‘নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বরাদ্দ শত কোটি’

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বর্তমান সরকার বাজেটে এক শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। সারাদেশের নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছে। তালিকা তৈরি হলে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এদের পুনর্বাসন করা হবে। তিনি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও সদর উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, টাঙ্গাইলে বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষা প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়াও আরেকটি বড় প্রকল্প নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ কাজগুলো শেষ হলে নদী ভাঙন রোধ করতে আমরা সক্ষম হবো। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় যখন কাজ করে, তখন সেটি কারিগরি কমিটির সঠিক সমীক্ষা করার পর অনেক বিচার বিবেচনা করতে হয়। কারণ একেকটা জায়গার নদী ভিন্ন ভিন্ন ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। নদী ভাঙন প্রকল্পটি অনেক ব্যয়বহুল। এক কিলোমিটার তীরে মাটি দিয়ে রক্ষা করলে সেটির খরচ হয় দেড় কোটি টাকা। আর যদি বক্ল দিয়ে করতে হয় তাহলে ৩০ কোটি থেকে ৮০-৯০ কোটি টাকা পর্যন্তও খরচ হয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নদী মাত্রিক দেশ। বাংলাদেশের নদীর পাড় ভাঙবেই, এটি আমাদের পূর্ব পুরুষেরা দেখে এসেছে। এখন যারা বাস করছেন তারাও দেখছেন। ভবিষ্যতে তারাও দেখবেন। পরে মন্ত্রী যমুনা রিসোর্টে জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নদী ভাঙন স্থায়ীভাবে প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

এ সময় ছানোয়ার হোসেন এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিনুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৭ মহররম ১৪৪২, ০৮ আশ্বিন ১৪২৭

‘নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বরাদ্দ শত কোটি’

জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বর্তমান সরকার বাজেটে এক শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। সারাদেশের নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছে। তালিকা তৈরি হলে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এদের পুনর্বাসন করা হবে। তিনি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও সদর উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, টাঙ্গাইলে বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষা প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়াও আরেকটি বড় প্রকল্প নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ কাজগুলো শেষ হলে নদী ভাঙন রোধ করতে আমরা সক্ষম হবো। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় যখন কাজ করে, তখন সেটি কারিগরি কমিটির সঠিক সমীক্ষা করার পর অনেক বিচার বিবেচনা করতে হয়। কারণ একেকটা জায়গার নদী ভিন্ন ভিন্ন ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। নদী ভাঙন প্রকল্পটি অনেক ব্যয়বহুল। এক কিলোমিটার তীরে মাটি দিয়ে রক্ষা করলে সেটির খরচ হয় দেড় কোটি টাকা। আর যদি বক্ল দিয়ে করতে হয় তাহলে ৩০ কোটি থেকে ৮০-৯০ কোটি টাকা পর্যন্তও খরচ হয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নদী মাত্রিক দেশ। বাংলাদেশের নদীর পাড় ভাঙবেই, এটি আমাদের পূর্ব পুরুষেরা দেখে এসেছে। এখন যারা বাস করছেন তারাও দেখছেন। ভবিষ্যতে তারাও দেখবেন। পরে মন্ত্রী যমুনা রিসোর্টে জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নদী ভাঙন স্থায়ীভাবে প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

এ সময় ছানোয়ার হোসেন এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আমিনুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।