৩০ মুসলিম দেশকে হামাসের বার্তা

বিশ্বের ৩০টি মুসলিম দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে লেখা এক চিঠিতে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম ও আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করা বড় ধরনের রাজনৈতিক অপরাধ। পার্সটুডে

চিঠিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কারণে ইহুদিবাদী সেনারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী তৎপরতা বাড়ানোর সাহস পেয়েছে। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকার ওপরও অবরোধ অব্যাহত রেখেছে তারা।

ইসরায়েলের এসব তৎপরতার উদাহরণ হিসেবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা জোরদার, ভূমি দখল, নতুন নতুন অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন, পবিত্র জেরুজালেম আল-কুদস শহরকে ইহুদিকরণ এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিভক্তিকরণের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন হামাস প্রধান। ইসমাইল হানিয়া বলেন, বর্ণবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া পুরো মুসলিম উম্মাহর স্বার্থের প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাকে বিশ্বাসঘাতকতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত আগস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই করে দুই আরব দেশ আমিরাত ও বাহরাইন। দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে পৌঁছায় তারা। এ শান্তি চুক্তিকে ভালো চোখে দেখছে না হামাস।

চুক্তির পর হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, এ সমঝোতা ফিলিস্তিনি জাতির স্বার্থ রক্ষা করবে না। সংযুক্ত আরব আমিরাত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও ফিলিস্তিনবিরোধী অপরাধযজ্ঞের ‘প্রতিদান’ হিসেবে তেল আবিবের সঙ্গে এ সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪২৭, ১০ রবিউস সানি ১৪৪২

৩০ মুসলিম দেশকে হামাসের বার্তা

image

বিশ্বের ৩০টি মুসলিম দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে লেখা এক চিঠিতে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম ও আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করা বড় ধরনের রাজনৈতিক অপরাধ। পার্সটুডে

চিঠিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কারণে ইহুদিবাদী সেনারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী তৎপরতা বাড়ানোর সাহস পেয়েছে। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকার ওপরও অবরোধ অব্যাহত রেখেছে তারা।

ইসরায়েলের এসব তৎপরতার উদাহরণ হিসেবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা জোরদার, ভূমি দখল, নতুন নতুন অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন, পবিত্র জেরুজালেম আল-কুদস শহরকে ইহুদিকরণ এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিভক্তিকরণের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন হামাস প্রধান। ইসমাইল হানিয়া বলেন, বর্ণবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া পুরো মুসলিম উম্মাহর স্বার্থের প্রতি হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাকে বিশ্বাসঘাতকতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত আগস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই করে দুই আরব দেশ আমিরাত ও বাহরাইন। দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে পৌঁছায় তারা। এ শান্তি চুক্তিকে ভালো চোখে দেখছে না হামাস।

চুক্তির পর হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, এ সমঝোতা ফিলিস্তিনি জাতির স্বার্থ রক্ষা করবে না। সংযুক্ত আরব আমিরাত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও ফিলিস্তিনবিরোধী অপরাধযজ্ঞের ‘প্রতিদান’ হিসেবে তেল আবিবের সঙ্গে এ সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।