রাজধানীতে অবৈধ রিকশার সংখ্যা ১০ লাখ

নিবন্ধনের সময় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি

রাজধানীতে লাইসেন্সধারী রিকশা ও রিকশাভ্যানের সংখ্যা মোট ৭৯ হাজার ৫৫৪টি। যদিও বাস্তবে এর সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। প্রায় ১০ লাখ রিকশা অবৈধ। ১৯৮৬ সাল থেকে গত ৩৪ বছরে এসব অযান্ত্রিক বাহনের (রিকশা ও ভ্যান) নতুন লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখে সিটি করপোরেশন। যদিও এ সময়ে প্রতিদিনই রাস্তায় নেমেছে নতুন নতুন বাহন। এই অবৈধ রিকশার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে ২৮টি সংগঠন। এ অবস্থায় ?‘অবৈধ’ এসব বাহনের নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। যা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রিকশা-ভ্যান-ঠেলাগাড়ি-টালিগাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ির নিবন্ধন, নবায়ন ও মালিকানা পরিবর্তন করা যাবে। পূর্ব-ঘোষিত ২৭ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা তিন দিন বাড়িয়ে নতুন সময় পর্যন্ত আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে। একই সঙ্গে সংগৃহীত আবেদনপত্র জমা দেয়ার মেয়াদ ৪ দিন বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ অক্টোবর পর্যন্ত।

মেয়াদ বাড়ানো বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে রিকশা-ভ্যানসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অযান্ত্রিক বাহনগুলোর নিবন্ধন, নবায়ন ও মালিকানা পরিবর্তনের যে কার্যক্রম শুরু করেছি, আমরা তাতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের কাছে রিকশা মালিকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন ও রিকশাচালকরা নিবন্ধন, নবায়ন ও মালিকানা পরিবর্তনের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সাল থেকে গত ৩৪ বছরে এসব অযান্ত্রিক বাহনের (রিকশা ও ভ্যান) নতুন লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখে সিটি করপোরেশন। যদিও এ সময়ে প্রতিদিনই রাস্তায় নেমেছে নতুন নতুন বাহন। এ অবস্থায় ?‘অবৈধ’ এসব বাহনের নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এই অবৈধ রিকশার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে ২৮টি সংগঠন। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এসব সংগঠনের মধ্যে ঢাকা বিভাগ রিকশা ও ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ রিকশা ও ভ্যান মালিক ফেডারেশন, মহানগর রিকশা মালিক লীগ, রিকশা ও ভ্যান মালিক-শ্রমিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ রিকশা ও ভ্যান মালিক ফেডারেশন, জাতীয় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ রিকশা মালিক লীগ, রিকশা এবং শ্রমিক-মালিক লীগ, ঢাকা সিটি মুক্তিযোদ্ধা রিকশা-ভ্যান মালিক কল্যাণ সোসাইটি অন্যতম। লাইসেন্সবিহীন এসব রিকশা নিয়ন্ত্রণহীন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সিটি করপোরেশন থেকে লাইসেন্স দেয়া রিকশাগুলোর বিষয়েও এতদিন ছিল না কোন নিয়ন্ত্রণ বা বিধিমালা।

রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৮ মহররম ১৪৪২, ০৯ আশ্বিন ১৪২৭

রাজধানীতে অবৈধ রিকশার সংখ্যা ১০ লাখ

নিবন্ধনের সময় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীতে লাইসেন্সধারী রিকশা ও রিকশাভ্যানের সংখ্যা মোট ৭৯ হাজার ৫৫৪টি। যদিও বাস্তবে এর সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। প্রায় ১০ লাখ রিকশা অবৈধ। ১৯৮৬ সাল থেকে গত ৩৪ বছরে এসব অযান্ত্রিক বাহনের (রিকশা ও ভ্যান) নতুন লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখে সিটি করপোরেশন। যদিও এ সময়ে প্রতিদিনই রাস্তায় নেমেছে নতুন নতুন বাহন। এই অবৈধ রিকশার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে ২৮টি সংগঠন। এ অবস্থায় ?‘অবৈধ’ এসব বাহনের নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। যা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রিকশা-ভ্যান-ঠেলাগাড়ি-টালিগাড়ি ও ঘোড়ার গাড়ির নিবন্ধন, নবায়ন ও মালিকানা পরিবর্তন করা যাবে। পূর্ব-ঘোষিত ২৭ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা তিন দিন বাড়িয়ে নতুন সময় পর্যন্ত আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে। একই সঙ্গে সংগৃহীত আবেদনপত্র জমা দেয়ার মেয়াদ ৪ দিন বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ অক্টোবর পর্যন্ত।

মেয়াদ বাড়ানো বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে রিকশা-ভ্যানসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অযান্ত্রিক বাহনগুলোর নিবন্ধন, নবায়ন ও মালিকানা পরিবর্তনের যে কার্যক্রম শুরু করেছি, আমরা তাতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের কাছে রিকশা মালিকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন ও রিকশাচালকরা নিবন্ধন, নবায়ন ও মালিকানা পরিবর্তনের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ডিএসসিসি’র সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সাল থেকে গত ৩৪ বছরে এসব অযান্ত্রিক বাহনের (রিকশা ও ভ্যান) নতুন লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখে সিটি করপোরেশন। যদিও এ সময়ে প্রতিদিনই রাস্তায় নেমেছে নতুন নতুন বাহন। এ অবস্থায় ?‘অবৈধ’ এসব বাহনের নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এই অবৈধ রিকশার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে ২৮টি সংগঠন। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এসব সংগঠনের মধ্যে ঢাকা বিভাগ রিকশা ও ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ রিকশা ও ভ্যান মালিক ফেডারেশন, মহানগর রিকশা মালিক লীগ, রিকশা ও ভ্যান মালিক-শ্রমিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ রিকশা ও ভ্যান মালিক ফেডারেশন, জাতীয় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ রিকশা মালিক লীগ, রিকশা এবং শ্রমিক-মালিক লীগ, ঢাকা সিটি মুক্তিযোদ্ধা রিকশা-ভ্যান মালিক কল্যাণ সোসাইটি অন্যতম। লাইসেন্সবিহীন এসব রিকশা নিয়ন্ত্রণহীন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সিটি করপোরেশন থেকে লাইসেন্স দেয়া রিকশাগুলোর বিষয়েও এতদিন ছিল না কোন নিয়ন্ত্রণ বা বিধিমালা।