দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ২৮ শনাক্ত ১৫৪০

দীর্ঘদিন ধরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার একটা জায়গায় ওঠানামা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪০ জন। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৩৯ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯২ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩৮২টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯০০টি। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৩ হাজার ৯৩৫ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ১৩৭ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন এবং রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। ২৮ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৪৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৯৮৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৩৮ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৩ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৮০ হাজার ৫৯ জনকে।

প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৯১২ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ২৮৩ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩০ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ২৮ হাজার ২৯৭ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৬ হাজার ১৬৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর যে সংখ্যা প্রচার করছে, সেটার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক। তিনি বলেন, সরকার যেভাবেই বলুক না কেন, সংক্রমণ যেটা আমরা পাচ্ছি, সেটা সংক্রমণের সঠিক সংখ্যা নয়। যে দেশগুলোতে সংক্রমণ বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এটা বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার কথা। সুতরাং এসব তথ্য স্মরণে রেখেই আমাদের পরিস্থিতির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে হবে। এসব বিশ্লেষণ করে যেটা দেখছি, আমাদের টেস্টের সংখ্যা ও টেস্টের আওতা কমছে। এটার মাধ্যমে আমরা যে সংখ্যা পাচ্ছি, সেটা সঠিক নয়। সংক্রমণ বাড়ছে। এটাকে স্বীকার করতে হবে প্রথমে। স্বীকার করে টেস্টের আওতা বাড়াতে হবে, টেস্ট সহজলভ্য করতে হবে। যাতে লোকে ফ্রি টেস্ট করাতে পারে, সে ব্যবস্থাও নিতে হবে। পাশাপাশি মানসম্মত টেস্টের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

image
আরও খবর
বিতরণ হলো না ৪ মাসেও
রাজশাহীর একমাত্র করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল বন্ধ
হেরে গেলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকার ট্রাম্পের
ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ পরিবারের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তা প্রধানমন্ত্রীর
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করতে মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
যেভাবে কাটার রাসেলের উত্থান
ওয়াসার এমডির নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে রিট
অনুমোদনের দু’বছর পরও কাজ শুরু হয়নি
পাপিয়া দম্পতির যাবজ্জীবন চায় রাষ্ট্রপক্ষ
৩৪ ইন্সপেক্টরকে একযোগে বদলি
ড্রাইভার মালেক বিদেশেও বিপুল অর্থ পাচার করেছে
মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় সংক্রান্ত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭

দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ২৮ শনাক্ত ১৫৪০

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দীর্ঘদিন ধরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার একটা জায়গায় ওঠানামা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪০ জন। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৩৯ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ ২ লাখ ৬৫ হাজার ৯২ জন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩৮২টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯০০টি। এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৩ হাজার ৯৩৫ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ১৩৭ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন এবং রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। ২৮ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৪৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ৯৮৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪৩৮ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৩ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৮০ হাজার ৫৯ জনকে।

প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৯১২ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ২৮৩ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩০ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ২৮ হাজার ২৯৭ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৬ হাজার ১৬৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর যে সংখ্যা প্রচার করছে, সেটার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক। তিনি বলেন, সরকার যেভাবেই বলুক না কেন, সংক্রমণ যেটা আমরা পাচ্ছি, সেটা সংক্রমণের সঠিক সংখ্যা নয়। যে দেশগুলোতে সংক্রমণ বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এটা বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার কথা। সুতরাং এসব তথ্য স্মরণে রেখেই আমাদের পরিস্থিতির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে হবে। এসব বিশ্লেষণ করে যেটা দেখছি, আমাদের টেস্টের সংখ্যা ও টেস্টের আওতা কমছে। এটার মাধ্যমে আমরা যে সংখ্যা পাচ্ছি, সেটা সঠিক নয়। সংক্রমণ বাড়ছে। এটাকে স্বীকার করতে হবে প্রথমে। স্বীকার করে টেস্টের আওতা বাড়াতে হবে, টেস্ট সহজলভ্য করতে হবে। যাতে লোকে ফ্রি টেস্ট করাতে পারে, সে ব্যবস্থাও নিতে হবে। পাশাপাশি মানসম্মত টেস্টের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।