নগরীর ২০ মহল্লা তলিয়ে গেছে

দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

শনিবার মধ্যরাত থেকে অবিরাম বর্ষণে বিভাগীয় নগরী রংপুরের অন্তত ২০টি মহল্লা হাঁটু থেকে কোমড় পানি পর্যন্ত তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১শ ২৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সরেজমিন রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর নিচু এলাকাসহ বিভিন্ন সড়ক ২/৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরীর বাবু খাঁ ও কামার পাড়া এলাকায় প্রধান সড়ক তলিয়ে গেছে এবং আশপাশের নিচু এলাকার শতশত বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন, সামসুল হকসহ অনেকে জানান, রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে তাদের বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তারা।

একইভাবে নগরীর শালবন, মিস্ত্রিপাড়া, কামাল কাছনা মাহিগজ্ঞ, কলাবাড়ি দর্শনা, মডার্ন মোড় সংলগ্ন বিভিন্ন মহল্লা, মুন্সিপাড়া, হনুমানতলা, মুলাটোল, মেডিকেল পাকার মাথা, জলকর, নিউ জুম্মাপাড়া, হনুমানতলা বস্তিসহ ২০টিরও বেশি মহল্লা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাঘাত ঘটছে বলে নগরবাসী জানান। অপরদিকে ঘাঘট নদী ও শ্যামা সুন্দরী খাল তলিয়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকায় শতশত বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তবে বিকেল ৫টার পর বৃষ্টি একটু কমে যাওয়ায় উচু এলাকার পানি সরে গেলেও নিচু এলাকার পানি সরে যেতে আরও এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে এলাকাবাসী ও রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র টিটু জানিয়েছেন।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১শ ২৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার। তিনি জানান, সন্ধ্যার পর থেকে আবারও মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ এভাবে চললে নগরীর অনেক এলাকা তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও খবর
সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির গোপন বৈঠকের খবর সরকার জানে কাদের
ক্রেডিট কার্ডে সুদের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ
এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
রেল যোগাযোগ ২০২১ সালের মধ্যে রেলমন্ত্রী
সৌদি এয়ারলাইন্স ৫শ’ টিকিট দেবে
এবার সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে মামলা করল ঢাবির সেই ছাত্রী
ভেঙে ফেলা হলো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল
জাল আইডি দিয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ ও আবেদনকারী ২৫ জনের সন্ধান চলছে
ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতাসহ ৪ জন কারাগারে
চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি
মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশুনানি ৩০ সেপ্টেম্বর
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ওপর নির্মিত হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭

রংপুরে অবিরাম বৃষ্টি

নগরীর ২০ মহল্লা তলিয়ে গেছে

দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

শনিবার মধ্যরাত থেকে অবিরাম বর্ষণে বিভাগীয় নগরী রংপুরের অন্তত ২০টি মহল্লা হাঁটু থেকে কোমড় পানি পর্যন্ত তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১শ ২৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সরেজমিন রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর নিচু এলাকাসহ বিভিন্ন সড়ক ২/৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরীর বাবু খাঁ ও কামার পাড়া এলাকায় প্রধান সড়ক তলিয়ে গেছে এবং আশপাশের নিচু এলাকার শতশত বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন, সামসুল হকসহ অনেকে জানান, রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে তাদের বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তারা।

একইভাবে নগরীর শালবন, মিস্ত্রিপাড়া, কামাল কাছনা মাহিগজ্ঞ, কলাবাড়ি দর্শনা, মডার্ন মোড় সংলগ্ন বিভিন্ন মহল্লা, মুন্সিপাড়া, হনুমানতলা, মুলাটোল, মেডিকেল পাকার মাথা, জলকর, নিউ জুম্মাপাড়া, হনুমানতলা বস্তিসহ ২০টিরও বেশি মহল্লা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাঘাত ঘটছে বলে নগরবাসী জানান। অপরদিকে ঘাঘট নদী ও শ্যামা সুন্দরী খাল তলিয়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকায় শতশত বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তবে বিকেল ৫টার পর বৃষ্টি একটু কমে যাওয়ায় উচু এলাকার পানি সরে গেলেও নিচু এলাকার পানি সরে যেতে আরও এক সপ্তাহ লাগতে পারে বলে এলাকাবাসী ও রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র টিটু জানিয়েছেন।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১শ ২৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার। তিনি জানান, সন্ধ্যার পর থেকে আবারও মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ এভাবে চললে নগরীর অনেক এলাকা তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।