রপ্তানি বন্ধের পরও ভারতে কমেনি পিয়াজের দাম

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টানতে পিয়াজ রপ্তানি সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এরপরও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি দেশটির সরকার। রপ্তানি বন্ধের পর ভারতের বাজারে পিয়াজের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেনি দাম। রপ্তানি বন্ধের পরও দেশটির পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম ২০-৩০ শতাংশ বেড়েছে। আগামী দিনগুলোয় পণ্যটির দাম বর্তমানের তুলনায় আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। ইকোনমিক টাইমস।

এবারের মৌসুমে ভারতের পিয়াজ উৎপাদনকারী এলাকাগুলোয় অতিবৃষ্টি ও দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কারণে পণ্যটির উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পিয়াজের বাজারে। বাড়তে বাড়তে সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভারতের পাইকারি বাজারে প্রতি কুইন্টাল রপ্তানিযোগ্য পিয়াজের দাম ২ হাজার ৫০০ রুপি ছাড়িয়ে যায়। ওই সময় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানিতে লাগাম টেনে অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। ফলে ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে পিয়াজ রপ্তানি সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দেয় দিল্লি। এরপর ১০ দিনের বেশি সময় পার হয়েছে। এরমধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বরং রপ্তানি বন্ধের পর গত ১০ দিনে ভারতের পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম ২০-৩০ শতাংশ বেড়েছে। নাসিক জেলার লাসালগাঁওয়ে এশিয়ার সবচেয়ে বড় পিয়াজের পাইকারি বেচাকেনার কেন্দ্র অবস্থিত। ১৪ সেপ্টেম্বর এখানকার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ২৭ রুপিতে (ভারতীয় মুদ্রা) বিক্রি হয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রতি কেজি পিয়াজের দাম বেড়ে ৩৬ রুপিতে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর ভারতে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম রয়েছে ৩৫ রুপি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছরই আগস্ট- সেপ্টেম্বর মাসে পিয়াজের বাজারে সংকট তৈরি হয়। দাম বাড়ে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সংকট নিরসন ও মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টানতে গত বছরের মতো এবারও পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে। তবে বাজারে এর খুব একটা সুফল মেলেনি। রপ্তানি সাময়িক বন্ধের পর পাইকারি বাজারে পিয়াজের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে ঠিকই, তবে দাম কমেনি। উল্টো গত ১০ দিনে পণ্যটির দাম বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের বাজারে নতুন মৌসুমের পিয়াজ উঠবে। ওই সময় সরবরাহ অনেকটাই বাড়বে। ফলে কমে আসতে পারে পিয়াজের দাম-এমনটাই মনে করছেন ভারতীয় পিয়াজ ব্যবসায়ীরা। তার আগে পর্যন্ত ভারতের পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে আরও অন্তত এক মাস বাড়তি দামে পিয়াজ কিনতে হতে পারে ভারতীয়দের।

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৮ মহররম ১৪৪২, ০৯ আশ্বিন ১৪২৭

রপ্তানি বন্ধের পরও ভারতে কমেনি পিয়াজের দাম

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টানতে পিয়াজ রপ্তানি সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এরপরও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি দেশটির সরকার। রপ্তানি বন্ধের পর ভারতের বাজারে পিয়াজের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেনি দাম। রপ্তানি বন্ধের পরও দেশটির পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম ২০-৩০ শতাংশ বেড়েছে। আগামী দিনগুলোয় পণ্যটির দাম বর্তমানের তুলনায় আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। ইকোনমিক টাইমস।

এবারের মৌসুমে ভারতের পিয়াজ উৎপাদনকারী এলাকাগুলোয় অতিবৃষ্টি ও দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কারণে পণ্যটির উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পিয়াজের বাজারে। বাড়তে বাড়তে সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভারতের পাইকারি বাজারে প্রতি কুইন্টাল রপ্তানিযোগ্য পিয়াজের দাম ২ হাজার ৫০০ রুপি ছাড়িয়ে যায়। ওই সময় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানিতে লাগাম টেনে অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। ফলে ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে পিয়াজ রপ্তানি সাময়িক বন্ধের ঘোষণা দেয় দিল্লি। এরপর ১০ দিনের বেশি সময় পার হয়েছে। এরমধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বরং রপ্তানি বন্ধের পর গত ১০ দিনে ভারতের পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম ২০-৩০ শতাংশ বেড়েছে। নাসিক জেলার লাসালগাঁওয়ে এশিয়ার সবচেয়ে বড় পিয়াজের পাইকারি বেচাকেনার কেন্দ্র অবস্থিত। ১৪ সেপ্টেম্বর এখানকার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ২৭ রুপিতে (ভারতীয় মুদ্রা) বিক্রি হয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রতি কেজি পিয়াজের দাম বেড়ে ৩৬ রুপিতে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর ভারতে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম রয়েছে ৩৫ রুপি।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছরই আগস্ট- সেপ্টেম্বর মাসে পিয়াজের বাজারে সংকট তৈরি হয়। দাম বাড়ে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সংকট নিরসন ও মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টানতে গত বছরের মতো এবারও পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে। তবে বাজারে এর খুব একটা সুফল মেলেনি। রপ্তানি সাময়িক বন্ধের পর পাইকারি বাজারে পিয়াজের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে ঠিকই, তবে দাম কমেনি। উল্টো গত ১০ দিনে পণ্যটির দাম বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের বাজারে নতুন মৌসুমের পিয়াজ উঠবে। ওই সময় সরবরাহ অনেকটাই বাড়বে। ফলে কমে আসতে পারে পিয়াজের দাম-এমনটাই মনে করছেন ভারতীয় পিয়াজ ব্যবসায়ীরা। তার আগে পর্যন্ত ভারতের পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফলে আরও অন্তত এক মাস বাড়তি দামে পিয়াজ কিনতে হতে পারে ভারতীয়দের।