বেওয়ারিশ কুকুর নিধন বন্ধের দাবি বাপার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বেওয়ারিশ কুকুর নিধন বন্ধের দাবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। গতকাল অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বলা হয়, রাস্তার কুকুর মেরে ফেললে ইঁদুর ও প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে। দেশের তরুণ সমাজকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ এবং উৎসাহী করতে প্রয়োজনে একটি জাতীয়ভাবে কর্মসূচির নেয়ার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক শারমিন মুরশিদ। অনলাইন সংবাদ সম্মেলন সঞ্চলনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।

শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘ডিএসসিসি থেকে কুকুর অপসারণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অবৈজ্ঞানিক, অমানবিক বেআইনি। প্রাণি কল্যাণ আইন, ২০১৯ অনুযায়ী এই কার্যক্রম সম্পূর্ণ বেআইনি। কুকুর নিধন নয়, জলাতঙ্ক টিকা ও বন্ধ্যাত্মকরণ কর্মসূচি চালু করতে হবে। এজন্য রয়েছে বৈজ্ঞানিক কৌশল। কুকুরসহ অসংখ্য প্রাণীর নগরে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। কুকুরসহ পোষা প্রাণী মেরে ফেললে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কুকুর নিধন করলে ইঁদুরের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে, প্লেগ রোগের প্রাদর্ভাব দেখা দিতে পারে।

উদাহরণ তুলে ধরে শারমিন বলেন, ‘১৯৯৪ সালে ভারতের একটি শহরে বিপুল সংখ্যাক কুকুর নিধন করার কারণে ইঁদুরের প্রকোপ বেড়ে যায়। প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কুকুরকে টিকা দিয়ে জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিন্তু প্লেগ রোগ টিকা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। অন্যান্য মেগা সিটির তুলনায় ঢাকা শহরে পোষা প্রাণীর সংখ্যা অনেক কম।

সংবাদ সম্মেলনে রাজধানী থেকে কুকুর অপসারণের প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, অপরিকল্পিতভাবে কুকুর স্থানান্তর কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যেই স্থানান্তরিত কুকুরগুলোকে তাদের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ এবং কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা মোতাবেক পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরও খবর
অস্বস্তি কাটছে না পিয়াজের দামে, বাড়ছে চালেও
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা দেনা-পাওনার ঊর্ধ্বে : রীভা
আকামা-ভিসা থাকলে সবাই সৌদি যেতে পারবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রবাসীদের এনআইডি সরবরাহে ‘ফি’ নির্ধারণ হতে পারে
বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা
পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিএনপির দহরম-মহরম বহু পুরনো : তথ্যমন্ত্রী
সিরিয়াল ধর্ষক আলী হোসেনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
রংপুরে চলছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ক্যাডেট ও মাদ্রাসার নিয়মিত পাঠদান
ছাত্রলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে দিল শিবির
উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রচারণায় আ’লীগের হামলার অভিযোগ বিএনপির
প্রকৃত জেলেরা বিতাড়িত অমৎস্যজীবীদের দখলে জলমহাল
ছাত্রলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কেটে দিল শিবির
বখাটে মিজানুরের বাবা-মা আটক
নীলা হত্যার বিচার ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৭ মহররম ১৪৪২, ০৮ আশ্বিন ১৪২৭

বেওয়ারিশ কুকুর নিধন বন্ধের দাবি বাপার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বেওয়ারিশ কুকুর নিধন বন্ধের দাবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। গতকাল অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বলা হয়, রাস্তার কুকুর মেরে ফেললে ইঁদুর ও প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে। দেশের তরুণ সমাজকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ এবং উৎসাহী করতে প্রয়োজনে একটি জাতীয়ভাবে কর্মসূচির নেয়ার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক শারমিন মুরশিদ। অনলাইন সংবাদ সম্মেলন সঞ্চলনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।

শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘ডিএসসিসি থেকে কুকুর অপসারণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অবৈজ্ঞানিক, অমানবিক বেআইনি। প্রাণি কল্যাণ আইন, ২০১৯ অনুযায়ী এই কার্যক্রম সম্পূর্ণ বেআইনি। কুকুর নিধন নয়, জলাতঙ্ক টিকা ও বন্ধ্যাত্মকরণ কর্মসূচি চালু করতে হবে। এজন্য রয়েছে বৈজ্ঞানিক কৌশল। কুকুরসহ অসংখ্য প্রাণীর নগরে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। কুকুরসহ পোষা প্রাণী মেরে ফেললে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কুকুর নিধন করলে ইঁদুরের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে, প্লেগ রোগের প্রাদর্ভাব দেখা দিতে পারে।

উদাহরণ তুলে ধরে শারমিন বলেন, ‘১৯৯৪ সালে ভারতের একটি শহরে বিপুল সংখ্যাক কুকুর নিধন করার কারণে ইঁদুরের প্রকোপ বেড়ে যায়। প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কুকুরকে টিকা দিয়ে জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিন্তু প্লেগ রোগ টিকা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। অন্যান্য মেগা সিটির তুলনায় ঢাকা শহরে পোষা প্রাণীর সংখ্যা অনেক কম।

সংবাদ সম্মেলনে রাজধানী থেকে কুকুর অপসারণের প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, অপরিকল্পিতভাবে কুকুর স্থানান্তর কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যেই স্থানান্তরিত কুকুরগুলোকে তাদের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ এবং কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা মোতাবেক পদক্ষেপ নিতে হবে।