বাজার মূলধন ফিরেছে ৯ হাজার কোটি টাকা

আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও (২০-২৪ ডিসেম্বর) উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সূচকের সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে শেয়ারবাজারে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা সপ্তাহটিতে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৪৭ কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৮ হাজার ৮৪৭ কোটি ৩২ লাখ ৯ হাজার টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ হাজার ৬২৩ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ৫৬৭ টাকা বা ৫৩.৬৬ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৬৫৯ কোটি ৮২ লাখ ৯২ হাজার ৪১৪ টাকার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১২৪ কোটি ৭৫ লাখ ১৯৬ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৯১৪ কোটি ৯৫ লাখ ৭৩ হাজার ১০৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২০৯ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৯৩ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১০.৩৩ পয়েন্ট বা ২.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৮.৩৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৩.৫৮ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭৮.১২ পয়েন্ট বা ৪.৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২০৩.৬৭ পয়েন্টে এবং ১৮৭৬.৭৪ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টির বা ২৯.৯৫ শতাংশের, কমেছে ১৯৩টির বা ৫৩.০২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টির বা ১৭.০৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৩২ কোটি ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৯ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২১৩ কোটি ৫২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৪০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৮ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার ৭৩৯ টাকা বা ৮.৮৪ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১৯.২৭ পয়েন্ট বা ২.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৮৯.৩০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৯৮.৯৮ পয়েন্ট বা ২.২৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৫২.৯৮ পয়েন্ট বা ২.১৪ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩৯.০১ পয়েন্ট বা ৩.৬৫ শতাংশ এবং সিএসআই ১৯.১০ পয়েন্ট বা ১.৯৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৩৬.৫৪ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৫৮.৪৭ পয়েন্টে, ১ হাজার ১০৯.১৭ পয়েন্টে এবং ৯৯০.২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৪টির বা ৩২.৯১ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৫২টির বা ৪৮.১০ শতাংশের কমেছে এবং ৬০টির বা ১৮.৯৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আড়াই শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪.০৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৪.৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৩৫ পয়েন্ট বা ২.৪৯ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৯২ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২২.১২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬.৯৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৬.৬১ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৭.৯৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২০.৮৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৪৩.৮৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৭.৯২ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১০.২০ শতাংশ, চামড়া খাতের (-)১৩.৫৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৪.৮৪ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪৯.১৩ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৫৭.৬৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫৯.৩৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.১৩ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৪.৪৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১২৪.৬৩ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৩.২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ১০ রবিউস সানি ১৪৪২

বাজার মূলধন ফিরেছে ৯ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

আগের সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও (২০-২৪ ডিসেম্বর) উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সূচকের সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে শেয়ারবাজারে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা সপ্তাহটিতে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৪৭ কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বিনিয়োগকারীরা ৮ হাজার ৮৪৭ কোটি ৩২ লাখ ৯ হাজার টাকা মূলধন ফিরে পেয়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ হাজার ৬২৩ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ৫৬৭ টাকা বা ৫৩.৬৬ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৬৫৯ কোটি ৮২ লাখ ৯২ হাজার ৪১৪ টাকার। ডিএসইতে গত সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১২৪ কোটি ৭৫ লাখ ১৯৬ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৯১৪ কোটি ৯৫ লাখ ৭৩ হাজার ১০৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২০৯ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৯৩ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১০.৩৩ পয়েন্ট বা ২.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৮.৩৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৩.৫৮ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭৮.১২ পয়েন্ট বা ৪.৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২০৩.৬৭ পয়েন্টে এবং ১৮৭৬.৭৪ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টির বা ২৯.৯৫ শতাংশের, কমেছে ১৯৩টির বা ৫৩.০২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টির বা ১৭.০৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৩২ কোটি ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৯ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২১৩ কোটি ৫২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৪০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ১৮ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার ৭৩৯ টাকা বা ৮.৮৪ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১৯.২৭ পয়েন্ট বা ২.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৮৯.৩০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৯৮.৯৮ পয়েন্ট বা ২.২৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৫২.৯৮ পয়েন্ট বা ২.১৪ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩৯.০১ পয়েন্ট বা ৩.৬৫ শতাংশ এবং সিএসআই ১৯.১০ পয়েন্ট বা ১.৯৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৩৬.৫৪ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৫৮.৪৭ পয়েন্টে, ১ হাজার ১০৯.১৭ পয়েন্টে এবং ৯৯০.২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৪টির বা ৩২.৯১ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৫২টির বা ৪৮.১০ শতাংশের কমেছে এবং ৬০টির বা ১৮.৯৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আড়াই শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪.০৪ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৪.৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৩৫ পয়েন্ট বা ২.৪৯ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৯২ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২২.১২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬.৯৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৬.৬১ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৭.৯৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২০.৮৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৪৩.৮৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ১৭.৯২ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১০.২০ শতাংশ, চামড়া খাতের (-)১৩.৫৩ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৪.৮৪ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৪৯.১৩ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৫৭.৬৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫৯.৩৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.১৩ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৪.৪৬ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১২৪.৬৩ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৪৩.২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।