বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগে স্টার্টআপদের নিয়ে “আইডিয়াথন” কনটেস্টের উদ্বোধন

বাংলাদেশের স্টার্টআপদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম বিকশিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে “আইডিয়াথন (ideaTHON)” কনটেস্ট। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে আইডিয়া প্রকল্প আয়োজন করছে এই প্রতিযোগিতা। এই আয়োজনের সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে কোরিয়া প্রোডাক্টিভিটি সেন্টার (কেপিসি) এবং কোরিয়া ইনভেনশন প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশন (কাইপা)। এছাড়া বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিস ও গ্লোবাল স্টার্টআপ ইমিগ্রেশন সেন্টার এই আয়োজনের সহোযোগিতায় পাশে থাকছে। ‘Let’s Start You Up’ সে্লাগান নিয়ে আয়োজিতব্য এই কনটেস্টের চূড়ান্ত বাছাই শেষে সেরা ৫ উদ্ভাবনী স্টার্টআপকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বিজয়ীরা পাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে ৬ মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন, ফান্ডিং, আন্তর্জাতিক পেটেন্টসহ কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক পাবার সহযোগিতা। এছাড়া সেরা ২৫টি টিম পাবে বিশেষ মেনটরিং এবং সম্মাননাপত্র।

অনলাইনের মাধ্যমে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান অতিথি হিসেবে আইডিয়াথন কনটেস্টটির শুভ উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্?মেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) পার্থ প্রতিম দেব, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি ড. রুবানা হক। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক। ইতোমধ্যে আইডিয়াথন কনটেস্টটির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের সবগুলো বিভাগেই প্রচারণাসহ অনলাইনে ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হবে। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে দেশের প্রায় ৩০টির বেশি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এবং বেসিস, বাক্য, বিসিএস, ইক্যাব, আইএসপিএবিসহ বিভিন্ন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনকে সংযুক্ত করা হচ্ছে। কোন ব্যাক্তি এককভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। একটি দলে দলনেতাসহ সর্বনিম্ন দুজন এবং সর্বোচ্চ চারজন সদস্য অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া, শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে যারা ব্যাচেলর ডিগ্রী বা মাস্টার্স বা এমফিল বা পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন অথবা ইউজিসি কর্তৃক স্বীকৃত বাংলাদেশের যেকোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক বা সমমান পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন, এমন আগ্রহীগণ আবেদন করতে পারবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে আবেদনকারীদের বয়স ২২ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। আইডিয়াথনে অংশ নেবার জন্য রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ আগামী ২১ নভেম্বর ২০২০। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদনের জন্য ভিজিট করতে হবে http://ideathon.startupbangladesh.gov.bd।

রেজিস্ট্রেশনের পর প্রাথমিক বাছাই শেষে সেরা ১০০টি দল নির্বাচন করে তাদের প্রাথমিকভাবে মেনটরিং প্রদান করা হবে। এরপর, বাছাইকৃত টিমগুলো থেকে সেরা ২৫টি দলকে চূড়ান্ত বাছাই পর্বের জন্য মনোনীত করা হবে। চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবার পূর্বেই বাছাইকৃত সেরা ২৫টি দলকে বিশেষ মেনটরিং প্রদান করা হবে। সবশেষে বিচারকদের জাজিং সেশন সম্পন্ন হবার পর সেরা ৫ দল অর্থাৎ স্টার্টআপকে বিজয়ী হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হবে। বিজয়ী ৫টি টিমের প্রতি টিম হতে ২ জন করে মোট ১০ জন দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৭ মহররম ১৪৪২, ০৮ আশ্বিন ১৪২৭

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগে স্টার্টআপদের নিয়ে “আইডিয়াথন” কনটেস্টের উদ্বোধন

image

বাংলাদেশের স্টার্টআপদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম বিকশিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে “আইডিয়াথন (ideaTHON)” কনটেস্ট। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে আইডিয়া প্রকল্প আয়োজন করছে এই প্রতিযোগিতা। এই আয়োজনের সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে কোরিয়া প্রোডাক্টিভিটি সেন্টার (কেপিসি) এবং কোরিয়া ইনভেনশন প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশন (কাইপা)। এছাড়া বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিস ও গ্লোবাল স্টার্টআপ ইমিগ্রেশন সেন্টার এই আয়োজনের সহোযোগিতায় পাশে থাকছে। ‘Let’s Start You Up’ সে্লাগান নিয়ে আয়োজিতব্য এই কনটেস্টের চূড়ান্ত বাছাই শেষে সেরা ৫ উদ্ভাবনী স্টার্টআপকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বিজয়ীরা পাবে দক্ষিণ কোরিয়াতে ৬ মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ, ইনকিউবেশন, ফান্ডিং, আন্তর্জাতিক পেটেন্টসহ কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক পাবার সহযোগিতা। এছাড়া সেরা ২৫টি টিম পাবে বিশেষ মেনটরিং এবং সম্মাননাপত্র।

অনলাইনের মাধ্যমে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান অতিথি হিসেবে আইডিয়াথন কনটেস্টটির শুভ উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্?মেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) পার্থ প্রতিম দেব, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি ড. রুবানা হক। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক। ইতোমধ্যে আইডিয়াথন কনটেস্টটির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের সবগুলো বিভাগেই প্রচারণাসহ অনলাইনে ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হবে। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে দেশের প্রায় ৩০টির বেশি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এবং বেসিস, বাক্য, বিসিএস, ইক্যাব, আইএসপিএবিসহ বিভিন্ন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনকে সংযুক্ত করা হচ্ছে। কোন ব্যাক্তি এককভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। একটি দলে দলনেতাসহ সর্বনিম্ন দুজন এবং সর্বোচ্চ চারজন সদস্য অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া, শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে যারা ব্যাচেলর ডিগ্রী বা মাস্টার্স বা এমফিল বা পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন অথবা ইউজিসি কর্তৃক স্বীকৃত বাংলাদেশের যেকোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক বা সমমান পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন, এমন আগ্রহীগণ আবেদন করতে পারবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে আবেদনকারীদের বয়স ২২ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। আইডিয়াথনে অংশ নেবার জন্য রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ আগামী ২১ নভেম্বর ২০২০। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদনের জন্য ভিজিট করতে হবে http://ideathon.startupbangladesh.gov.bd।

রেজিস্ট্রেশনের পর প্রাথমিক বাছাই শেষে সেরা ১০০টি দল নির্বাচন করে তাদের প্রাথমিকভাবে মেনটরিং প্রদান করা হবে। এরপর, বাছাইকৃত টিমগুলো থেকে সেরা ২৫টি দলকে চূড়ান্ত বাছাই পর্বের জন্য মনোনীত করা হবে। চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবার পূর্বেই বাছাইকৃত সেরা ২৫টি দলকে বিশেষ মেনটরিং প্রদান করা হবে। সবশেষে বিচারকদের জাজিং সেশন সম্পন্ন হবার পর সেরা ৫ দল অর্থাৎ স্টার্টআপকে বিজয়ী হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হবে। বিজয়ী ৫টি টিমের প্রতি টিম হতে ২ জন করে মোট ১০ জন দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।