অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করতে মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

জেএসসি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় এবার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করতে মূল্যায়ন করবে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। এই গাইডলাইন তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ পরীক্ষা সংস্কার ইউনিটকে (বেদু), যার অফিস ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ক্যাম্পাসেই।

গতকাল ১১টি শিক্ষাবোর্ডের (আন্তঃশিক্ষা বোর্ড) চেয়ারম্যানদের নিয়মিত মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক ওই সিন্ধান্তের কথা জানান। সভায়, সরকার যখনই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) নেয়ার সিদ্ধান্ত দেবে তখনই যেন পরীক্ষা নিতে পারে সেভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে চেয়ারম্যানদের।

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছর হচ্ছে না উল্লেখ করে মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে গাইডলাইন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কি কি বিষয় বিবেচনায় মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে গাইডলাইন বা নীতিমালায় সুস্পষ্টভাবে জানানো হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো সে অনুসারে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে। এটি তৈরি করবে বেদু।’

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘ডিসেম্বর পর্যন্ত সিলেবাসের যেটুকু পড়ানো হবে সে অনুযায়ী স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করবে।’

কবে নাগাদ গাইডলাইন দেয়া হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাইডলাইন করতে কিছুটা সময় লাগবে। গাইডলাইনে একটি প্রাথমিক প্রিন্সিপ্যাল (নীতি) তৈরি করেছি। গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণী কার্যক্রম চলেছে। এরপর এই পর্যন্ত এবং টেলিভিশন ও অনলাইনে শ্রেণী কার্যক্রম চলছে। এছাড়া যেকোন মাসে যদি ক্লাস করানোর সুযোগ তৈরি হয়, সেই সময় ডিসেম্বর পর্যন্ত যতটুকু পড়ানো হয়েছে, তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।’

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না, সেইটুকু আমরা পরবর্তী শ্রেণীতে লিংকআপ করে দেব। লিংআপ করে দেব এভাবে যে, নবম শ্রেণীতে যখন ক্লাস শুরু করবে তখন অষ্টম শ্রেণীর যে অংশ পড়ানোর প্রয়োজন হবে সে অংশটুকু ওভার করতে পারে। নবম শ্রেণীর জন্য অষ্টম শ্রেণীর যে অংশ অতিপ্রয়োজনীয় সেই অংশটুকু আমরা নবম শ্রেণীতে শিক্ষক যাতে শেষ করান। সে জন্য নির্দেশনা দেয়া হবে।’

অটো প্রমোশন বলতে কিছু নেই-মন্তব্য করে অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘সবকিছু মূল্যায়নের ভিত্তিতে হবে। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়, আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি ক্লাসে ফেরত আসতে পারে, তাহলে তো পরীক্ষা (স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে) হতেই পারে। যদি তা না হয়, তাহলে যেসব প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে নেবে, যার যা সামর্থ অনুযায়ী নেবে।’

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই দুই শ্রেণীর বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) নিশ্চয় গাইডলাইন দেবে। নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেভাবেই নিজস্ব প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করবে। নবম ও দশম মিলেই একটি সিলেবাস। সিলেবাসের একটি অংশ নবম শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়; আরেকটি অংশ দশম শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়। সে ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। নবম শ্রেণিতে যে পাঠদান বাকি আছে তা দশম শ্রেণিতে পাঠদান করানো হবে।’

image
আরও খবর
বিতরণ হলো না ৪ মাসেও
রাজশাহীর একমাত্র করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল বন্ধ
হেরে গেলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকার ট্রাম্পের
দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ২৮ শনাক্ত ১৫৪০
ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ পরিবারের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে সহায়তা প্রধানমন্ত্রীর
যেভাবে কাটার রাসেলের উত্থান
ওয়াসার এমডির নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে রিট
অনুমোদনের দু’বছর পরও কাজ শুরু হয়নি
পাপিয়া দম্পতির যাবজ্জীবন চায় রাষ্ট্রপক্ষ
৩৪ ইন্সপেক্টরকে একযোগে বদলি
ড্রাইভার মালেক বিদেশেও বিপুল অর্থ পাচার করেছে
মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় সংক্রান্ত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭

অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করতে মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

জেএসসি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় এবার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করতে মূল্যায়ন করবে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। এই গাইডলাইন তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ পরীক্ষা সংস্কার ইউনিটকে (বেদু), যার অফিস ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ক্যাম্পাসেই।

গতকাল ১১টি শিক্ষাবোর্ডের (আন্তঃশিক্ষা বোর্ড) চেয়ারম্যানদের নিয়মিত মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক ওই সিন্ধান্তের কথা জানান। সভায়, সরকার যখনই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) নেয়ার সিদ্ধান্ত দেবে তখনই যেন পরীক্ষা নিতে পারে সেভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে চেয়ারম্যানদের।

জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা করোনা মহামারীর কারণে চলতি বছর হচ্ছে না উল্লেখ করে মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে গাইডলাইন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কি কি বিষয় বিবেচনায় মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে গাইডলাইন বা নীতিমালায় সুস্পষ্টভাবে জানানো হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো সে অনুসারে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে। এটি তৈরি করবে বেদু।’

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘ডিসেম্বর পর্যন্ত সিলেবাসের যেটুকু পড়ানো হবে সে অনুযায়ী স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করবে।’

কবে নাগাদ গাইডলাইন দেয়া হবে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাইডলাইন করতে কিছুটা সময় লাগবে। গাইডলাইনে একটি প্রাথমিক প্রিন্সিপ্যাল (নীতি) তৈরি করেছি। গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণী কার্যক্রম চলেছে। এরপর এই পর্যন্ত এবং টেলিভিশন ও অনলাইনে শ্রেণী কার্যক্রম চলছে। এছাড়া যেকোন মাসে যদি ক্লাস করানোর সুযোগ তৈরি হয়, সেই সময় ডিসেম্বর পর্যন্ত যতটুকু পড়ানো হয়েছে, তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।’

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না, সেইটুকু আমরা পরবর্তী শ্রেণীতে লিংকআপ করে দেব। লিংআপ করে দেব এভাবে যে, নবম শ্রেণীতে যখন ক্লাস শুরু করবে তখন অষ্টম শ্রেণীর যে অংশ পড়ানোর প্রয়োজন হবে সে অংশটুকু ওভার করতে পারে। নবম শ্রেণীর জন্য অষ্টম শ্রেণীর যে অংশ অতিপ্রয়োজনীয় সেই অংশটুকু আমরা নবম শ্রেণীতে শিক্ষক যাতে শেষ করান। সে জন্য নির্দেশনা দেয়া হবে।’

অটো প্রমোশন বলতে কিছু নেই-মন্তব্য করে অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘সবকিছু মূল্যায়নের ভিত্তিতে হবে। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়, আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি ক্লাসে ফেরত আসতে পারে, তাহলে তো পরীক্ষা (স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে) হতেই পারে। যদি তা না হয়, তাহলে যেসব প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে নেবে, যার যা সামর্থ অনুযায়ী নেবে।’

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই দুই শ্রেণীর বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) নিশ্চয় গাইডলাইন দেবে। নবম শ্রেণীর ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেভাবেই নিজস্ব প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করবে। নবম ও দশম মিলেই একটি সিলেবাস। সিলেবাসের একটি অংশ নবম শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়; আরেকটি অংশ দশম শ্রেণিতে পাঠদান করা হয়। সে ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। নবম শ্রেণিতে যে পাঠদান বাকি আছে তা দশম শ্রেণিতে পাঠদান করানো হবে।’