নকশায় ত্রুটি ভেঙে ফেলা হবে গল্লামারি সেতু

খুলনা নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার গল্লামারি সেতুটি ভেঙ্গে নতুন করে দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। গত বুধবার সেতুটি পরিদর্শনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন। প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছর আগে এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

সূত্র মতে, ২০১৩ সালে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তবে সেতুটির গার্ডার নদীর পানি থেকে মাত্র তিন ফুট উচ্চতায় নির্মাণ করায় বর্ষাকাল বা পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে ব্রিজের নিচের ফাঁকা অংশটুকু সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে থাকে। যে কারণে নৌযান চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ যায়। সম্প্রতি জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন ব্রিজটির নির্মাণের ত্রুটি তুলে ধরে সওজ বিভাগে আপত্তি জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে সিটি মেয়র তালুকদার আবুল খালেক বলেন, সেতুটি সড়ক ও জনপথের অদূরদর্শিতার ফল। ময়ূর নদী আটকে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এত নিচু কোন ব্রিজ হতে পারে না। এখানে অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করলে এমন হতো না।

মেয়র খালেক বলেন, তিনি বলেন, নক্সায় সামান্য পরিবর্তন আনলে নতুন করে আর ব্রিজটি নির্মাণ করা লাগত না। অপরিকল্পিত এমন কাজের মাধ্যমে সরকারি অর্থ অপচয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ১০ রবিউস সানি ১৪৪২

নকশায় ত্রুটি ভেঙে ফেলা হবে গল্লামারি সেতু

খুলনা ব্যুরো

খুলনা নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার গল্লামারি সেতুটি ভেঙ্গে নতুন করে দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। গত বুধবার সেতুটি পরিদর্শনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন। প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছর আগে এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

সূত্র মতে, ২০১৩ সালে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তবে সেতুটির গার্ডার নদীর পানি থেকে মাত্র তিন ফুট উচ্চতায় নির্মাণ করায় বর্ষাকাল বা পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে ব্রিজের নিচের ফাঁকা অংশটুকু সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে থাকে। যে কারণে নৌযান চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ যায়। সম্প্রতি জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন ব্রিজটির নির্মাণের ত্রুটি তুলে ধরে সওজ বিভাগে আপত্তি জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে সিটি মেয়র তালুকদার আবুল খালেক বলেন, সেতুটি সড়ক ও জনপথের অদূরদর্শিতার ফল। ময়ূর নদী আটকে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এত নিচু কোন ব্রিজ হতে পারে না। এখানে অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করলে এমন হতো না।

মেয়র খালেক বলেন, তিনি বলেন, নক্সায় সামান্য পরিবর্তন আনলে নতুন করে আর ব্রিজটি নির্মাণ করা লাগত না। অপরিকল্পিত এমন কাজের মাধ্যমে সরকারি অর্থ অপচয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।