সমু চৌধুরীর সাফল্যের তিন দশক

যশোহরের কৃতী সন্তান নন্দিত অভিনেতা সমু চৌধুরী। পেশাগতভাবে তার অভিনয় জীবন শুরুর প্রয়াত আতিকুল হক চৌধুরী প্রযোজিত ‘সমৃদ্ধ অসীম’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। নাটকটি ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল। সেই নাটকে গালিব চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। সেই হিসেবে একজন পেশাদার অভিনেতা হিসেবে অভিনয়ে জীবনের সাফল্যের তিন দশক পার করেছেন গুণী এই অভিনেতা। এখনও তিনি নিয়মিত টিভি নাটকে, সিনেমায় অভিনয় করছেন। মাঝে বলা যায় প্রায় অর্ধযুগ অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন পারিবারিক কারণে। কিন্তু আবারও অভিনয়ে ফিরে এসে সমু চৌধুরী তার পুরোনো তালেই ফিরে এসেছেন। ‘সমৃদ্ধ অসীম’ নাটকে অভিনয়ের পর সেই সময় সমু চৌধুরী একক নাটকসহ জনপ্রিয় কিছু ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করেন। সিনেমাতে সমু চৌধুরী প্রথম অভিনয় করেন শামসুল আলমের ‘শতজনমের প্রেম’। কিন্তু তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হচ্ছে আমজাদ হোসেনের ‘আদরের সন্তান’। পরবর্তীতে তিনি বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। বিরতির পর ফিরেন অভ্র মাহমুদের নির্দেশনায় ‘এক চামচ প্রোটিন’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এরইমধ্যে সমু চৌধুরীর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আমার বাবার নাম’ সিনেমায় বীরাঙ্গনা অলকা’র বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় করেছেন দীন ইসলামের নির্দেশনায় ‘চরিত্র’ সিনেমায়। এরইমধ্যে একুশে টিভিতে প্রচার শেষ হয়েছে তার অভিনীত সকাল আহমেদ পরিচালিত ‘খানবাড়ি বাড়াবাড়ি’ নাটকটি। বিটিভি’তে মাসুদ চৌধুরীর পরিচালনায় ‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকের কাজ শেষ করেছেন। অভিনয় জীবনের দীর্ঘদিনের পথচলা নিয়ে সমু চৌধুরী বলেন, ‘অভিনয় জীবনের পথচলায় দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, সম্মান পেয়েছি এটা সত্যিই অনেক বড় প্রাপ্তি। হয়তো অন্য কোন পেশায় গেলে এই অকৃত্রিম ভালোবাসা পাবার তেমন কোনই সুযোগ থাকত না। তবে অভিনতো হিসেবে অতৃপ্তি আছে আমার। কিছু কিছু চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু আমি আরও কিছু ভালো ভালো চরিত্রে, চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে রাখি, নিজেকে আরও নতুনভাবে সেসব চরিত্রে উপস্থাপনের আশা রাখি। আমি ভীষণভাবে যে মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ তারা হচ্ছেন শান্তি রঞ্জন সাহা, বন্ধু গোবিন্দ, শ্রদ্ধেয় আতিকুল হক চৌধুরী, কামাল উদ্দিন নীলু, কায়েস চৌধুরী ও শমী কায়সার। তারা প্রত্যেকেই আমাকে ভীষণভাবে সহযোগিতা করেছেন। জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সমু চৌধুরীর অভিনয়ে যাত্রা শুরু যশোহরে উদীচী’র মধ্যদিয়ে। পরবর্তীতে ঢাকায় এসে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন।

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭

সমু চৌধুরীর সাফল্যের তিন দশক

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

যশোহরের কৃতী সন্তান নন্দিত অভিনেতা সমু চৌধুরী। পেশাগতভাবে তার অভিনয় জীবন শুরুর প্রয়াত আতিকুল হক চৌধুরী প্রযোজিত ‘সমৃদ্ধ অসীম’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। নাটকটি ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল। সেই নাটকে গালিব চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। সেই হিসেবে একজন পেশাদার অভিনেতা হিসেবে অভিনয়ে জীবনের সাফল্যের তিন দশক পার করেছেন গুণী এই অভিনেতা। এখনও তিনি নিয়মিত টিভি নাটকে, সিনেমায় অভিনয় করছেন। মাঝে বলা যায় প্রায় অর্ধযুগ অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন পারিবারিক কারণে। কিন্তু আবারও অভিনয়ে ফিরে এসে সমু চৌধুরী তার পুরোনো তালেই ফিরে এসেছেন। ‘সমৃদ্ধ অসীম’ নাটকে অভিনয়ের পর সেই সময় সমু চৌধুরী একক নাটকসহ জনপ্রিয় কিছু ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করেন। সিনেমাতে সমু চৌধুরী প্রথম অভিনয় করেন শামসুল আলমের ‘শতজনমের প্রেম’। কিন্তু তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হচ্ছে আমজাদ হোসেনের ‘আদরের সন্তান’। পরবর্তীতে তিনি বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন। বিরতির পর ফিরেন অভ্র মাহমুদের নির্দেশনায় ‘এক চামচ প্রোটিন’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এরইমধ্যে সমু চৌধুরীর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আমার বাবার নাম’ সিনেমায় বীরাঙ্গনা অলকা’র বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় করেছেন দীন ইসলামের নির্দেশনায় ‘চরিত্র’ সিনেমায়। এরইমধ্যে একুশে টিভিতে প্রচার শেষ হয়েছে তার অভিনীত সকাল আহমেদ পরিচালিত ‘খানবাড়ি বাড়াবাড়ি’ নাটকটি। বিটিভি’তে মাসুদ চৌধুরীর পরিচালনায় ‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকের কাজ শেষ করেছেন। অভিনয় জীবনের দীর্ঘদিনের পথচলা নিয়ে সমু চৌধুরী বলেন, ‘অভিনয় জীবনের পথচলায় দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, সম্মান পেয়েছি এটা সত্যিই অনেক বড় প্রাপ্তি। হয়তো অন্য কোন পেশায় গেলে এই অকৃত্রিম ভালোবাসা পাবার তেমন কোনই সুযোগ থাকত না। তবে অভিনতো হিসেবে অতৃপ্তি আছে আমার। কিছু কিছু চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু আমি আরও কিছু ভালো ভালো চরিত্রে, চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে রাখি, নিজেকে আরও নতুনভাবে সেসব চরিত্রে উপস্থাপনের আশা রাখি। আমি ভীষণভাবে যে মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ তারা হচ্ছেন শান্তি রঞ্জন সাহা, বন্ধু গোবিন্দ, শ্রদ্ধেয় আতিকুল হক চৌধুরী, কামাল উদ্দিন নীলু, কায়েস চৌধুরী ও শমী কায়সার। তারা প্রত্যেকেই আমাকে ভীষণভাবে সহযোগিতা করেছেন। জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সমু চৌধুরীর অভিনয়ে যাত্রা শুরু যশোহরে উদীচী’র মধ্যদিয়ে। পরবর্তীতে ঢাকায় এসে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন।