স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেক বিদেশেও বিপুল অর্থ পাচার করেছে বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। এ বিষয়ে তদন্ত করতে এরই মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দিয়েছে র?্যাব। একইসঙ্গে মালেকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র ও প্রতারণায় দুইটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে র্যাব।
র?্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, গাড়িচালক মালেক বিদেশেও বিপুল অর্থ পাচার করেছেন। কিন্তু সে অর্থের পরিমাণ এবং কিভাবে সেগুলো পাচার করা হয়েছে, সে বিষয়ে আরও তথ্য জানা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সিআইডিকে তদন্ত করতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাচ্ছি মালেকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর অধিকতর তদন্ত করতে। এজন্য তদন্তের দায়িত্ব পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। বর্তমানে মালেক দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছে তুরাগ থানায়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র, জালনোটের ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব-১-এর একটি দল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হলেও তার নামে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যায়।
র্যাব জানায়, জাল টাকার ব্যবসা ছাড়াও তিনি এলাকায় চাঁদাবাজিতে জড়িত। শুধু তাই নয়, গ্রেফতারের পর বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে ঢাকায় তার সাতটি প্লটে চারটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া উত্তরায় বাবার নামে মাজার বসিয়েও জায়গা দখল করেছেন মালেক। মহাখালীর আমতলীতে একটি হোটেলও রয়েছে তার।
শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেক বিদেশেও বিপুল অর্থ পাচার করেছে বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। এ বিষয়ে তদন্ত করতে এরই মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) চিঠি দিয়েছে র?্যাব। একইসঙ্গে মালেকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র ও প্রতারণায় দুইটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে র্যাব।
র?্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, গাড়িচালক মালেক বিদেশেও বিপুল অর্থ পাচার করেছেন। কিন্তু সে অর্থের পরিমাণ এবং কিভাবে সেগুলো পাচার করা হয়েছে, সে বিষয়ে আরও তথ্য জানা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সিআইডিকে তদন্ত করতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাচ্ছি মালেকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর অধিকতর তদন্ত করতে। এজন্য তদন্তের দায়িত্ব পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। বর্তমানে মালেক দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছে তুরাগ থানায়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র, জালনোটের ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব-১-এর একটি দল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেফতার করে। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হলেও তার নামে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যায়।
র্যাব জানায়, জাল টাকার ব্যবসা ছাড়াও তিনি এলাকায় চাঁদাবাজিতে জড়িত। শুধু তাই নয়, গ্রেফতারের পর বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে ঢাকায় তার সাতটি প্লটে চারটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া উত্তরায় বাবার নামে মাজার বসিয়েও জায়গা দখল করেছেন মালেক। মহাখালীর আমতলীতে একটি হোটেলও রয়েছে তার।