বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদককে বহিষ্কারের ঘোষণা পাল্টা আল্টিমেটাম

কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান কিংবা আত্মপক্ষ নমর্থনের সুযোগ না দিয়ে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে হতবাক ও বিক্ষুব্ধ হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীরা। এই একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সাতদিনের আলটিমেটাম প্রদান করেছে। অন্যথায় উপজেলা বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীরা একযোগে পদ্যত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল বিকেলে পীরগাছা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার মতিয়ার রহমান। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় জেলা বিএনপির কোন বক্তব্য না শুনে কিংবা তাদের না জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী শনিবার ২৬ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত একটি পত্রে পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আফছার আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। কারণ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও দল বিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ দেখানো হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, পীরগাছা উপজেলা বিএনপিকে যারা জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসে সংগঠিত করেছে, দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্দোলন সংগ্রাম করে তৃণমূলে বিএনপির অবস্থানকে শক্ত অবস্থানে ধরে রেখেছে, সেই নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত অবৈধ ও ষড়যন্ত্রমূলক।

তিনি বলেন, দলের সভাপতি আফছার আলী দুইবারের ইউপি সদস্য ও তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি পীরগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং জনপ্রিয় নেতা। পাশাপাশি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ব্যবসায়ীক নেতা হিসেবেও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাঙ্গা ও সভাপতি আফছারের নেতৃত্বে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয় লাভ করা সম্ভব হয়েছে। তাদের কারণে রংপুর জেলার মধ্যে পীরগাছা উপজেলা বিএনপি একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যার কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পীরগাছায় ৮৪টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেয়া হয়নি।

খন্দকার মতিয়ার বলেন, তাদের মতো নেতাকে কারণ দর্শানোর কোন নোটিশ না দিয়ে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে দলের সব পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি দেয়া ষড়যন্ত্রমূলক। যা পীরগাছা উপজেলা বিএনপিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা হলে পীরগাছা উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সব সদস্য, নেতাকর্মী দল থেকে গণপদত্যাগ করার পাশাপাশি দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির আহমেদ, পীরগাছা সদর ইউনিনের চেয়ারম্যান ও সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান রেজা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি ও সম্পাদকসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাক্ষ আসাদুল হাবিবের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। তাকেও নাকি অবহিত করে চিঠি দেয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি কোন চিঠি পাননি।

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০৯ মহররম ১৪৪২, ১০ আশ্বিন ১৪২৭

রংপুর পীরগাছা

বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদককে বহিষ্কারের ঘোষণা পাল্টা আল্টিমেটাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান কিংবা আত্মপক্ষ নমর্থনের সুযোগ না দিয়ে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে হতবাক ও বিক্ষুব্ধ হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীরা। এই একতরফা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সাতদিনের আলটিমেটাম প্রদান করেছে। অন্যথায় উপজেলা বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীরা একযোগে পদ্যত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল বিকেলে পীরগাছা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার মতিয়ার রহমান। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় জেলা বিএনপির কোন বক্তব্য না শুনে কিংবা তাদের না জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী শনিবার ২৬ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত একটি পত্রে পীরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আফছার আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। কারণ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও দল বিরোধী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ দেখানো হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, পীরগাছা উপজেলা বিএনপিকে যারা জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসে সংগঠিত করেছে, দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্দোলন সংগ্রাম করে তৃণমূলে বিএনপির অবস্থানকে শক্ত অবস্থানে ধরে রেখেছে, সেই নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত অবৈধ ও ষড়যন্ত্রমূলক।

তিনি বলেন, দলের সভাপতি আফছার আলী দুইবারের ইউপি সদস্য ও তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি পীরগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং জনপ্রিয় নেতা। পাশাপাশি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ব্যবসায়ীক নেতা হিসেবেও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাঙ্গা ও সভাপতি আফছারের নেতৃত্বে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয় লাভ করা সম্ভব হয়েছে। তাদের কারণে রংপুর জেলার মধ্যে পীরগাছা উপজেলা বিএনপি একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। যার কারণে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পীরগাছায় ৮৪টি কেন্দ্রের মধ্যে একটি কেন্দ্রেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেয়া হয়নি।

খন্দকার মতিয়ার বলেন, তাদের মতো নেতাকে কারণ দর্শানোর কোন নোটিশ না দিয়ে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে দলের সব পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি দেয়া ষড়যন্ত্রমূলক। যা পীরগাছা উপজেলা বিএনপিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত বলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা হলে পীরগাছা উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির সব সদস্য, নেতাকর্মী দল থেকে গণপদত্যাগ করার পাশাপাশি দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির আহমেদ, পীরগাছা সদর ইউনিনের চেয়ারম্যান ও সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান রেজা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি ও সম্পাদকসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাক্ষ আসাদুল হাবিবের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। তাকেও নাকি অবহিত করে চিঠি দেয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি কোন চিঠি পাননি।