দিনাজপুরের বীরগঞ্জে

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র ডাকে সারা দিয়ে দেশকে পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত করে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে শত্রুদের পরাজিত করে দেশকে স্বাধীন করেছি। জীবনের মায়া করিনি। স্বাধীন দেশে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জমি জবর দখল, মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা ও শারীরিক নির্যাতনকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা এবং সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল বৈরী আবহাওয়া সত্বেও উপজেলার বিজয় চত্বর সম্মুখ সড়কে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমন বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধারা। মানববন্ধন শেষে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বরাররে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

স্মারকলিপিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক (৭০) উল্লেখ করেন, আমি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১০নং মোহন ইউনিয়নের মাটিয়াকুড়া লাটেরহাট গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। ২০০১ সালে শেখ হাসিনা সরকার আমার নামে ৫৩ শতক জমি পত্তন দেন। যার কবুলিয়ত নং রর/৯৭৩/২০০০-২০০১ সন। এই জমির পশ্চিম পার্শ্বে বাস করেন মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. উজ্জল ইসলাম (৪০)। সে কয়েক বছর ধরে আমার জমির সীমানা নিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। স্থানীয় ভাবে কয়েকবার মাপামাপি করা সত্বেও সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নিকট আবেদন করলে তিনি গত ১৯-০৮-২০২০ তারিখে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন এবং আমাকে ৫৩ শহক জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিলে আমি তারকাটার বেড়া দেই। গত ২৭-০৮-২০২০ তারিখ সকাল সাড়ে ৭টায় মো. উজ্জল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ৪০-৪৫ জন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র-লাঠিসোটা নিয়ে সংঘ্যবদ্ধভাবে আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের অপদস্থ করে সীমানা বেড়া ভেঙ্গে দেয় ও মেহগনি গাছ কেটে ফেলে। এতে আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সে সময় আমি ও আমার স্ত্রী তাদের বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা আমার মাথায় ও বুকের পাজড়ে জখম আঘাত করে। বীরগঞ্জ থানায় ওই দিনই একটি এজাহার দায়ের করি। যার নং-০৮, তারিখ-২৭/০৮/২০২০। বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে ৭ দিন চিকিৎসা গ্রহন করি। গত ৩১-০৮-২০২০ তারিখে বীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), থানা প্রশাসন ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে পুনরায় সীমানা নির্ধারণ করা হয় এবং ইট দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে আনুমানিক ভোর ৫টায় উক্ত মো. উজ্জল আরও শক্তিশালি সংঘবদ্ধ দল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুনরায় আমাদেরকে বাসায় বেড়িকেট দিয়ে আটকে রেখে ইটের তৈরি সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় এবং বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধার নাম ধরে গালিগালাজ করে। তারা আমার অনুমানিক ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা এতই দাপটশালী ও ভয়ঙ্কর প্রকৃতির মানুষ, যারা নাকি প্রশাসন ও আইনের তোয়াক্কা করে না। বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক প্রশ্ন রেখে বলেন, এই সন্ত্রাসীদের খুঁটির জোর কোথায়, কারা তাদের গডফাদার তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধন চলাকালীন বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক কালিপদ রায়, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এসএমএ খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শামীম ফিরোজ আলম, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বীরগঞ্জ উপজেলা সংসদের সভাপতি প্রশান্ত সেন প্রমুখ।

বক্তারা উজ্জল ও তার দোসর কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জমি জবর দখল, মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা ও শারীরিক নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

মানববন্ধনে অন্য বক্তারা মুক্তিযোদ্ধার ওপর নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সমাজের সবার প্রতি আহ্বান জানান। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন।

image

দিনাজপুর : বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয় চত্বর সম্মুখ সড়কে মানববন্ধন করে মুক্তিযোদ্ধারা -সংবাদ

আরও খবর
সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির গোপন বৈঠকের খবর সরকার জানে কাদের
ক্রেডিট কার্ডে সুদের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ
এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
রেল যোগাযোগ ২০২১ সালের মধ্যে রেলমন্ত্রী
সৌদি এয়ারলাইন্স ৫শ’ টিকিট দেবে
এবার সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে মামলা করল ঢাবির সেই ছাত্রী
ভেঙে ফেলা হলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল
জাল আইডি দিয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ ও আবেদনকারী ২৫ জনের সন্ধান চলছে
ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতাসহ ৪ জন কারাগারে
চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ
মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশুনানি ৩০ সেপ্টেম্বর
নগরীর ২০ মহল্লা তলিয়ে গেছে
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ওপর নির্মিত হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর

image

দিনাজপুর : বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয় চত্বর সম্মুখ সড়কে মানববন্ধন করে মুক্তিযোদ্ধারা -সংবাদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র ডাকে সারা দিয়ে দেশকে পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত করে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে শত্রুদের পরাজিত করে দেশকে স্বাধীন করেছি। জীবনের মায়া করিনি। স্বাধীন দেশে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জমি জবর দখল, মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা ও শারীরিক নির্যাতনকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা এবং সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল বৈরী আবহাওয়া সত্বেও উপজেলার বিজয় চত্বর সম্মুখ সড়কে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমন বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধারা। মানববন্ধন শেষে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বরাররে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

স্মারকলিপিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক (৭০) উল্লেখ করেন, আমি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১০নং মোহন ইউনিয়নের মাটিয়াকুড়া লাটেরহাট গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। ২০০১ সালে শেখ হাসিনা সরকার আমার নামে ৫৩ শতক জমি পত্তন দেন। যার কবুলিয়ত নং রর/৯৭৩/২০০০-২০০১ সন। এই জমির পশ্চিম পার্শ্বে বাস করেন মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. উজ্জল ইসলাম (৪০)। সে কয়েক বছর ধরে আমার জমির সীমানা নিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। স্থানীয় ভাবে কয়েকবার মাপামাপি করা সত্বেও সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নিকট আবেদন করলে তিনি গত ১৯-০৮-২০২০ তারিখে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন এবং আমাকে ৫৩ শহক জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিলে আমি তারকাটার বেড়া দেই। গত ২৭-০৮-২০২০ তারিখ সকাল সাড়ে ৭টায় মো. উজ্জল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ৪০-৪৫ জন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র-লাঠিসোটা নিয়ে সংঘ্যবদ্ধভাবে আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের অপদস্থ করে সীমানা বেড়া ভেঙ্গে দেয় ও মেহগনি গাছ কেটে ফেলে। এতে আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সে সময় আমি ও আমার স্ত্রী তাদের বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা আমার মাথায় ও বুকের পাজড়ে জখম আঘাত করে। বীরগঞ্জ থানায় ওই দিনই একটি এজাহার দায়ের করি। যার নং-০৮, তারিখ-২৭/০৮/২০২০। বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে ৭ দিন চিকিৎসা গ্রহন করি। গত ৩১-০৮-২০২০ তারিখে বীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), থানা প্রশাসন ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে পুনরায় সীমানা নির্ধারণ করা হয় এবং ইট দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে আনুমানিক ভোর ৫টায় উক্ত মো. উজ্জল আরও শক্তিশালি সংঘবদ্ধ দল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুনরায় আমাদেরকে বাসায় বেড়িকেট দিয়ে আটকে রেখে ইটের তৈরি সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় এবং বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধার নাম ধরে গালিগালাজ করে। তারা আমার অনুমানিক ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা এতই দাপটশালী ও ভয়ঙ্কর প্রকৃতির মানুষ, যারা নাকি প্রশাসন ও আইনের তোয়াক্কা করে না। বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক প্রশ্ন রেখে বলেন, এই সন্ত্রাসীদের খুঁটির জোর কোথায়, কারা তাদের গডফাদার তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধন চলাকালীন বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক কালিপদ রায়, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এসএমএ খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শামীম ফিরোজ আলম, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বীরগঞ্জ উপজেলা সংসদের সভাপতি প্রশান্ত সেন প্রমুখ।

বক্তারা উজ্জল ও তার দোসর কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জমি জবর দখল, মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা ও শারীরিক নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

মানববন্ধনে অন্য বক্তারা মুক্তিযোদ্ধার ওপর নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সমাজের সবার প্রতি আহ্বান জানান। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন।