কক্সবাজারে শুঁটকি শ্রমে নিয়োজিত ২০ শতাংশ শিশু

কক্সবাজারে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ২০ শতাংশ শিশু নিয়োজিত। এরমধ্যে ৭২ শতাংশ বালিকা এবং ২৮ শতাংশ বালক। এদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ১৪ বছরের নিচে। ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে রয়েছে ৫৯ শতাংশ। শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে শিশুশ্রমবিষয়ক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন কর্মশালায় তথ্যটি প্রকাশ করা হয়। গতকাল সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন পরিচালিত অরুণোদয় স্কুলের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটির আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা উইনরক ইন্টারন্যাশনাল।

গবেষণায় বলা হয়, গবেষণাভুক্ত ১৪ হাজার ৩৬৬ জনের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ। বাকি ১৭ শতাংশ নারী শ্রমিক। ৫৬১টি শুঁটকি মহালের মধ্যে ২৩ শতাংশ বড়, ৫৩ শতাংশ মাঝারি এবং ২৪ শতাংশ ছোট আকারের। জেলার ৬টি জায়গার মধ্যে সর্বোচ্চ কক্সবাজার শহরের নাজিরার টেকে ৯২.৭ শতাংশ। বাকিগুলোর মধ্যে সদরের চৌফলদ-ি ২.৭ শতাংশ, সোনাদিয়া ২.১ শতাংশ, খুরুশকুল ১.১ শতাংশ, ঠাকুরতলা ০.৯ শতাংশ এবং মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গায় ০.৫ শতাংশ। ১৮ বছরের নিচের শ্রমিকদের নিয়ে ২০১০ সালে সর্বশেষ গবেষণাটি করেছে বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস। উইনরক ইন্টারন্যাশনালের গবেষণায় বেরিয়ে আসে, শিশুশ্রমিকদের মাঝে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি এবং ৮ শতাংশ রোহিঙ্গা। তাছাড়া ৭৫ শতাংশ শিশুশ্রমিক শিক্ষা বঞ্চিত।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাজাহান আলী। তিনি বলেন, শুঁটকি খাত কক্সবাজারের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। সম্ভাবনার এই খাতকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য যে যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করা দরকার এবং এ শিল্প থেকে শিশুশ্রম নিরসনে এ গবেষণাটি ভবিষ্যতে সরকারকে নানাভাবে সহায়তা করবে। কক্সবাজারের চাহিদার আলোকে কামরা কাজ করছি। সে জন্য সরকারি বেসরকারি অনেক সংস্থা প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।

শিশুশ্রম মুক্ত শুঁটকি খাতের প্রত্যাশায় উইনরক ইন্টারন্যাশনালের ক্লাইম্ব প্রকল্পের আয়োজনে কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাটির কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক এএইচএম জামান খান। উইনরক ইন্টারন্যাশনালের ক্লাইম্ব প্রকল্পের ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মো. তানভীর শরীফের সঞ্চালনায় কর্মশালায় গবেষণা কর্ম উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৯ মহররম ১৪৪২, ১০ আশ্বিন ১৪২৭

কক্সবাজারে শুঁটকি শ্রমে নিয়োজিত ২০ শতাংশ শিশু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

কক্সবাজারে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ২০ শতাংশ শিশু নিয়োজিত। এরমধ্যে ৭২ শতাংশ বালিকা এবং ২৮ শতাংশ বালক। এদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ১৪ বছরের নিচে। ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে রয়েছে ৫৯ শতাংশ। শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে শিশুশ্রমবিষয়ক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন কর্মশালায় তথ্যটি প্রকাশ করা হয়। গতকাল সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন পরিচালিত অরুণোদয় স্কুলের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটির আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা উইনরক ইন্টারন্যাশনাল।

গবেষণায় বলা হয়, গবেষণাভুক্ত ১৪ হাজার ৩৬৬ জনের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ। বাকি ১৭ শতাংশ নারী শ্রমিক। ৫৬১টি শুঁটকি মহালের মধ্যে ২৩ শতাংশ বড়, ৫৩ শতাংশ মাঝারি এবং ২৪ শতাংশ ছোট আকারের। জেলার ৬টি জায়গার মধ্যে সর্বোচ্চ কক্সবাজার শহরের নাজিরার টেকে ৯২.৭ শতাংশ। বাকিগুলোর মধ্যে সদরের চৌফলদ-ি ২.৭ শতাংশ, সোনাদিয়া ২.১ শতাংশ, খুরুশকুল ১.১ শতাংশ, ঠাকুরতলা ০.৯ শতাংশ এবং মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গায় ০.৫ শতাংশ। ১৮ বছরের নিচের শ্রমিকদের নিয়ে ২০১০ সালে সর্বশেষ গবেষণাটি করেছে বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস। উইনরক ইন্টারন্যাশনালের গবেষণায় বেরিয়ে আসে, শিশুশ্রমিকদের মাঝে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি এবং ৮ শতাংশ রোহিঙ্গা। তাছাড়া ৭৫ শতাংশ শিশুশ্রমিক শিক্ষা বঞ্চিত।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাজাহান আলী। তিনি বলেন, শুঁটকি খাত কক্সবাজারের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। সম্ভাবনার এই খাতকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য যে যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করা দরকার এবং এ শিল্প থেকে শিশুশ্রম নিরসনে এ গবেষণাটি ভবিষ্যতে সরকারকে নানাভাবে সহায়তা করবে। কক্সবাজারের চাহিদার আলোকে কামরা কাজ করছি। সে জন্য সরকারি বেসরকারি অনেক সংস্থা প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।

শিশুশ্রম মুক্ত শুঁটকি খাতের প্রত্যাশায় উইনরক ইন্টারন্যাশনালের ক্লাইম্ব প্রকল্পের আয়োজনে কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাটির কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক এএইচএম জামান খান। উইনরক ইন্টারন্যাশনালের ক্লাইম্ব প্রকল্পের ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মো. তানভীর শরীফের সঞ্চালনায় কর্মশালায় গবেষণা কর্ম উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন।