এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অস্থির হয়ে ওঠেছে চালের বাজার। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। আর বস্তাপ্রতি বেড়েছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকারও বেশি। ফুলবাড়ী পৌরশহরের প্রধান চালের বাজার উর্বশী সিনেমা মার্কেট এলাকায় গতকাল রবিবার দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চাল প্রতিকেজিতে ৫০ থেকে বেড়ে ৫৩-৫৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮-৫০ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬-৪৭ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা চাল ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪৩ টাকায় বেচাকেনা চলছে। শুধুমাত্র খুচরা বাজারেই নয়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তাতেও চালের দাম বেড়েছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকারও বেশি। ২ হাজার ৪৫০ টাকার ৫০ কেজির প্রতিবস্তা মিনিকেট চালের দাম বেড়ে বেচাকেনা হচ্ছে ২ হাজার ৫৫০ টাকায়।

একইভাবে বিআর-২৮ জাতের চাল ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৪০০ টাকায়, বিআর-২৯ জাতের চাল ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ২০০ টাকায়, গুটিস্বর্ণা চাল ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এতে প্রতিবস্তা চালের দাম প্রকারভেদে বেড়েছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকারও বেশি। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ করে মিল মালিকরা চালের দাম প্রতিবস্তায় ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করায় খুচরা বাজারে এর দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা। তবে মিল মালিকরা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়াসহ ধানের সঙ্কট থাকায় চালের দাম একটু বেড়েছে।

উর্বশী সিনেমা হল এলাকার পাইকারি চাল বিক্রেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিল মালিকরাই এখন চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনে বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফুলবাড়ী পৌর বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা জয় প্রকাশ গুপ্ত বলেন, মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কেনার কারণে খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিকেজি চালের দাম ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই বচসা হচ্ছে।

ফুলবাড়ী চাউল কল মালিক সমিতির আহ্বায়ক মো. মোঞ্জিল মোরশেদ বলেন, ধানের দাম অনুযায়ী উৎপাদন খরচের ওপর ভিত্তি করেই চালের দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ধানের সরবরাহ কমে যাওয়ায় চালের দাম একটু বেড়েছে। এতে মিল মালিকদের কোন কারসাজি নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৯ মহররম ১৪৪২, ১০ আশ্বিন ১৪২৭

এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

image

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অস্থির হয়ে ওঠেছে চালের বাজার। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। আর বস্তাপ্রতি বেড়েছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকারও বেশি। ফুলবাড়ী পৌরশহরের প্রধান চালের বাজার উর্বশী সিনেমা মার্কেট এলাকায় গতকাল রবিবার দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চাল প্রতিকেজিতে ৫০ থেকে বেড়ে ৫৩-৫৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮-৫০ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬-৪৭ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা চাল ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪৩ টাকায় বেচাকেনা চলছে। শুধুমাত্র খুচরা বাজারেই নয়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তাতেও চালের দাম বেড়েছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকারও বেশি। ২ হাজার ৪৫০ টাকার ৫০ কেজির প্রতিবস্তা মিনিকেট চালের দাম বেড়ে বেচাকেনা হচ্ছে ২ হাজার ৫৫০ টাকায়।

একইভাবে বিআর-২৮ জাতের চাল ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৪০০ টাকায়, বিআর-২৯ জাতের চাল ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ২০০ টাকায়, গুটিস্বর্ণা চাল ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এতে প্রতিবস্তা চালের দাম প্রকারভেদে বেড়েছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকারও বেশি। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ করে মিল মালিকরা চালের দাম প্রতিবস্তায় ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করায় খুচরা বাজারে এর দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা। তবে মিল মালিকরা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়াসহ ধানের সঙ্কট থাকায় চালের দাম একটু বেড়েছে।

উর্বশী সিনেমা হল এলাকার পাইকারি চাল বিক্রেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিল মালিকরাই এখন চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনে বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফুলবাড়ী পৌর বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা জয় প্রকাশ গুপ্ত বলেন, মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কেনার কারণে খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিকেজি চালের দাম ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই বচসা হচ্ছে।

ফুলবাড়ী চাউল কল মালিক সমিতির আহ্বায়ক মো. মোঞ্জিল মোরশেদ বলেন, ধানের দাম অনুযায়ী উৎপাদন খরচের ওপর ভিত্তি করেই চালের দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ধানের সরবরাহ কমে যাওয়ায় চালের দাম একটু বেড়েছে। এতে মিল মালিকদের কোন কারসাজি নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।