চীনের করোনা টিকা ৯১.২৫ শতাংশ কার্যকর : তুরস্ক

তুরস্ক দাবি করেছে, চীনের ‘সিনোভ্যা’ বায়োটেক উদ্ভাবিত করোনা টিকা ৯১.২৫ শতাংশ কার্যকর। দেশটিতে পরিচালিত চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অন্তর্বর্তী তথ্যের ভিত্তিতে এ দাবি করা হয়েছে। একই ভ্যাকসিনের ব্রাজিলে পৃথক পরীক্ষার ফলাফলের চেয়ে অনেক ভালো। রয়টার্স

গত বুধবার ব্রাজিলের গবেষকরা জানান, সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মাত্র ৫০ শতাংশের বেশি কার্যকর। তবে কোম্পানির অনুরোধে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল তুলে নেয়া হয়েছে, এতে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তুরস্কের গবেষকরা জানান, তাদের পরিচালিত পরীক্ষায় বড় ধরনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। শুধু একজন ব্যক্তির অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল জ্বর, হালকা ব্যথা ও সামান্য অবসাদ। তুরস্কে সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। এতে সাত সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন। ঘোষিত ফলাফল ১ হাজার ৩২২ জনের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রানেজেনেকা গত মাসে তাদের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করেছে।

চীনা ভ্যাকসিন উৎপাদকদের মধ্যে সিনোভ্যাক-ই প্রথম ফলাফল প্রকাশ করবে।

তুর্কি গবেষকরা জানান, পরীক্ষা চলাকালে আক্রান্ত হওয়া ২৯ জনের মধ্যে ২৬ জনকে প্লেসবো দেয়া হয়। ৪০ জন আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে।

গবেষকদের সঙ্গে উপস্থিত থাকা তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কজা বলেন, আমরা নিশ্চিত তুরস্কের জনগণের জন্য ভ্যাকসিনটি কার্যকর ও নিরাপদ।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ১০ রবিউস সানি ১৪৪২

চীনের করোনা টিকা ৯১.২৫ শতাংশ কার্যকর : তুরস্ক

তুরস্ক দাবি করেছে, চীনের ‘সিনোভ্যা’ বায়োটেক উদ্ভাবিত করোনা টিকা ৯১.২৫ শতাংশ কার্যকর। দেশটিতে পরিচালিত চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অন্তর্বর্তী তথ্যের ভিত্তিতে এ দাবি করা হয়েছে। একই ভ্যাকসিনের ব্রাজিলে পৃথক পরীক্ষার ফলাফলের চেয়ে অনেক ভালো। রয়টার্স

গত বুধবার ব্রাজিলের গবেষকরা জানান, সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মাত্র ৫০ শতাংশের বেশি কার্যকর। তবে কোম্পানির অনুরোধে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল তুলে নেয়া হয়েছে, এতে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তুরস্কের গবেষকরা জানান, তাদের পরিচালিত পরীক্ষায় বড় ধরনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। শুধু একজন ব্যক্তির অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল জ্বর, হালকা ব্যথা ও সামান্য অবসাদ। তুরস্কে সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর। এতে সাত সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন। ঘোষিত ফলাফল ১ হাজার ৩২২ জনের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রানেজেনেকা গত মাসে তাদের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করেছে।

চীনা ভ্যাকসিন উৎপাদকদের মধ্যে সিনোভ্যাক-ই প্রথম ফলাফল প্রকাশ করবে।

তুর্কি গবেষকরা জানান, পরীক্ষা চলাকালে আক্রান্ত হওয়া ২৯ জনের মধ্যে ২৬ জনকে প্লেসবো দেয়া হয়। ৪০ জন আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে।

গবেষকদের সঙ্গে উপস্থিত থাকা তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কজা বলেন, আমরা নিশ্চিত তুরস্কের জনগণের জন্য ভ্যাকসিনটি কার্যকর ও নিরাপদ।