পিয়ারের উচ্চতা জটিলতায় এক মাস যাবত বন্ধ রয়েছে নির্র্মাণ কাজ

সমস্যা সমাধানে তিন প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে : অধ্যাপক ড. শামীমুজ্জামান হ প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বেড়ে যেতে পারে

পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্পের পিয়ারের উচ্চতা জটিলতায় গত এক মাস যাবত বন্ধ রয়েছে দুই পারের নির্মাণ কাজ। এর ফলে প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বেড়ে যেতে পারে। সমস্যা সমাধানে কাজ করছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। ইতোমধ্যে জাজিরা অংশে ২৫ নম্বর পিয়ারের উচ্চতা বাড়িয়ে নতুন নকশা জমা দিয়েছে রেলওয়ে। মাওয়া অংশের সমাধান এখনও হয়নি। সেতু কর্তৃপক্ষ ও রেলসংযোগ প্রকল্পে নকশা পর্যালোচনা সমাধানের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তিনটি নকশার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে প্রকল্পের সূত্রে জানায়।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের রেলসংযোগ প্রকল্পের দুটি পিয়ারে উচ্চতায় ত্রুটি ধরা পড়েছে গত এক মাস আগে। মূল সেতুতে উঠার আগের মাওয়া প্রান্তের রেলসংযোগ প্রকল্পের ১৪-১৫ নম্বর ও জাজিরা প্রান্তের ২৫-১/২ নম্বর পিয়ারে উচ্চতা কম থাকায় মূল সেতু ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান উঠতে বাধাগ্রস্ত হবে। মূল সেতুর দুই প্রান্তে হরাইজেন্টাল (অনুভূমিক) ও ভার্টিক্যাল (উল্লম্ব) দু’দিকেই ত্রুটি ধরা পড়ে। আন্তর্জাতিকভাবে সড়কপথের হেডরুম স্ট্যান্ডার্ড হলো হরাইজন্টাল ১৫ মিটার, ভার্টিক্যাল ৫ দশমিক ৭ মিটার থাকতে হবে। কিন্তু রেল প্রকল্পে ভার্টিক্যাল রাখা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ মিটার। তাই ত্রুটি সমাধানে প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. শামীমুজ্জামান বসুনিয়ার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শ কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই কমিটি রেল সংযোগ প্রকল্পের নকশা পর্যালোচনা করে একটি সমাধান তৈরি করবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামীমুজ্জামান বসুনিয়া সংবাদকে বলেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধানে দিকে যাচ্ছি। এ নিয়ে পদ্মা সেতু কিছু করতে পারবে না। এখানে সমস্যা সমাধানে রেলওয়েকেই করতে হবে। এটি বিশাল কোন সমস্যা নয়। আমরা এ সমস্যার সমাধান করতে তিনটি পথ বাতলে দিয়েছি। প্রথম পথে যে ডিজাইন দেয়া হয়েছে তাতে অত্যন্ত কম সময়ে তার সমাধান করা হবে। দ্বিতীয় ডিজাইন অনুযায়ী অনেক বেশি ব্যয় হবে ফলে প্রকল্পের কাজে নতুন বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হবে ও অনেক কাজ করতে হবে। এছাড়া তৃতীয় পদ্ধতিতে ডিজাইন তুলনামূলকভাবে কম পরিবর্তন করলেও বেশ কিছু গার্ডার নির্মাণ করতে হবে। প্রশস্ততা ও উচ্চতা বাড়াতেও বিকল্প তিনটি পথ দেয়া হয়েছে। তবে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের উচ্চতা ঠিক রেখেই সব কাজ করতে হবে। কম সময়ে পদ্মা সেতুর রেল লিংক সংযোগের কাজ শেষ করতে চাইলে তিনটি ডিজাইনের যেটি পছন্দ হয় সেটিই করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান ও রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় রেলসংযোগ প্রকল্পের যশোর পর্যন্ত পুরোকাজ পরিদর্শন করেন দুই মন্ত্রী। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সংবাদকে বলেন, প্রকল্পের পুরো এলাকা ঘুরে দেখেছি। কাজের অগ্রগতি ভালো। তবে সেতুর কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাওয়া ও জাজিরা অংশের কিছু এলাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। পিয়ারের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য তারা আবেদন করেছে। বিষয়টি সমাধানে বুয়েটের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। এটি যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা, সেহেতু সমাধানে বিশেষজ্ঞরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সেতু বিভাগ ও রেলওয়ের কাছে ডিজাইন চাওয়া হয়েছে। এরপর দুটি ডিজাইন মিললে একটা সমাধানে আসা যাবে। সেতুতে ওঠা-নামার বিষয়টি রেলওয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। পদ্মা সেতুর এ বিষয়টি পজেটিভভাবে দেখতে হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সমস্যা যত ছোটই হোক, তা এখনই সমাধান করতে হবে। সামান্য ভুলের জন্য পরে কান্নাকাটি করার মানে হয় না। সময় নিয়ে ব্যয় বাড়িয়েও যদি সমাধান করা যায়, তাহলে সমাধান করতে হবে। এখনও কাজ চলমান রয়েছে। চলমান অবস্থায় যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সমাধান করা সম্ভব। কারণ এখনও কাজ শেষ হয়নি। মনে রাখতে হবে, এটি একটি জাতীয় প্রকল্প। জাতীয়ভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ত্রুটি শব্দের সঙ্গে আমরা একমত নই। ত্রুটি তখনই হবে, যখন চূড়ান্তভাবে পাওয়া যাবে। এটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, কিছু সংশয় দেখা দিয়েছে। এত বড় প্রকল্পের পদে পদে সমস্যা হতে পারে। সেতু চালু হওয়ার আগেই এটি চিহ্নিত করা গেছে। এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, রেলসংযোগ প্রকেল্পর পিয়ারের জটিলতায় রেলওয়ের ১৩, ১৪ ও ১৫নং পিয়ার এলাকায় সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৩ ও ১৪নং পিয়ারটি ঢেকে রাখা হয়েছে। একই অবস্থা জাজিরা প্রান্তেও সেখানে পদ্মা সেতু থেকে নামার পথে রেলওয়ে পিয়ার নির্মাণে ত্রুটি থাকায় ২৪, ২৫ ও ২৬নং পিয়ার এলাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৪ ও ২৫নং পিয়ারের কাজ সম্পন্ন হলেও ২৬ নম্বর পিয়ারের কাজ শেষ হয়নি। নিচে ৬টি করে পাইল তৈরি করা অবস্থায় পড়ে আছে। উভয় পান্তে থাকা সমস্যাকবলিত স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন দুই মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা। এদিকে পদ্মা সেতু যতটুকু হয়েছেÑ পুরোটা জুড়ে রেললাইন স্থাপনের অংশটুকুও সম্পন্ন করা হয়েছে। সেতুর দুই পাশে প্রায় ৭ কিলোমিটার রেলপথ উড়াল লাইন হচ্ছে। পদ্মা সেতু পাইল-গার্ডার নির্মাণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিচের অংশে রেললাইন স্থাপন করা হবে। পয়েন্টসহ সবকিছু পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষই করে দিচ্ছে, রেল শুধু সেখানে লাইন স্থাপন করবে।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৭ মহররম ১৪৪২, ০৮ আশ্বিন ১৪২৭

পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্প

পিয়ারের উচ্চতা জটিলতায় এক মাস যাবত বন্ধ রয়েছে নির্র্মাণ কাজ

সমস্যা সমাধানে তিন প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে : অধ্যাপক ড. শামীমুজ্জামান হ প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বেড়ে যেতে পারে

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্পের পিয়ারের উচ্চতা জটিলতায় গত এক মাস যাবত বন্ধ রয়েছে দুই পারের নির্মাণ কাজ। এর ফলে প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বেড়ে যেতে পারে। সমস্যা সমাধানে কাজ করছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। ইতোমধ্যে জাজিরা অংশে ২৫ নম্বর পিয়ারের উচ্চতা বাড়িয়ে নতুন নকশা জমা দিয়েছে রেলওয়ে। মাওয়া অংশের সমাধান এখনও হয়নি। সেতু কর্তৃপক্ষ ও রেলসংযোগ প্রকল্পে নকশা পর্যালোচনা সমাধানের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তিনটি নকশার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে প্রকল্পের সূত্রে জানায়।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের রেলসংযোগ প্রকল্পের দুটি পিয়ারে উচ্চতায় ত্রুটি ধরা পড়েছে গত এক মাস আগে। মূল সেতুতে উঠার আগের মাওয়া প্রান্তের রেলসংযোগ প্রকল্পের ১৪-১৫ নম্বর ও জাজিরা প্রান্তের ২৫-১/২ নম্বর পিয়ারে উচ্চতা কম থাকায় মূল সেতু ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান উঠতে বাধাগ্রস্ত হবে। মূল সেতুর দুই প্রান্তে হরাইজেন্টাল (অনুভূমিক) ও ভার্টিক্যাল (উল্লম্ব) দু’দিকেই ত্রুটি ধরা পড়ে। আন্তর্জাতিকভাবে সড়কপথের হেডরুম স্ট্যান্ডার্ড হলো হরাইজন্টাল ১৫ মিটার, ভার্টিক্যাল ৫ দশমিক ৭ মিটার থাকতে হবে। কিন্তু রেল প্রকল্পে ভার্টিক্যাল রাখা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ মিটার। তাই ত্রুটি সমাধানে প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. শামীমুজ্জামান বসুনিয়ার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শ কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই কমিটি রেল সংযোগ প্রকল্পের নকশা পর্যালোচনা করে একটি সমাধান তৈরি করবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামীমুজ্জামান বসুনিয়া সংবাদকে বলেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধানে দিকে যাচ্ছি। এ নিয়ে পদ্মা সেতু কিছু করতে পারবে না। এখানে সমস্যা সমাধানে রেলওয়েকেই করতে হবে। এটি বিশাল কোন সমস্যা নয়। আমরা এ সমস্যার সমাধান করতে তিনটি পথ বাতলে দিয়েছি। প্রথম পথে যে ডিজাইন দেয়া হয়েছে তাতে অত্যন্ত কম সময়ে তার সমাধান করা হবে। দ্বিতীয় ডিজাইন অনুযায়ী অনেক বেশি ব্যয় হবে ফলে প্রকল্পের কাজে নতুন বেশ কিছু সমস্যার সৃষ্টি হবে ও অনেক কাজ করতে হবে। এছাড়া তৃতীয় পদ্ধতিতে ডিজাইন তুলনামূলকভাবে কম পরিবর্তন করলেও বেশ কিছু গার্ডার নির্মাণ করতে হবে। প্রশস্ততা ও উচ্চতা বাড়াতেও বিকল্প তিনটি পথ দেয়া হয়েছে। তবে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের উচ্চতা ঠিক রেখেই সব কাজ করতে হবে। কম সময়ে পদ্মা সেতুর রেল লিংক সংযোগের কাজ শেষ করতে চাইলে তিনটি ডিজাইনের যেটি পছন্দ হয় সেটিই করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান ও রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় রেলসংযোগ প্রকল্পের যশোর পর্যন্ত পুরোকাজ পরিদর্শন করেন দুই মন্ত্রী। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সংবাদকে বলেন, প্রকল্পের পুরো এলাকা ঘুরে দেখেছি। কাজের অগ্রগতি ভালো। তবে সেতুর কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাওয়া ও জাজিরা অংশের কিছু এলাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। পিয়ারের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য তারা আবেদন করেছে। বিষয়টি সমাধানে বুয়েটের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। এটি যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা, সেহেতু সমাধানে বিশেষজ্ঞরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সেতু বিভাগ ও রেলওয়ের কাছে ডিজাইন চাওয়া হয়েছে। এরপর দুটি ডিজাইন মিললে একটা সমাধানে আসা যাবে। সেতুতে ওঠা-নামার বিষয়টি রেলওয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। পদ্মা সেতুর এ বিষয়টি পজেটিভভাবে দেখতে হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সমস্যা যত ছোটই হোক, তা এখনই সমাধান করতে হবে। সামান্য ভুলের জন্য পরে কান্নাকাটি করার মানে হয় না। সময় নিয়ে ব্যয় বাড়িয়েও যদি সমাধান করা যায়, তাহলে সমাধান করতে হবে। এখনও কাজ চলমান রয়েছে। চলমান অবস্থায় যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সমাধান করা সম্ভব। কারণ এখনও কাজ শেষ হয়নি। মনে রাখতে হবে, এটি একটি জাতীয় প্রকল্প। জাতীয়ভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ত্রুটি শব্দের সঙ্গে আমরা একমত নই। ত্রুটি তখনই হবে, যখন চূড়ান্তভাবে পাওয়া যাবে। এটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, কিছু সংশয় দেখা দিয়েছে। এত বড় প্রকল্পের পদে পদে সমস্যা হতে পারে। সেতু চালু হওয়ার আগেই এটি চিহ্নিত করা গেছে। এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, রেলসংযোগ প্রকেল্পর পিয়ারের জটিলতায় রেলওয়ের ১৩, ১৪ ও ১৫নং পিয়ার এলাকায় সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৩ ও ১৪নং পিয়ারটি ঢেকে রাখা হয়েছে। একই অবস্থা জাজিরা প্রান্তেও সেখানে পদ্মা সেতু থেকে নামার পথে রেলওয়ে পিয়ার নির্মাণে ত্রুটি থাকায় ২৪, ২৫ ও ২৬নং পিয়ার এলাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৪ ও ২৫নং পিয়ারের কাজ সম্পন্ন হলেও ২৬ নম্বর পিয়ারের কাজ শেষ হয়নি। নিচে ৬টি করে পাইল তৈরি করা অবস্থায় পড়ে আছে। উভয় পান্তে থাকা সমস্যাকবলিত স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন দুই মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা। এদিকে পদ্মা সেতু যতটুকু হয়েছেÑ পুরোটা জুড়ে রেললাইন স্থাপনের অংশটুকুও সম্পন্ন করা হয়েছে। সেতুর দুই পাশে প্রায় ৭ কিলোমিটার রেলপথ উড়াল লাইন হচ্ছে। পদ্মা সেতু পাইল-গার্ডার নির্মাণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিচের অংশে রেললাইন স্থাপন করা হবে। পয়েন্টসহ সবকিছু পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষই করে দিচ্ছে, রেল শুধু সেখানে লাইন স্থাপন করবে।