তবুও অভিনয় করতে চান প্রবীর মিত্র

দীর্ঘদিন অসুস্থাবস্থায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ বাসাতেই সময় পার করছেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্রাভিনেতা প্রবীর মিত্র। ঘরে বসেই নিরিবিলি সময় কাটছে তার অতীত স্মৃতি মনে করে, পত্রিকা পড়ে, টেলিভিশন দেখে আর মাঝে মাঝে কেউ ফোন করলে তার সঙ্গে অল্প সময় কথা বলে। কিন্তু প্রবীর মিত্রের আক্ষেপ এভাবে আর কতদিন ঘরে বসে বসে সময় পার করা যায়? তাই তার ইচ্ছে মাঝে মাঝে যদি অভিনয় করতে পারতেন তাহলে হয়তো তার ভালো লাগতো। প্রবীর মিত্র বলেন, ‘একজন পরিচালক যদি চান আমাকে দিয়ে ঘরের মধ্যে কাজ করাতে পারবেন। অভিনয় করার জন্য মনটা ভীষণ ব্যাকুল হয়ে আছে। সারা জীবন তো অভিনয়ই করে গেলাম। এখন করতে পারছি না, তাই খারাপ লাগে, কষ্ট হয়।’ প্রবীর মিত্রের ইচ্ছে করে বিএফডিসিতে অনেকটা সময় ধরে ঘুরে বেড়াতে। কারণ জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়টা এখানেই কেটেছে তার। প্রবীর মিত্রের দুই পায়ের হাঁটুতে সমস্যা একযুগেরও বেশি সময় ধরে। হাঁটুর হাড় এখন আরও বেশি ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে হাঁটতেও পারেন না তিনি ঠিকমতো। প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজন্তা মিত্র, পরপারে চলে গেছেন ২০০০ সালে। তারপর আরও এক শোকের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। তার ছোট ছেলে আকাশ ২০১২ সালে মারা যায়। ১৯৮২ সালে তিনি মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর আরও বহু চলচ্চিত্রে তিনি অনবদ্য অভিনয় করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি ‘আজীবন সম্মাননা’তেও ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও অসংক্য পদক পেয়েছেন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য। প্রবীরমিত্র বলেন, ‘দর্শকের ভালোবাসাই আমার কাছে সবসময়ই অমূল্য অর্জন। দর্শকের ভালোবাসাই আমাকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। এই ভালোবাসার মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই আমি।’ নায়ক হিসেবে প্রবীর মিত্রের প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো জহির রায়হানের শেষ সহকারী শেখ নজরুল ও ইলতুত মিস পরিচালিত ‘চাবুক’। এতে প্রবীর মিত্রের নায়িকা ছিলেন কবরী। সর্বশেষ প্রবীর মিত্র এসডি রুবেল পরিচালিত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর আর কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি তিনি।

শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০ , ৭ কার্তিক ১৪২৭, ৫ রবিউল ‍আউয়াল ১৪৪২

তবুও অভিনয় করতে চান প্রবীর মিত্র

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

দীর্ঘদিন অসুস্থাবস্থায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ বাসাতেই সময় পার করছেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্রাভিনেতা প্রবীর মিত্র। ঘরে বসেই নিরিবিলি সময় কাটছে তার অতীত স্মৃতি মনে করে, পত্রিকা পড়ে, টেলিভিশন দেখে আর মাঝে মাঝে কেউ ফোন করলে তার সঙ্গে অল্প সময় কথা বলে। কিন্তু প্রবীর মিত্রের আক্ষেপ এভাবে আর কতদিন ঘরে বসে বসে সময় পার করা যায়? তাই তার ইচ্ছে মাঝে মাঝে যদি অভিনয় করতে পারতেন তাহলে হয়তো তার ভালো লাগতো। প্রবীর মিত্র বলেন, ‘একজন পরিচালক যদি চান আমাকে দিয়ে ঘরের মধ্যে কাজ করাতে পারবেন। অভিনয় করার জন্য মনটা ভীষণ ব্যাকুল হয়ে আছে। সারা জীবন তো অভিনয়ই করে গেলাম। এখন করতে পারছি না, তাই খারাপ লাগে, কষ্ট হয়।’ প্রবীর মিত্রের ইচ্ছে করে বিএফডিসিতে অনেকটা সময় ধরে ঘুরে বেড়াতে। কারণ জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়টা এখানেই কেটেছে তার। প্রবীর মিত্রের দুই পায়ের হাঁটুতে সমস্যা একযুগেরও বেশি সময় ধরে। হাঁটুর হাড় এখন আরও বেশি ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে হাঁটতেও পারেন না তিনি ঠিকমতো। প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজন্তা মিত্র, পরপারে চলে গেছেন ২০০০ সালে। তারপর আরও এক শোকের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। তার ছোট ছেলে আকাশ ২০১২ সালে মারা যায়। ১৯৮২ সালে তিনি মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর আরও বহু চলচ্চিত্রে তিনি অনবদ্য অভিনয় করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি ‘আজীবন সম্মাননা’তেও ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও অসংক্য পদক পেয়েছেন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য। প্রবীরমিত্র বলেন, ‘দর্শকের ভালোবাসাই আমার কাছে সবসময়ই অমূল্য অর্জন। দর্শকের ভালোবাসাই আমাকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। এই ভালোবাসার মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই আমি।’ নায়ক হিসেবে প্রবীর মিত্রের প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো জহির রায়হানের শেষ সহকারী শেখ নজরুল ও ইলতুত মিস পরিচালিত ‘চাবুক’। এতে প্রবীর মিত্রের নায়িকা ছিলেন কবরী। সর্বশেষ প্রবীর মিত্র এসডি রুবেল পরিচালিত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর আর কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি তিনি।