ফিরদৌসীর লেখালেখির ২৩ বছর

সুলতানা ফিরদৌসী। একজন লেখক ও কবি। লেখালেখির ভুবনে তিনি ২৩ বছর অতিক্রম করলেন। তার সর্বশেষ প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ ‘আ গার্ল হ্যাজ নো নেইম’। তিনি এ পর্যন্ত লিখেছেন ৬টি বই। কাব্যগ্রন্থ আর অনুবাদগ্রন্থ ছাড়াও এর মাঝে আছে উপন্যাস আর ছোটগল্পের সংকলন। জনপ্রিয় এই লেখিকার জন্ম ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ সালে। বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা কাটিয়েছেন জন্মস্থান কুচ্ছিা আর দেশের বিভিন্ন মফস্বল শহরে। তখনও মফস্বলে গ্রামবাংলার শাশ্বত ছোঁয়া ছিল। প্রাকৃতিক বৈচিত্যের দেশকে ফুটিয়ে তোলার ইচ্ছে নিয়েই ফেরদৌসির কাব্যচর্চা শুরু। সংস্কৃতিমনা পরিবার থেকে সবসময়ই পেয়েছেন অনুপ্রেরণা। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি ডায়েরি লিখতেন তিনি। সেখানে ফুটে উঠে তার মনের কথা, তার আনন্দ বেদনা, অভিজ্ঞতা। লেখালেখির হাতেখড়ি তখন থেকেই। এরপর তিনি যুক্ত হন বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রজেক্টে। মফস্বল শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আনুকুল্যে না থাকায় লেখালেখি বাধাগ্রস্ত হয়। তাছাড়া বিয়ের পর স্বামী-সংসারের আপত্তিতেও কাব্যচর্চায় কিছুটা ভাটা পড়ে। তবুও থেমে থাকেন নি তিনি। ১৯৯৭ সালে প্রকাশ পেয়ে যায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘কীট ও দ্রোণপুষ্প’। এর দু বছর পর ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয় তার উপন্যাস ‘তৃতীয় পক্ষ’। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন নানা পুরস্কার। তার মধ্যে শান্তিনিকেতন ভারত থেকে ‘অগ্নিবীণা’ পুরস্কার, বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বাতায়ন থেকে ‘রূপসী বাংলা পদক’ অন্যতম। কলকাতা বাংলা একাডেমীর কবিতা প্রতিযোগিতার সম্মানিত জুরী বোর্ডেরও সদস্য ছিলেন তিনি। ২৩ বছর যাবত লেখালেখি করতে গিয়ে তিনি পেরিয়ে এসেছেন বহু বাধাবিপত্তি। তাই তার কাব্যে উঠে আসে নারী মুক্তির কথা, নারীদের সংকটের কথা। সুলতানা ফেরদৌসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স করে তিনি একেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ আর এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) এর সঙ্গে সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার। সুলতানা ফেরদৌসি বর্তমান সময়ে সাহিত্য ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান নারী মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। ওতপ্রোতভাবে যুক্ত আছেন নারী অধিকার সংগঠন ‘কালির সঙ্গে’। সুলতানা ফেরদৌসির কাছে নারীমুক্তি মানে সব শ্রেণী নির্বিশেষে নারীর ব্যাপক আকারে আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সব রকমের কাজে নারীর বাধাহীন অংশগ্রহণ। তিনি মনেপ্রাণে ধারন করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে।

শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০ , ২২ সফর ১৪৪২, ২৫ আশ্বিন ১৪২৭

ফিরদৌসীর লেখালেখির ২৩ বছর

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

সুলতানা ফিরদৌসী। একজন লেখক ও কবি। লেখালেখির ভুবনে তিনি ২৩ বছর অতিক্রম করলেন। তার সর্বশেষ প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ ‘আ গার্ল হ্যাজ নো নেইম’। তিনি এ পর্যন্ত লিখেছেন ৬টি বই। কাব্যগ্রন্থ আর অনুবাদগ্রন্থ ছাড়াও এর মাঝে আছে উপন্যাস আর ছোটগল্পের সংকলন। জনপ্রিয় এই লেখিকার জন্ম ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ সালে। বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা কাটিয়েছেন জন্মস্থান কুচ্ছিা আর দেশের বিভিন্ন মফস্বল শহরে। তখনও মফস্বলে গ্রামবাংলার শাশ্বত ছোঁয়া ছিল। প্রাকৃতিক বৈচিত্যের দেশকে ফুটিয়ে তোলার ইচ্ছে নিয়েই ফেরদৌসির কাব্যচর্চা শুরু। সংস্কৃতিমনা পরিবার থেকে সবসময়ই পেয়েছেন অনুপ্রেরণা। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি ডায়েরি লিখতেন তিনি। সেখানে ফুটে উঠে তার মনের কথা, তার আনন্দ বেদনা, অভিজ্ঞতা। লেখালেখির হাতেখড়ি তখন থেকেই। এরপর তিনি যুক্ত হন বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রজেক্টে। মফস্বল শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আনুকুল্যে না থাকায় লেখালেখি বাধাগ্রস্ত হয়। তাছাড়া বিয়ের পর স্বামী-সংসারের আপত্তিতেও কাব্যচর্চায় কিছুটা ভাটা পড়ে। তবুও থেমে থাকেন নি তিনি। ১৯৯৭ সালে প্রকাশ পেয়ে যায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘কীট ও দ্রোণপুষ্প’। এর দু বছর পর ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয় তার উপন্যাস ‘তৃতীয় পক্ষ’। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন নানা পুরস্কার। তার মধ্যে শান্তিনিকেতন ভারত থেকে ‘অগ্নিবীণা’ পুরস্কার, বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বাতায়ন থেকে ‘রূপসী বাংলা পদক’ অন্যতম। কলকাতা বাংলা একাডেমীর কবিতা প্রতিযোগিতার সম্মানিত জুরী বোর্ডেরও সদস্য ছিলেন তিনি। ২৩ বছর যাবত লেখালেখি করতে গিয়ে তিনি পেরিয়ে এসেছেন বহু বাধাবিপত্তি। তাই তার কাব্যে উঠে আসে নারী মুক্তির কথা, নারীদের সংকটের কথা। সুলতানা ফেরদৌসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স করে তিনি একেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ আর এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) এর সঙ্গে সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার। সুলতানা ফেরদৌসি বর্তমান সময়ে সাহিত্য ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান নারী মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। ওতপ্রোতভাবে যুক্ত আছেন নারী অধিকার সংগঠন ‘কালির সঙ্গে’। সুলতানা ফেরদৌসির কাছে নারীমুক্তি মানে সব শ্রেণী নির্বিশেষে নারীর ব্যাপক আকারে আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সব রকমের কাজে নারীর বাধাহীন অংশগ্রহণ। তিনি মনেপ্রাণে ধারন করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে।