মুমূর্ষু স্বামীর রক্ত জোগাড় করার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ

ধর্ষক ও সহযোগীকে গ্রেফতার

অসুস্থ স্বামীর জন্য রক্ত জোগাড় করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে মনোয়ার হোসেন সজীব নামে এক লম্পটকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাব ২। ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে মাশনু আরা বেগম শিল্পী নামে আরেক নারীকেও গ্রেফতার করা হয়। গতকাল মিরপুর মণিপুরী পাড়ার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব ২-এর এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভিকটিম তার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের ভর্তি করায়। দায়িত্বরত ডাক্তার স্বামীর জন্য রক্ত প্রয়োজন এবং জরুরিভাবে রক্তের ব্যবস্থা করার পরার্মশ দেন। ভিকটিম সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ব্লাড ব্যাংকের সামনে গিয়ে ৩ থেকে ৪ জন পুরুষ লোককে বসা দেখতে পেয়ে ও পজেটিভ রক্তের বিষয়ে জানতে চায়। এ সময় মো. মনোয়ার হোসেন সজীব ব্লাডের ব্যবস্থা করে দিবে বলে ওই গৃহবধূকে আশ্বাস দেয়। পরদিন দুপুরে কৌশলে রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়ার নাম করে মিরপুর থানার মধ্য মণিপুরী পাড়ার শিফা ভিলার মাশনু আরা বেগম শিল্পীর বাসায় নিয়ে যায় ওই গৃহবধূকে। ওই বাসায় নিয়ে মাশনু আরা বেগম শিল্পীর সহযোগিতায় মো. মনোয়ার হোসেন সজীব ভিকটিমকে ধষর্ণ করে। ভিকটিম চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভিকটিম লোকলজ্জার ভয়ে ও স্বামীর অসুস্থতার কারণে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখে।

র‌্যাবের এএসপি মামুন জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাড়ে ৭টায় আসামি ভিকটিমের স্বামীর মোবাইলে কল করে বলে রক্তের ব্যবস্থা হয়েছে, আপনার স্ত্রীকে সোহ্্রাওয়ার্দী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পাঠিয়ে দেন। তখন ভিকটিম পুনরায় ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে তার স্বামীকে ধষর্ণের বিষয়টি খুলে বলে। তারপর তারা দুইজন র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ করলে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া য়ায়। র‌্যাব-২-এর আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মনোয়ার এবং ধর্ষণের সহযোগী শিল্পীকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি মো. মনোয়ার হোসেন সজীব স্বীকার করে সে তার কথিত বান্ধবী মাশনু আরা বেগম শিল্পীর সহযোগিতায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করেছে। তাদের দুজনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। শিল্পী বিবাহিত হলেও তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত মনোয়ারের। মনোয়ার শিল্পীর বাসায় গিয়ে নানা রকম অপকর্ম করে।

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৮ মহররম ১৪৪২, ০৯ আশ্বিন ১৪২৭

মুমূর্ষু স্বামীর রক্ত জোগাড় করার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ

ধর্ষক ও সহযোগীকে গ্রেফতার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অসুস্থ স্বামীর জন্য রক্ত জোগাড় করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে মনোয়ার হোসেন সজীব নামে এক লম্পটকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাব ২। ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে মাশনু আরা বেগম শিল্পী নামে আরেক নারীকেও গ্রেফতার করা হয়। গতকাল মিরপুর মণিপুরী পাড়ার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব ২-এর এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভিকটিম তার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের ভর্তি করায়। দায়িত্বরত ডাক্তার স্বামীর জন্য রক্ত প্রয়োজন এবং জরুরিভাবে রক্তের ব্যবস্থা করার পরার্মশ দেন। ভিকটিম সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ব্লাড ব্যাংকের সামনে গিয়ে ৩ থেকে ৪ জন পুরুষ লোককে বসা দেখতে পেয়ে ও পজেটিভ রক্তের বিষয়ে জানতে চায়। এ সময় মো. মনোয়ার হোসেন সজীব ব্লাডের ব্যবস্থা করে দিবে বলে ওই গৃহবধূকে আশ্বাস দেয়। পরদিন দুপুরে কৌশলে রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়ার নাম করে মিরপুর থানার মধ্য মণিপুরী পাড়ার শিফা ভিলার মাশনু আরা বেগম শিল্পীর বাসায় নিয়ে যায় ওই গৃহবধূকে। ওই বাসায় নিয়ে মাশনু আরা বেগম শিল্পীর সহযোগিতায় মো. মনোয়ার হোসেন সজীব ভিকটিমকে ধষর্ণ করে। ভিকটিম চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভিকটিম লোকলজ্জার ভয়ে ও স্বামীর অসুস্থতার কারণে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখে।

র‌্যাবের এএসপি মামুন জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাড়ে ৭টায় আসামি ভিকটিমের স্বামীর মোবাইলে কল করে বলে রক্তের ব্যবস্থা হয়েছে, আপনার স্ত্রীকে সোহ্্রাওয়ার্দী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পাঠিয়ে দেন। তখন ভিকটিম পুনরায় ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে তার স্বামীকে ধষর্ণের বিষয়টি খুলে বলে। তারপর তারা দুইজন র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ করলে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া য়ায়। র‌্যাব-২-এর আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মনোয়ার এবং ধর্ষণের সহযোগী শিল্পীকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি মো. মনোয়ার হোসেন সজীব স্বীকার করে সে তার কথিত বান্ধবী মাশনু আরা বেগম শিল্পীর সহযোগিতায় ভিকটিমকে ধর্ষণ করেছে। তাদের দুজনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। শিল্পী বিবাহিত হলেও তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত মনোয়ারের। মনোয়ার শিল্পীর বাসায় গিয়ে নানা রকম অপকর্ম করে।