নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবৈধ গ্যাস রাইজার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াদী ঋষিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা না হলে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ হাবিব মোহাম্মদ সামাদ বলেন, ঘটনাস্থলে পাশাপাশি ছয়টি গ্যাস রাইজার ছিল। বজ্রপাত থেকে দুটি রাইজারে আগুন লাগে। সেখান থেকে অনবরত গ্যাস বের হতে থাকায় আগুন অনেক উপরে উঠে যায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে রাইজার দুটির কভার খুলে চাবি বন্ধ করে দেই।
গ্যাস রাইজারের সংযোগটি অবৈধ ছিল নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তিতাসের মাধ্যমে জেনেছি, সেখানে গ্যাস সংযোগটি অবৈধ ছিল এবং লাইনে লিকেজ ছিল। লিকেজ থেকে বের হওয়া গ্যাস এবং বজ্রপাত থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। খবর দিলে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে হতাহত কিংবা তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইউএনও আরও বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও রাইজার যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হয়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তিতাস ও স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি। ঘটনাস্থলে আরও উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান ও মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাহ জামে মসজিদের অভ্যন্তরে লিকেজ থেকে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে ৩৪ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৮ মহররম ১৪৪২, ০৯ আশ্বিন ১৪২৭
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবৈধ গ্যাস রাইজার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াদী ঋষিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও অবৈধ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা না হলে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ হাবিব মোহাম্মদ সামাদ বলেন, ঘটনাস্থলে পাশাপাশি ছয়টি গ্যাস রাইজার ছিল। বজ্রপাত থেকে দুটি রাইজারে আগুন লাগে। সেখান থেকে অনবরত গ্যাস বের হতে থাকায় আগুন অনেক উপরে উঠে যায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে রাইজার দুটির কভার খুলে চাবি বন্ধ করে দেই।
গ্যাস রাইজারের সংযোগটি অবৈধ ছিল নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তিতাসের মাধ্যমে জেনেছি, সেখানে গ্যাস সংযোগটি অবৈধ ছিল এবং লাইনে লিকেজ ছিল। লিকেজ থেকে বের হওয়া গ্যাস এবং বজ্রপাত থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। খবর দিলে কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে হতাহত কিংবা তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইউএনও আরও বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও রাইজার যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হয়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তিতাস ও স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি। ঘটনাস্থলে আরও উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান ও মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাহ জামে মসজিদের অভ্যন্তরে লিকেজ থেকে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে ৩৪ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে।