প্রকৃত জেলেরা বিতাড়িত অমৎস্যজীবীদের দখলে জলমহাল

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল বিলগন্ডহস্তি। গাজনার বিল নামেই পরিচিতি। যুগ যুগ ধরে রানীনগর ইউনিয়নের প্রকৃত জেলেরা এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও তাদের জলমহাল থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারি বিধি অমান্য করে ১৫ কিলোমিটার দূরের মানিকহাট ইউনিয়নের অমৎস্যজীবীরা নানা কৌশলে বিশাল এ জলমহাল লিজ নিয়ে মাছ শিকার করছে। চলতি মৌসুমে এ বিলে সরকারি আইন অমান্য করে সাব লিজ দেয়ায় বিলপাড়ে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা জলমহাল হারিয়ে অর্ধহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

সুজানগর উপজেলার বিলগন্ডিহস্তি মৌজাটি রানীনগর ইউনিয়নের অধীন। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এ মৌজার জলমহালটি রানীনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আওতাধীন ১৫০ জন জেলে (হিন্দু মৎস্যজীবী) সদস্য লিজ নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। ২০০৩ সালের এ সমবায় সমিতি অকার্যকর হয়। এরপর ২০০৫ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে মৎস্য মন্ত্রণালয়ে এ জলমহাল হস্তান্তর করা হয়। এরপর মৎস্য অধিদফতর অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে বিলুপ্তপ্রায় মৎস্য পুনরুদ্ধার প্রকল্প হাতে নেয়। সে সময় বিলপাড়ের হিন্দু প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে স্থানীয় জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সঙ্গে মৎস্য বিভাগের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। এ কমিটির ২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ কমিটি সরকারি নিয়ম-কানুন ও বিধি-বিধান মেনে টাকা জমা দিয়ে জলাশয় ভোগ দখল করে। এ সময় বিলে পুকুর খননসহ বিলুপ্ত কয়েক প্রজাতির মাছ পুনরুদ্ধার করা হয়। জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে জলমহাল লিজের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু মৎস্য মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে এ জলমহালটি ফেরত নেয়া হয়। ইতোমধ্যে নামধারী বোনখোলা মৎস্যজীবী সমিতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অতি গোপনে ৫ বছরের জন্য বিলের জলমহাল লিজ নেয়। জেলা প্রশাসন থেকে ভোগদখলকৃত প্রকৃত মৎস্যজীবীদের এ নিয়ে কোন নোটিস পর্যন্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সরকারি বিধান অমান্য করে রানীনগর ইউনিয়নের জলমহাল ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী মানিকহাট ইউনিয়নের বোনখোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে লিজ দেয়া হয়। সরকারি বিধানে বিলের আওতাধীন ইউনিয়নের প্রকৃত মৎসজীবীদের লিজ দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। প্রকৃত হিন্দু মৎস্যজীবীরা এ লিজ বাতিলের দাবিতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন চায় ভূমি মন্ত্রণালয়। জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন ২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সাব লিজ বাতিল করে প্রকৃত মৎসজীবীদের কাছে লিজ দেয়ার সুপারিশ করেন। যার স¥ারক নং ০৫.৪৩.৭৬০০.০২৮.৪০.০৬৫.১৮-১৭৩৭। মামলা থাকা অবস্থায় মন্ত্রণালয় লিজ বাতিল করতে পারবে না এ কৌশলে লিজগ্রহীতা বোনখোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি জুলফিকার খাঁ যুগ্ম জেলা জজ ২ আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে এ মামলাটি কোর্ট খারিজ করলেও এখন পর্যন্ত অমৎস্যজীবীদের লিজ বাতিল করা হয়নি। জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির হিন্দু মৎস্যজীবীরা ২০১৯ সালের ১০ জুন রানীনগর ইউনিয়নের প্রকৃত জেলেদের (হিন্দু জেলে) নিয়ে বাদাই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড গঠন করে। এ সমিতি লিজ বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের লিজ দেয়ার আবেদন করেছে বলে সমিতির সভাপতি বৈদ্যনাথ হলদার জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, অবিলম্বে অমৎস্যজীবীদের এ লিজ বাতিল দাবিতে বিলপাড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে চলতি মৌসুমে এ বিল সাব লিজ দিয়ে বিলপাড়ের আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি করা হয়েছে। একই জায়গা ২ জনকে সাব লিজ দেয়ায় গত ৬ সেপ্টেম্বর দখল নিয়ে বিলপারের রানীনগরে দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সাব লিজধারীদের অত্যাচারে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা বিলে মাছ শিকার করতে পারছে না বলে ১০০ মৎস্যজীবী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুজানগর উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের এক শীর্ষ নেতা এ সাব লিজের সঙ্গে জড়িত। তিনি বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার সমর্থকদের মধ্যে সাব লিজের ব্যবস্থা করায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বিল এলাকায় ওই নেতার সমর্থকদের দাপটে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ জানিয়েছে। এদিকে প্রকৃত মৎস্যজীবী জেলেরা জলমহাল হারিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। বাদাই গ্রামের মৎসজীবী পরেশ হলদার, শঙ্কর হলদার, দিলীপ হলদার, চরণ হলদার জানান, আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অমৎস্যজীবীরা মাছ ধরছে আর আমরা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। বাঘুলপুর গ্রামের মৎস্যজীবী শ্রীপদ হলদার, ঠাকুর হলদার, গোবিন্দ হলদার, রঞ্জিত হলদার, প্রেম হালদার আক্ষেপ করে জানান, মাছ ধরাই আমাদের বাপ দাদার পেশা অন্য কিছুতো শিখিনি আমরা কি করে খাব? বিল হারিয়ে ৩ বছর ধরে আমরা মানবেতর জীবন কাটালেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না বলেও তারা আক্ষেপ করেন। হিন্দু এ জেলেরা অমৎস্যজীবীদের লিজ বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে জলমহাল ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ ব্যাপারে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির জানিয়েছেন, সরকারি নিয়মে রানীনগর ইউনিয়নের হিন্দু প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এ জলমহাল লিজ পাওয়ার অধিকারী হলে ও এখানে তার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। তিনি প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে জলমহাল ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও খবর
অস্বস্তি কাটছে না পিয়াজের দামে, বাড়ছে চালেও
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা দেনা-পাওনার ঊর্ধ্বে : রীভা
আকামা-ভিসা থাকলে সবাই সৌদি যেতে পারবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রবাসীদের এনআইডি সরবরাহে ‘ফি’ নির্ধারণ হতে পারে
বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা
পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিএনপির দহরম-মহরম বহু পুরনো : তথ্যমন্ত্রী
সিরিয়াল ধর্ষক আলী হোসেনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
রংপুরে চলছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ক্যাডেট ও মাদ্রাসার নিয়মিত পাঠদান
ছাত্রলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে দিল শিবির
উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রচারণায় আ’লীগের হামলার অভিযোগ বিএনপির
বেওয়ারিশ কুকুর নিধন বন্ধের দাবি বাপার
ছাত্রলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে দিল শিবির
বখাটে মিজানুরের বাবা-মা আটক
নীলা হত্যার বিচার ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৭ মহররম ১৪৪২, ০৮ আশ্বিন ১৪২৭

পাবনার গাজনার বিল

প্রকৃত জেলেরা বিতাড়িত অমৎস্যজীবীদের দখলে জলমহাল

নিজস্ব বার্র্তা পরিবেশক, পাবনা

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল বিলগন্ডহস্তি। গাজনার বিল নামেই পরিচিতি। যুগ যুগ ধরে রানীনগর ইউনিয়নের প্রকৃত জেলেরা এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও তাদের জলমহাল থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারি বিধি অমান্য করে ১৫ কিলোমিটার দূরের মানিকহাট ইউনিয়নের অমৎস্যজীবীরা নানা কৌশলে বিশাল এ জলমহাল লিজ নিয়ে মাছ শিকার করছে। চলতি মৌসুমে এ বিলে সরকারি আইন অমান্য করে সাব লিজ দেয়ায় বিলপাড়ে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা জলমহাল হারিয়ে অর্ধহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

সুজানগর উপজেলার বিলগন্ডিহস্তি মৌজাটি রানীনগর ইউনিয়নের অধীন। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এ মৌজার জলমহালটি রানীনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আওতাধীন ১৫০ জন জেলে (হিন্দু মৎস্যজীবী) সদস্য লিজ নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। ২০০৩ সালের এ সমবায় সমিতি অকার্যকর হয়। এরপর ২০০৫ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে মৎস্য মন্ত্রণালয়ে এ জলমহাল হস্তান্তর করা হয়। এরপর মৎস্য অধিদফতর অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে বিলুপ্তপ্রায় মৎস্য পুনরুদ্ধার প্রকল্প হাতে নেয়। সে সময় বিলপাড়ের হিন্দু প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে স্থানীয় জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সঙ্গে মৎস্য বিভাগের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। এ কমিটির ২০০৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ কমিটি সরকারি নিয়ম-কানুন ও বিধি-বিধান মেনে টাকা জমা দিয়ে জলাশয় ভোগ দখল করে। এ সময় বিলে পুকুর খননসহ বিলুপ্ত কয়েক প্রজাতির মাছ পুনরুদ্ধার করা হয়। জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে জলমহাল লিজের মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু মৎস্য মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে এ জলমহালটি ফেরত নেয়া হয়। ইতোমধ্যে নামধারী বোনখোলা মৎস্যজীবী সমিতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে অতি গোপনে ৫ বছরের জন্য বিলের জলমহাল লিজ নেয়। জেলা প্রশাসন থেকে ভোগদখলকৃত প্রকৃত মৎস্যজীবীদের এ নিয়ে কোন নোটিস পর্যন্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সরকারি বিধান অমান্য করে রানীনগর ইউনিয়নের জলমহাল ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী মানিকহাট ইউনিয়নের বোনখোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে লিজ দেয়া হয়। সরকারি বিধানে বিলের আওতাধীন ইউনিয়নের প্রকৃত মৎসজীবীদের লিজ দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। প্রকৃত হিন্দু মৎস্যজীবীরা এ লিজ বাতিলের দাবিতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন চায় ভূমি মন্ত্রণালয়। জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন ২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সাব লিজ বাতিল করে প্রকৃত মৎসজীবীদের কাছে লিজ দেয়ার সুপারিশ করেন। যার স¥ারক নং ০৫.৪৩.৭৬০০.০২৮.৪০.০৬৫.১৮-১৭৩৭। মামলা থাকা অবস্থায় মন্ত্রণালয় লিজ বাতিল করতে পারবে না এ কৌশলে লিজগ্রহীতা বোনখোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি জুলফিকার খাঁ যুগ্ম জেলা জজ ২ আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে এ মামলাটি কোর্ট খারিজ করলেও এখন পর্যন্ত অমৎস্যজীবীদের লিজ বাতিল করা হয়নি। জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির হিন্দু মৎস্যজীবীরা ২০১৯ সালের ১০ জুন রানীনগর ইউনিয়নের প্রকৃত জেলেদের (হিন্দু জেলে) নিয়ে বাদাই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড গঠন করে। এ সমিতি লিজ বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের লিজ দেয়ার আবেদন করেছে বলে সমিতির সভাপতি বৈদ্যনাথ হলদার জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, অবিলম্বে অমৎস্যজীবীদের এ লিজ বাতিল দাবিতে বিলপাড়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে চলতি মৌসুমে এ বিল সাব লিজ দিয়ে বিলপাড়ের আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি করা হয়েছে। একই জায়গা ২ জনকে সাব লিজ দেয়ায় গত ৬ সেপ্টেম্বর দখল নিয়ে বিলপারের রানীনগরে দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সাব লিজধারীদের অত্যাচারে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা বিলে মাছ শিকার করতে পারছে না বলে ১০০ মৎস্যজীবী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুজানগর উপজেলার ক্ষমতাসীন দলের এক শীর্ষ নেতা এ সাব লিজের সঙ্গে জড়িত। তিনি বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার সমর্থকদের মধ্যে সাব লিজের ব্যবস্থা করায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বিল এলাকায় ওই নেতার সমর্থকদের দাপটে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ জানিয়েছে। এদিকে প্রকৃত মৎস্যজীবী জেলেরা জলমহাল হারিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। বাদাই গ্রামের মৎসজীবী পরেশ হলদার, শঙ্কর হলদার, দিলীপ হলদার, চরণ হলদার জানান, আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অমৎস্যজীবীরা মাছ ধরছে আর আমরা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। বাঘুলপুর গ্রামের মৎস্যজীবী শ্রীপদ হলদার, ঠাকুর হলদার, গোবিন্দ হলদার, রঞ্জিত হলদার, প্রেম হালদার আক্ষেপ করে জানান, মাছ ধরাই আমাদের বাপ দাদার পেশা অন্য কিছুতো শিখিনি আমরা কি করে খাব? বিল হারিয়ে ৩ বছর ধরে আমরা মানবেতর জীবন কাটালেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না বলেও তারা আক্ষেপ করেন। হিন্দু এ জেলেরা অমৎস্যজীবীদের লিজ বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে জলমহাল ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ ব্যাপারে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মেদ ফিরোজ কবির জানিয়েছেন, সরকারি নিয়মে রানীনগর ইউনিয়নের হিন্দু প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এ জলমহাল লিজ পাওয়ার অধিকারী হলে ও এখানে তার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। তিনি প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে জলমহাল ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।