পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, এক সময় দেশ দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এর হাত থেকে দেশকে বাঁচিয়ে একটা উন্নয়নের পথে এনেছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জীবিত আছেন বলেই দুর্দিনেও জনগণ সহযোগিতা পাচ্ছেন। তিনি বিশ্বের কাছে দেশের মান-ইজ্জত অনেক উঁচুতে নিয়েছেন।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ফাল্গুনী হামিদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

আবদুল মোমেন বলেন, করোনাভাইরাসের সময় আমরা যখন পিপিই, ভেন্টিলেটর নিয়ে ভাবছিলাম, শেখ হাসিনা তখন জনগণের কথা ভাবছিলেন। শহর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বাড়িতে বাড়িতে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার প্রতিটি সিদ্ধান্ত, চিন্তা একই ছিল। তাদের উভয়েরই লক্ষ্য জনগণের উন্নয়ন। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে আমরা সবাই যখন পিপিই, ভেন্টিলেটর নিয়ে ভাবছিলাম; কীভাবে সংগ্রহ করবো। শেখ হাসিনা তখন জনগণের কথা ভাবছিলেন। তারা করোনাকালে কীভাবে চলবেন, খাবার কোথায় পাবেন। তার সিদ্ধান্ত মতে শহর থেকে তৃনমূল পর্যন্ত বাড়িতে বাড়িতে খাবারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে শেখ হাসিনার মতো একজন রাষ্ট্র নায়ক পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি। শেখ হাসিনা জীবিত আছেন বলেই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারছেন। পরীক্ষায় আর সেশনজট হয় না, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এসেছে, গণমাধ্যমের প্রসার ঘটেছে।

খালিদ বাবু বলেন, জাতির পিতার খুনের সময় অনেকেই উল্লাস করেছেন, তারা এখন আমাদের শরিক দল। জাতির পিতার কন্যাকে ১৯বার হত্যা করার চক্রান্ত করা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন বলেই আজ দেশের সব সেক্টরের উন্নতি হয়েছে। তার বেঁচে থাকা খুবই জরুরি, তিনি না থাকলে দেশের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হবে।