বড়দিনে দরিদ্রদের সাহায্য করার কথা বললেন পোপ

বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে আরোপিত নানা বিধিনিষেধের মধ্যেই। বড়দিনের আগের দিন সন্ধ্যায় এক ভাষণে পোপ ফ্রান্সিস বিশ্ববাসীকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করে গরিবদের সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার প্রধান অংশ নয় বরং পেছন দিকের একটি অংশে এ বছর ‘ক্রিসমাস ইভের ম্যাস’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে একশ’ জনের কম মানুষ অংশ নিয়েছেন। সাধারণত প্রতি বছর বড়দিনের ‘ম্যাসে’ দশ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। যাদের মধ্যে প্রায় দুইশ’ দেশের কূটনীতিকরা থাকেন।

এবার নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে ‘ম্যাস’ শুরু হয়। যাতে ‘ম্যাসে’ যার অংশ নিচ্ছেন তারা স্থানীয় সময় রাত ১০টায় কারফিউ শুরুর আগেই বাড়িতে ফিরতে পারেন।

বড়দিনের বার্তায় পোপ বলেন, ‘ঈশ্বরেরপুত্র নিজেও দরিদ্র এবং সমাজচ্যুত মানুষদের মধ্যে জন্ম নিয়েছেন। তারমধ্য দিয়ে তিনি বলতে চেয়েছেন, সমাজচ্যুতরাও ঈশ্বরেরই সন্তান।’

‘দারিদ্র্য এবং প্রয়োজনের মধ্য দিয়েই ঈশ্বর আমাদের মাঝে আসেন এবং বলেন, গরিবদের সেবা করার মাধ্যমেই আমরা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে পারব।’

ইতালিতে বড়দিন এবং নববর্ষের ছুটির পুরো সময়েই দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। জরুরি নয় এমন সব দোকান ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি এবং ৫ ও ৬ জানুয়ারি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লোকজন শুধু কর্মক্ষেত্রে যেতে এবং স্বাস্থ্য ও জরুরি প্রয়োজনে ওই সময় বাড়ির বাইরে যেতে পারবে। যার অর্থ, সাধারণ মানুষ সেন্ট পিটার্স স্কয়ার বা ব্যাসিলিকায় যেতে পারবেন না। আর ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের অনুষ্ঠান বাড়ির ভেতরে আয়োজন করতে হবে। অতিথি সংখ্যাও অত্যন্ত সীমিত করে দেয়া হয়েছে। সব অনুষ্ঠান টেলিভিশনে বা ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ১০ রবিউস সানি ১৪৪২

বড়দিনে দরিদ্রদের সাহায্য করার কথা বললেন পোপ

image

খ্রিস্টানদের বড়দিন উপলক্ষে বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন পোপ ফ্রান্সিস -রয়টার্স

বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে আরোপিত নানা বিধিনিষেধের মধ্যেই। বড়দিনের আগের দিন সন্ধ্যায় এক ভাষণে পোপ ফ্রান্সিস বিশ্ববাসীকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করে গরিবদের সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার প্রধান অংশ নয় বরং পেছন দিকের একটি অংশে এ বছর ‘ক্রিসমাস ইভের ম্যাস’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে একশ’ জনের কম মানুষ অংশ নিয়েছেন। সাধারণত প্রতি বছর বড়দিনের ‘ম্যাসে’ দশ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। যাদের মধ্যে প্রায় দুইশ’ দেশের কূটনীতিকরা থাকেন।

এবার নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে ‘ম্যাস’ শুরু হয়। যাতে ‘ম্যাসে’ যার অংশ নিচ্ছেন তারা স্থানীয় সময় রাত ১০টায় কারফিউ শুরুর আগেই বাড়িতে ফিরতে পারেন।

বড়দিনের বার্তায় পোপ বলেন, ‘ঈশ্বরেরপুত্র নিজেও দরিদ্র এবং সমাজচ্যুত মানুষদের মধ্যে জন্ম নিয়েছেন। তারমধ্য দিয়ে তিনি বলতে চেয়েছেন, সমাজচ্যুতরাও ঈশ্বরেরই সন্তান।’

‘দারিদ্র্য এবং প্রয়োজনের মধ্য দিয়েই ঈশ্বর আমাদের মাঝে আসেন এবং বলেন, গরিবদের সেবা করার মাধ্যমেই আমরা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে পারব।’

ইতালিতে বড়দিন এবং নববর্ষের ছুটির পুরো সময়েই দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। জরুরি নয় এমন সব দোকান ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি এবং ৫ ও ৬ জানুয়ারি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লোকজন শুধু কর্মক্ষেত্রে যেতে এবং স্বাস্থ্য ও জরুরি প্রয়োজনে ওই সময় বাড়ির বাইরে যেতে পারবে। যার অর্থ, সাধারণ মানুষ সেন্ট পিটার্স স্কয়ার বা ব্যাসিলিকায় যেতে পারবেন না। আর ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের অনুষ্ঠান বাড়ির ভেতরে আয়োজন করতে হবে। অতিথি সংখ্যাও অত্যন্ত সীমিত করে দেয়া হয়েছে। সব অনুষ্ঠান টেলিভিশনে বা ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।