গ্রাম আদালত সহকারী সমিতি চাকরি স্থায়ীকরণ চায়

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সহকারী সমিতি।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমিতির মানববন্ধনে এ দাবি জানান গ্রাম আদালত সহকারীরা। সমিতির সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সহসভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, সাধারণ সম্পাদক আল কামাল হাসান মোস্তফা, আফরোজা ইয়াসমীন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সারাদেশের আদালতগুলোয় মামলাজটের হার কমাতে উদ্যোগী সরকার। এ লক্ষ্যে সারাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে মামলা জট নিরসনে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির কাজ করে যাচ্ছে গ্রাম আদালত। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮টি বিভাগের ৩০টি জেলার ১৫৪টি উপজেলার এক হাজার ১০১টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম চলমান। এটি চারটি সহযোগী বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পটি ডিসেম্বরেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মেয়াদ শেষে এক হাজার ২০১ জন গ্রাম আদালত সহকারী কর্মসংস্থান হারাবেন। নতুন করে এ দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের দেয়ার কথা বলা হচ্ছে।

কিন্তু তাদের পক্ষে তার নিজের কাজ করে গ্রাম আদালতের কাজ করা সম্ভব হবে না। জনগণের দোরগোড়ায় অল্প সময়ে স্বল্প খরচে আইনি সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য এবং গ্রাম আদালতের কাজের জন্য আলাদাভাবে একজন গ্রাম আদালত সহকারী প্রয়োজন। তাই গ্রাম আদালতকে সক্রিয় রাখতে এর সহকারীদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালত সহকারী নিয়োগ প্রয়োজন বলেও তারা দাবি জানান।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

গ্রাম আদালত সহকারী সমিতি চাকরি স্থায়ীকরণ চায়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সহকারী সমিতি।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমিতির মানববন্ধনে এ দাবি জানান গ্রাম আদালত সহকারীরা। সমিতির সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সহসভাপতি বিশ্বজিৎ রায়, সাধারণ সম্পাদক আল কামাল হাসান মোস্তফা, আফরোজা ইয়াসমীন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সারাদেশের আদালতগুলোয় মামলাজটের হার কমাতে উদ্যোগী সরকার। এ লক্ষ্যে সারাদেশে স্থানীয় পর্যায়ে মামলা জট নিরসনে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির কাজ করে যাচ্ছে গ্রাম আদালত। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮টি বিভাগের ৩০টি জেলার ১৫৪টি উপজেলার এক হাজার ১০১টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম চলমান। এটি চারটি সহযোগী বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পটি ডিসেম্বরেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মেয়াদ শেষে এক হাজার ২০১ জন গ্রাম আদালত সহকারী কর্মসংস্থান হারাবেন। নতুন করে এ দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের দেয়ার কথা বলা হচ্ছে।

কিন্তু তাদের পক্ষে তার নিজের কাজ করে গ্রাম আদালতের কাজ করা সম্ভব হবে না। জনগণের দোরগোড়ায় অল্প সময়ে স্বল্প খরচে আইনি সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য এবং গ্রাম আদালতের কাজের জন্য আলাদাভাবে একজন গ্রাম আদালত সহকারী প্রয়োজন। তাই গ্রাম আদালতকে সক্রিয় রাখতে এর সহকারীদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালত সহকারী নিয়োগ প্রয়োজন বলেও তারা দাবি জানান।