আপিল বিভাগে ৪ হাজার ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপিল বিভাগে মোট চার হাজার ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের দেয়া এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং আইনজীবীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় করোনা মহামারীর মধ্যেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন। যেখানে গত ১৩ জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ চার হাজার ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি করেন। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬১৭টি। কিন্তু পরবর্তীতে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যাসহ নির্ভুল এবং কার্যকর গণনায় পরিলক্ষিত হয় যে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৬০টি।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর গত ২৯ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় নিয়মিত আদালতের কার্যক্রম। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সাধারণ ছুটির সময়ে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জরুরি মামলা শুনানির জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করেন। আর প্রায় তিন মাসের টানা সাধারণ ছুটির মাঝে গত ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে দেশের সব অধস্তন আদালতসমূহে শারীরিক উপস্থিতির স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর গত ১২ আগস্ট থেকে হাইকোর্টের ১৮টি বেঞ্চে শুরু হয় শারীরিক উপস্থিতির স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম। সেই সঙ্গে চলে ৩৫টি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ১৩ জুলাই থেকে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এবং গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে আরও একটি ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৯ মহররম ১৪৪২, ১০ আশ্বিন ১৪২৭

করোনাকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে

আপিল বিভাগে ৪ হাজার ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপিল বিভাগে মোট চার হাজার ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের দেয়া এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং আইনজীবীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় করোনা মহামারীর মধ্যেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন। যেখানে গত ১৩ জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ চার হাজার ৭৩টি মামলা নিষ্পত্তি করেন। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬১৭টি। কিন্তু পরবর্তীতে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যাসহ নির্ভুল এবং কার্যকর গণনায় পরিলক্ষিত হয় যে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৬০টি।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর গত ২৯ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় নিয়মিত আদালতের কার্যক্রম। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় সাধারণ ছুটির সময়ে দেশের প্রত্যেকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জরুরি মামলা শুনানির জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করেন। আর প্রায় তিন মাসের টানা সাধারণ ছুটির মাঝে গত ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে দেশের সব অধস্তন আদালতসমূহে শারীরিক উপস্থিতির স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর গত ১২ আগস্ট থেকে হাইকোর্টের ১৮টি বেঞ্চে শুরু হয় শারীরিক উপস্থিতির স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম। সেই সঙ্গে চলে ৩৫টি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ১৩ জুলাই থেকে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এবং গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে আরও একটি ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।