নদীভাঙন রোধে সবস্থানে নদী শাসন করা হবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

নদীভাঙন রোধে দেশের সবগুলো নদী শাসন করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, উজানে বৃষ্টি হলে তা নেমে এসে আমাদের দেশে বন্যার সৃষ্টি হয়। নদী ভাঙনের ফলে পানির সঙ্গে পলি নেমে আসে। দেশে বছরে এক বিলিয়ন পলি জমে। প্রতি বছর নদী ভরাট হয়ে চর জেগে উঠছে এবং নদীও গতিপথ পরিবর্তন করছে। প্রতি বছর ভাঙন রোধে বাঁধ দেয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ ভালো করতে গতিটা কিছু ধীরে হয়। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কিছু সময় লাগবে।

গতকাল লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এএম আমিনুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর ও আদিতমারী ইউএনও মনসুর উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় নৌকাযোগে তিস্তার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন প্রতিমন্ত্রী। নৌকা থেকে নেমে এসব মানুষকে বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। পরে দিনাজপুরের গৌরিপুর সেচ প্রকল্প পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ড্রেজিং করে নদী ছোট করে কৃষি জমি বাড়ানো হবে। এতে অনেক টাকা দরকার। এজন্য বিদেশি ডোনারদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। তিস্তা পাড়ের মানুষের কষ্ট প্রধানমন্ত্রী বুঝেন। বিগত সরকার নদী শাসনে তেমন কোন টাকা ব্যয় করতে পারেনি। এতদিন কাজ শুরু হতো কিন্তু করোনার জন্য সবকিছু পিছিয়ে গেছে।

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৮ মহররম ১৪৪২, ০৯ আশ্বিন ১৪২৭

নদীভাঙন রোধে সবস্থানে নদী শাসন করা হবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নদীভাঙন রোধে দেশের সবগুলো নদী শাসন করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, উজানে বৃষ্টি হলে তা নেমে এসে আমাদের দেশে বন্যার সৃষ্টি হয়। নদী ভাঙনের ফলে পানির সঙ্গে পলি নেমে আসে। দেশে বছরে এক বিলিয়ন পলি জমে। প্রতি বছর নদী ভরাট হয়ে চর জেগে উঠছে এবং নদীও গতিপথ পরিবর্তন করছে। প্রতি বছর ভাঙন রোধে বাঁধ দেয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ ভালো করতে গতিটা কিছু ধীরে হয়। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কিছু সময় লাগবে।

গতকাল লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এএম আমিনুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর ও আদিতমারী ইউএনও মনসুর উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় নৌকাযোগে তিস্তার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন প্রতিমন্ত্রী। নৌকা থেকে নেমে এসব মানুষকে বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। পরে দিনাজপুরের গৌরিপুর সেচ প্রকল্প পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ড্রেজিং করে নদী ছোট করে কৃষি জমি বাড়ানো হবে। এতে অনেক টাকা দরকার। এজন্য বিদেশি ডোনারদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। তিস্তা পাড়ের মানুষের কষ্ট প্রধানমন্ত্রী বুঝেন। বিগত সরকার নদী শাসনে তেমন কোন টাকা ব্যয় করতে পারেনি। এতদিন কাজ শুরু হতো কিন্তু করোনার জন্য সবকিছু পিছিয়ে গেছে।