প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে গ্রামে

গ্রামীণ পর্যটন বিকাশের আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর

বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’। দিবসটি উদযাপনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ট্যুরিজম বোর্ড এবং পর্যটন করপোরেশন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে গতকাল অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশের গ্রাম না দেখলে বাংলাদেশকে দেখা হবে না। বাংলাদেশের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে আমাদের গ্রামগুলোতে। গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করবে। গ্রামীণ জনসাধারণকে পর্যটন কর্মকাণ্ড সম্পৃক্ত করতে ও তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করে চলছে। ভবিষ্যতে একাজের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে। সবার প্রচেষ্টায়, সবাইকে নিয়েই দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সর্বস্তরের জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের যে সম্পদ আছে তাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। যেগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেয়া হবে। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ও পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্পকে পরিচালনা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এস ও পি) প্রণয়ন করেছে। এই এসওপি অনুযায়ী স্থানীয় পর্যটন খাত পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তত্ত্বাবধানের জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি কঠোরভাবে তত্ত্বাবধান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রে গমন করেন সেজন্য বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য কাজ চলছে। কোভিড-১৯-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন। তার মধ্যে আমাদের পর্যটন শিল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ইতোমধ্যে একটি রিকভারি প্ল্যান তৈরি করেছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৮ মহররম ১৪৪২, ০৯ আশ্বিন ১৪২৭

বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে গ্রামে

গ্রামীণ পর্যটন বিকাশের আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’। দিবসটি উদযাপনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ট্যুরিজম বোর্ড এবং পর্যটন করপোরেশন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে গতকাল অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশের গ্রাম না দেখলে বাংলাদেশকে দেখা হবে না। বাংলাদেশের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে আমাদের গ্রামগুলোতে। গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করবে। গ্রামীণ জনসাধারণকে পর্যটন কর্মকাণ্ড সম্পৃক্ত করতে ও তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করে চলছে। ভবিষ্যতে একাজের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে। সবার প্রচেষ্টায়, সবাইকে নিয়েই দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সর্বস্তরের জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের যে সম্পদ আছে তাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। যেগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেয়া হবে। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ও পর্যটনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্পকে পরিচালনা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এস ও পি) প্রণয়ন করেছে। এই এসওপি অনুযায়ী স্থানীয় পর্যটন খাত পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তত্ত্বাবধানের জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি কঠোরভাবে তত্ত্বাবধান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রে গমন করেন সেজন্য বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য কাজ চলছে। কোভিড-১৯-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন। তার মধ্যে আমাদের পর্যটন শিল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ইতোমধ্যে একটি রিকভারি প্ল্যান তৈরি করেছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।