ধর্ষকদের গডফাদার কে?

সিলেটে এমসি কলেজ এলাকায় ছাত্রলীগ ক্যাডারদের কে বা কারা আশ্রয় দিতো তা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে, ছাত্রলীগ টিলাড়ক কেন্দ্রিক একটি গ্রুপের সক্রিয় ক্যাডার। তবে এখন তাদের দায় নিতে চাচ্ছে না কেউ। অভিযাগে উঠেছে, গত শুক্রবার ছাত্রাবাসে যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটত। তবে ভয়ে বা লোকলজ্জায় কেউ প্রকাশ করত না। এমসি কলেজ এলাকাটি মূলত সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা রনজিত সরকার ও আজাদুর রহমান আজাদ গ্রুপ হিসেবে পরিচিত। তবে তারা দীর্ঘদিন আগে ছাত্র রাজনীতি ছেড়ে দিলেও নানা ঘটনায় বার বার তাদের নাম জড়ায়। এবারও গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় তাদের অনুসারীরাই জড়িত বলে অভিযোগ ওঠেছে। তবে ইতোমধ্যেই এই দুই নেতা বলেছেন, অপরাধী কোন দলের নয়। তারা শুধুই অপরাধী। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। কিন্তু ছাত্রাবাসে যারা অপকর্ম করত, অর্থাৎ মদ, জুয়া ও নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটাত তাদের শেল্টারদাতা কে তা নিয়ে আলোচনা থেকেই গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মেজরটিলা এলাকার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের আশীর্বাদপুষ্ট ছিল ধর্ষণে অভিযুক্তরা। সূত্র বলছে, ছাত্রাবাসটিকে ছাত্রলীগ নামধারী এসব ক্যাডারা নিজেদের অপরাধের আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এখানে এর আগেও নানা অপকর্ম ঘটেছে। তবে বারবার তারা পার পেয়ে যায়। শুক্রবারের ধর্ষণের ঘটনাটিরও তারা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। ঘটনার পর সেখানে অন্য নেতাদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরও উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার ঘটনার সময় স্বামী-স্ত্রী থাকায় অপরাধীরা পার পাওয়ার সুযোগ পায়নি।

যোগাযোগ করা হলে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর বলেন, অনেক আগেই ছাত্র রাজনীতি ছেড়েছি। প্রতিপক্ষ আমার সম্পর্ক রটনা ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের পর ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু সেখানে গিয়েছিলাম। মূলত প্রশাসনের লোকজন আমাদের খবর দিয়ে নিয়েছিল। আমরা অপরাধীদের ছবি দেখে তাদের শনাক্ত করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করি।

তবে কেউ ধর্ষকদের দায় নিতে না চাইলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকে কার খুঁটির জোরে তারা এতদিন ধরে ছাত্রাবাসে অপকর্ম চালাচ্ছিল। আসলে এদের গডফাদার কে বা কারা?

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৯ মহররম ১৪৪২, ১০ আশ্বিন ১৪২৭

ধর্ষকদের গডফাদার কে?

বিশেষ প্রতিনিধি

সিলেটে এমসি কলেজ এলাকায় ছাত্রলীগ ক্যাডারদের কে বা কারা আশ্রয় দিতো তা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে, ছাত্রলীগ টিলাড়ক কেন্দ্রিক একটি গ্রুপের সক্রিয় ক্যাডার। তবে এখন তাদের দায় নিতে চাচ্ছে না কেউ। অভিযাগে উঠেছে, গত শুক্রবার ছাত্রাবাসে যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটত। তবে ভয়ে বা লোকলজ্জায় কেউ প্রকাশ করত না। এমসি কলেজ এলাকাটি মূলত সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা রনজিত সরকার ও আজাদুর রহমান আজাদ গ্রুপ হিসেবে পরিচিত। তবে তারা দীর্ঘদিন আগে ছাত্র রাজনীতি ছেড়ে দিলেও নানা ঘটনায় বার বার তাদের নাম জড়ায়। এবারও গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় তাদের অনুসারীরাই জড়িত বলে অভিযোগ ওঠেছে। তবে ইতোমধ্যেই এই দুই নেতা বলেছেন, অপরাধী কোন দলের নয়। তারা শুধুই অপরাধী। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। কিন্তু ছাত্রাবাসে যারা অপকর্ম করত, অর্থাৎ মদ, জুয়া ও নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটাত তাদের শেল্টারদাতা কে তা নিয়ে আলোচনা থেকেই গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মেজরটিলা এলাকার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের আশীর্বাদপুষ্ট ছিল ধর্ষণে অভিযুক্তরা। সূত্র বলছে, ছাত্রাবাসটিকে ছাত্রলীগ নামধারী এসব ক্যাডারা নিজেদের অপরাধের আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এখানে এর আগেও নানা অপকর্ম ঘটেছে। তবে বারবার তারা পার পেয়ে যায়। শুক্রবারের ধর্ষণের ঘটনাটিরও তারা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। ঘটনার পর সেখানে অন্য নেতাদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরও উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার ঘটনার সময় স্বামী-স্ত্রী থাকায় অপরাধীরা পার পাওয়ার সুযোগ পায়নি।

যোগাযোগ করা হলে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর বলেন, অনেক আগেই ছাত্র রাজনীতি ছেড়েছি। প্রতিপক্ষ আমার সম্পর্ক রটনা ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের পর ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু সেখানে গিয়েছিলাম। মূলত প্রশাসনের লোকজন আমাদের খবর দিয়ে নিয়েছিল। আমরা অপরাধীদের ছবি দেখে তাদের শনাক্ত করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করি।

তবে কেউ ধর্ষকদের দায় নিতে না চাইলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন থাকে কার খুঁটির জোরে তারা এতদিন ধরে ছাত্রাবাসে অপকর্ম চালাচ্ছিল। আসলে এদের গডফাদার কে বা কারা?