মোল্লাহাটে বোমা বিস্ফোরণে তরুণ আহত : গোপনে চিকিৎসা

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার একটি বিলে বসে বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরণ হওয়ায় সুরুজ (১৮) নামে এক তরুণ জখম হয়েছে খবর ছড়িয়েছে। জখমি ওই যুবককে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রেখে গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার ৮দিন পর শনিবার বিকেলে বিষয়টি এলাকা ফাঁস হয় বোমা বিস্ফোরণ হিসেবে। আর বিস্ফোরণের ঘটনাটি হয়েছে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক ক্বারী মো. জাকির মোল্লার বাড়ির কাছে ফঁাঁকা বিলের পাড়ে।

বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এলাকায় গেলে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে স্থানীয়রা জানায়-ক্বারী মো. জাকির মোল্লার বাড়িতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বোমা তৈরিকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একই এলাকার হাফেজ শেখের ছেলে সুরুজ শেখ (১৮) নামের এক তরুণ যখম হয়। তাকে ওই রাতেই ক্বারী জাকির মোল্লার পরিবার ও আহত সুরুজের পরিবার মিলে বাড়িতে ডাক্তার এনে তার ক্ষত হওয়া পেটে সেলাই দেয়। তার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ মাদ্রাসা শিক্ষক ক্বারী জাকির মোল্লা বহন করছেন। আহত সুরুজ জানায়, সে ঘটনার সময় ওই খান দিয়ে হেটে যাওয়ার পথে বিস্ফোরিত দ্রব্য তার গায়ে লাগে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। ফলে আর কিছুই সে জানে না বলে জানায়। পরেরদিন সে দেখে তার পেটে ব্যান্ডেজ। সুরুজের নানি খায়রোন বেগম (৬৫) জানান, জাকির মোল্লার বাড়ির সামনে বোমা বিস্ফোরণে তার নাতি আহত হয়েছে, বাড়ি ডাক্তার এনে পেটে ৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তারা থানা পুলিশ বা কেসকান্ডের ঝমেলায় যাবে না। তাছাড়া জাকির মোল্লা তার চিকিৎসার সব খরচ দিচ্ছে। 

এ বিষয়ে ক্বারী জাকির মোল্লা বলেন-তার ছেলে ওমায়ের (১২) মাদ্রাাসায় পড়ে, সে প্রতি বৃহস্পতিবার ছুটিতে বাড়ি আসে, ওইদিন বাড়িতে এসে পাশের দোকান থেকে ম্যাচ কিনে সকলগুলো বারুদ এক করে বাজি ফুটায়। ওই বাজিতে সুরুজ নামে এক ছেলের পেটে সামান্য পুড়ে যায়। তিনি তার চিকিৎসা করাচ্ছেন বলেও জানান। মোল্লাহাট থানার ওসি কাজী গোলাম কবীর বলেন, খবর পেয়ে আমরা এলাকায় খোঁজখবর নিয়েছি।

বোমা বিস্ফোরণের কোন ঘটনা হয়নি। ছোট ছেলেরা দিয়াশলাই দিয়ে বাজি ফুটাতে গিয়ে দুর্ঘটনা হয়েছে। এ সময় সুরুজ নামের একটি ছেলে আহত হয়েছে। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি বিস্ফোরকে সে আহত হয়নি। পড়ে গিয়ে পেট কেটে গেছে।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৯ মহররম ১৪৪২, ১০ আশ্বিন ১৪২৭

মোল্লাহাটে বোমা বিস্ফোরণে তরুণ আহত : গোপনে চিকিৎসা

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার একটি বিলে বসে বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরণ হওয়ায় সুরুজ (১৮) নামে এক তরুণ জখম হয়েছে খবর ছড়িয়েছে। জখমি ওই যুবককে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রেখে গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনার ৮দিন পর শনিবার বিকেলে বিষয়টি এলাকা ফাঁস হয় বোমা বিস্ফোরণ হিসেবে। আর বিস্ফোরণের ঘটনাটি হয়েছে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক ক্বারী মো. জাকির মোল্লার বাড়ির কাছে ফঁাঁকা বিলের পাড়ে।

বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এলাকায় গেলে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে স্থানীয়রা জানায়-ক্বারী মো. জাকির মোল্লার বাড়িতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বোমা তৈরিকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একই এলাকার হাফেজ শেখের ছেলে সুরুজ শেখ (১৮) নামের এক তরুণ যখম হয়। তাকে ওই রাতেই ক্বারী জাকির মোল্লার পরিবার ও আহত সুরুজের পরিবার মিলে বাড়িতে ডাক্তার এনে তার ক্ষত হওয়া পেটে সেলাই দেয়। তার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ মাদ্রাসা শিক্ষক ক্বারী জাকির মোল্লা বহন করছেন। আহত সুরুজ জানায়, সে ঘটনার সময় ওই খান দিয়ে হেটে যাওয়ার পথে বিস্ফোরিত দ্রব্য তার গায়ে লাগে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। ফলে আর কিছুই সে জানে না বলে জানায়। পরেরদিন সে দেখে তার পেটে ব্যান্ডেজ। সুরুজের নানি খায়রোন বেগম (৬৫) জানান, জাকির মোল্লার বাড়ির সামনে বোমা বিস্ফোরণে তার নাতি আহত হয়েছে, বাড়ি ডাক্তার এনে পেটে ৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তারা থানা পুলিশ বা কেসকান্ডের ঝমেলায় যাবে না। তাছাড়া জাকির মোল্লা তার চিকিৎসার সব খরচ দিচ্ছে। 

এ বিষয়ে ক্বারী জাকির মোল্লা বলেন-তার ছেলে ওমায়ের (১২) মাদ্রাাসায় পড়ে, সে প্রতি বৃহস্পতিবার ছুটিতে বাড়ি আসে, ওইদিন বাড়িতে এসে পাশের দোকান থেকে ম্যাচ কিনে সকলগুলো বারুদ এক করে বাজি ফুটায়। ওই বাজিতে সুরুজ নামে এক ছেলের পেটে সামান্য পুড়ে যায়। তিনি তার চিকিৎসা করাচ্ছেন বলেও জানান। মোল্লাহাট থানার ওসি কাজী গোলাম কবীর বলেন, খবর পেয়ে আমরা এলাকায় খোঁজখবর নিয়েছি।

বোমা বিস্ফোরণের কোন ঘটনা হয়নি। ছোট ছেলেরা দিয়াশলাই দিয়ে বাজি ফুটাতে গিয়ে দুর্ঘটনা হয়েছে। এ সময় সুরুজ নামের একটি ছেলে আহত হয়েছে। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি বিস্ফোরকে সে আহত হয়নি। পড়ে গিয়ে পেট কেটে গেছে।