝড়ে বাদলে আশ্রয় নেয়ার স্থান। একই সঙ্গে চরের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণের এক মাত্র আলোঘর। স্কুলে কর্মরত ১২ শিক্ষক, অভিভাবকরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ের বৈঠকে নদীর পাড় বা চরাঞ্চলে স্থায়ী ভবন না করে ভ্রাম্যমাণ ভবন নির্মাণ করার নির্দেশ দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, এডিবি’র অর্থায়নে দ্রুত একটি টিনশেড ভবন করে দেয়া হবে ওই স্কুলের জন্য; যাতে স্কুল খোলার শুরুতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারে।

image
আরও খবর
তাড়াশে ৬শ’ হেক্টর রোপা আমন পানির নিচে : দিশেহারা কৃষক
তুলসীগঙ্গার ৬ কিমি. খননে দুই ইউপির কৃষকের ভাগ্য বদল
পাইকগাছা উপ-নির্বাচন আ’লীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
সুন্দরগঞ্জে মুজিব শতবর্ষে ৭৪ প্রা. স্কুলে শহীদ মিনার
প্রতারণা করে ১২ বিয়ে মাইক্রো চালকের
বাঁশখালীতে কাউন্সিলরসহ ৯ জনের বাদীকে মামলা মামলা তুলতে বাদিকে হত্যার হুমকি
উচ্ছেদ আতঙ্কে আরও ৭০ দরিদ্র হিন্দু পরিবার
শত্রুতার জেরে দোকানে তালা : ২০ লক্ষাধিক টাকার ওষুধ নষ্ট হওয়ার উপক্রম
বালিয়াকান্দিতে এক কিশোরের আত্মহত্যা
মোরেলগঞ্জে কৃষকের খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ
উগ্রবাদ সহিংসতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছেন সাংবাদিকরা
তাড়াশে সড়কে ঝরল মাদ্রাসাছাত্র

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭

শিকদারবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মেঘনার ভাঙনে বিলীনের আশঙ্কা

৩শ’ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

পুষ্পেন্দু মজুমদার, ভোলা

image

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চরজহিরউদ্দিনের নিশ্চিন্তপুর চরে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শিকদারবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি শেষ পর্যন্ত মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে। গত বুধবার ভবনের একাংশ মেঘনায় ভেঙে পড়ে। বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য শিক্ষক, অভিভাবকরা দাবি জানালেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। ১৫ দিন আগে ভাঙন থেকে দুইশ’ ফুট দূরে থাকা অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান মাহামুদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমানসহ একটি টিম ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে স্কুল ভবন রক্ষা করা যাবে না, মর্মে সিদ্ধান্ত দেন। এমন কি ভবন ভেঙে নেয়ার জন্য নিলাম ডাক দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তার করা হয়নি বুধবার পর্যন্ত। নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, ১৫ দিন আগের পরিদর্শনকালে এটি রক্ষার দাবি করা হয়ে ছিল। কিন্তু ওই এলাকাটি মেঘনার ত্রিমুখী ভাঙনের মুখে পড়ে। ফলে ওই এলাকা রক্ষা করতে কয়েকশ কোটি টাকা প্রয়োজন। তাও জরুরিভাবে কাজ শুরু করা যাবে না। ইমাজেন্সি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে এটি রক্ষা করা সম্ভব ছিল না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, এত দ্রুত স্কুলটি ভাঙনের মুখে পড়বে ভাবাই যায় নি। ভবনটি ভেঙে সরানোর জন্য নিলাম ডাকের প্রস্তুতি নিয়া হয়ে ছিল। তাও কাজে লাগেনি। গত বুধবার ভবনের সামনের একাংশ বিলীন হলে ভবনের মালামাল সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন স্কুল শিক্ষকরা। এদিকে প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ২০১০/১১ অর্থবছরে মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রজেক্টের মাধ্যমে ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে স্কুল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৫ফুট দীর্ঘ ও ২১ ফুট চওড়া স্কুল ভবনটিই ছিল ওই এলাকার মানুষর ঝড়ে বাদলে আশ্রয় নেয়ার স্থান। একই সঙ্গে চরের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণের এক মাত্র আলোঘর। স্কুলে কর্মরত ১২ শিক্ষক, অভিভাবকরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ের বৈঠকে নদীর পাড় বা চরাঞ্চলে স্থায়ী ভবন না করে ভ্রাম্যমাণ ভবন নির্মাণ করার নির্দেশ দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, এডিবি’র অর্থায়নে দ্রুত একটি টিনশেড ভবন করে দেয়া হবে ওই স্কুলের জন্য; যাতে স্কুল খোলার শুরুতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারে।