আবদুল মালেকের নেপথ্যে কারা

দেশের গণমাধ্যমসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের আলোচনার কেন্দ্রে এখন বিভিন্ন অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়ি চালক আবদুল মালেক। যার একাধিক বিলাসবহুল ভবন, জমি, খামার এবং বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চিত বিপুল পরিমাণ অর্থ সবমিলিয়ে রয়েছে শত কোটি টাকার বেশি সম্পদ। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র ও জাল নোটের ব্যবসার সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী হয়েও চোখ ধাঁধানো অট্টালিকা আর সম্পদের পাহাড় গড়তে তাকে নিশ্চয় রূপকথায় বর্ণিত আলাদিনের প্রদীপের সেই দৈত্য সাহায্য করেনি।

কথায় আছে, ছাগল নাচে খুঁটির জোরে। এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাহলে কাদের ক্ষমতা আর আশীর্বাদকে পুঁজি করে মালেক বছরের পর বছর ধরে অনৈতিক সব কাজের মাধ্যমে অবৈধ অর্থবিত্তের মালিক বনেছে? তার বিত্তের চেয়ে তাদের অর্থবিত্তের পরিমাণই তো আরও বেশি হওয়ার কথা। প্রশ্ন হলো, তারা কি বরাবরের মতোই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে নাকি আইনের আওতায় আসবে? দুঃখজনক হলেও সত্য, এরকম মালেক শুধু একজন নয়, দেশজুড়ে আরও অনেক আছে। আর তাদের প্রভাব আর প্রতিপত্তির শেকড় যদি উপড়ে ফেলা না যায় তবে তাদের আশ্চর্যজনক উত্থানও বন্ধ হবে না।

এর আগে দুর্নীতির দায়ে আটক সাহেদ, সাবরিনাদের বিচার চললেও তাদের আশ্রয়দাতাদের মুখোশ এখনও আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়নি। অথচ নেপথ্যের ক্ষমতাশালীদের অবাধ আনুকূল্যেই এসব ব্যক্তিরা দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করার সহজ সুযোগ পায়। তাই গাড়িচালক মালেকের পাশাপাশি তার নেপথ্যের সব কুশীলবদেরও আইনের আওতায় আনা হোক।

আবু ফারুক

বনরুপা পাড়া

সদর, বান্দরবান।

আরও খবর

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৬ মহররম ১৪৪২, ০৭ আশ্বিন ১৪২৭

আবদুল মালেকের নেপথ্যে কারা

দেশের গণমাধ্যমসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের আলোচনার কেন্দ্রে এখন বিভিন্ন অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়ি চালক আবদুল মালেক। যার একাধিক বিলাসবহুল ভবন, জমি, খামার এবং বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চিত বিপুল পরিমাণ অর্থ সবমিলিয়ে রয়েছে শত কোটি টাকার বেশি সম্পদ। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র ও জাল নোটের ব্যবসার সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। একজন ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী হয়েও চোখ ধাঁধানো অট্টালিকা আর সম্পদের পাহাড় গড়তে তাকে নিশ্চয় রূপকথায় বর্ণিত আলাদিনের প্রদীপের সেই দৈত্য সাহায্য করেনি।

কথায় আছে, ছাগল নাচে খুঁটির জোরে। এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাহলে কাদের ক্ষমতা আর আশীর্বাদকে পুঁজি করে মালেক বছরের পর বছর ধরে অনৈতিক সব কাজের মাধ্যমে অবৈধ অর্থবিত্তের মালিক বনেছে? তার বিত্তের চেয়ে তাদের অর্থবিত্তের পরিমাণই তো আরও বেশি হওয়ার কথা। প্রশ্ন হলো, তারা কি বরাবরের মতোই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে নাকি আইনের আওতায় আসবে? দুঃখজনক হলেও সত্য, এরকম মালেক শুধু একজন নয়, দেশজুড়ে আরও অনেক আছে। আর তাদের প্রভাব আর প্রতিপত্তির শেকড় যদি উপড়ে ফেলা না যায় তবে তাদের আশ্চর্যজনক উত্থানও বন্ধ হবে না।

এর আগে দুর্নীতির দায়ে আটক সাহেদ, সাবরিনাদের বিচার চললেও তাদের আশ্রয়দাতাদের মুখোশ এখনও আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়নি। অথচ নেপথ্যের ক্ষমতাশালীদের অবাধ আনুকূল্যেই এসব ব্যক্তিরা দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করার সহজ সুযোগ পায়। তাই গাড়িচালক মালেকের পাশাপাশি তার নেপথ্যের সব কুশীলবদেরও আইনের আওতায় আনা হোক।

আবু ফারুক

বনরুপা পাড়া

সদর, বান্দরবান।