পুলিশের সামনে অস্ত্র দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি

শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পুলিশের সামনে শর্টগান দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি প্রদান করেছে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই। গতকাল দুপুর ২টার দিকে ষোলঘর একেএসকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর বক্তৃতাকে কেন্দ্র করে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে নিজের লাইসেন্সকৃত শর্টগান প্রদর্শন করে হুমকি প্রদান করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আজিজুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলাম মাহি।

প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ষোলঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে বেশ কিছুদিন ধরে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম সমর্থিত শাহজালাল প্যানেল ও অপর মোয়াজ্জেম হোসেন প্যানেলের সঙ্গে কাউন্সিলর নিয়ে উত্তেজনা চলে আসছিল। গতকাল সম্মেলনে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী তার বক্তৃতায় বর্তমান ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজালালের গত ১৫ আগস্টের নৌভ্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।

এ সময় শাহজালাল মাইকের কাছে গিয়ে নুরুল আলম চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে বাকবিত-া ও হট্টোগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে শাহজালালের পক্ষ নিয়ে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হোসেন দৌড়ে গিয়ে শর্টগান এনে আজিজুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলামের হাতে তুলে দেয়। এ সময় নজরুল ইসলাম মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে শর্টগান প্রদর্শন করে উচ্চবাচ্য শুরু করে এবং প্রতিপক্ষের লোকজনকে হুমকি প্রদান করে। নজরুল ইসলামের পাশে মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্রীনগর থানার ওসি মো. হেদায়াতুল ইসলাম ভুঞা ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম। এমন ঘটনায় উপস্থিত কাউন্সিলর ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সম্মেলনের মঞ্চে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর চিফ সিকিউরিটি অফিসার মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ লুৎফর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন, সহসভাপতি সেলিম আহমেদ ভূইয়া, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু প্রমুখ।

সম্মেলনে সংঘটিত এমন পরিস্থিতিতে সবাই হতবাক হয়ে যায়। পরবর্তীতে সম্মেলনের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা ওঠে আসে। সম্মেলনে অস্ত্র প্রদর্শন নিয়ে শ্রীনগর থানার ওসি মো. হেদায়াতুল ইসলাম ভুঞা বলেন, হট্টগোল হয়েছিল। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার পর সেখানে নির্বাচন চলছে। অস্ত্র প্রদর্শনের ব্যাপারে কেউ কোন জিডি বা সাধারণ ডায়েরি সন্ধ্যা পর্যন্ত করেনি।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

শ্রীনগর আ’লীগ সম্মেলনে

পুলিশের সামনে অস্ত্র দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি

প্রতিনিধি, শ্রীনগর

শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পুলিশের সামনে শর্টগান দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি প্রদান করেছে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই। গতকাল দুপুর ২টার দিকে ষোলঘর একেএসকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর বক্তৃতাকে কেন্দ্র করে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে নিজের লাইসেন্সকৃত শর্টগান প্রদর্শন করে হুমকি প্রদান করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আজিজুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলাম মাহি।

প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ষোলঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে বেশ কিছুদিন ধরে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম সমর্থিত শাহজালাল প্যানেল ও অপর মোয়াজ্জেম হোসেন প্যানেলের সঙ্গে কাউন্সিলর নিয়ে উত্তেজনা চলে আসছিল। গতকাল সম্মেলনে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী তার বক্তৃতায় বর্তমান ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজালালের গত ১৫ আগস্টের নৌভ্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।

এ সময় শাহজালাল মাইকের কাছে গিয়ে নুরুল আলম চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে বাকবিত-া ও হট্টোগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে শাহজালালের পক্ষ নিয়ে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হোসেন দৌড়ে গিয়ে শর্টগান এনে আজিজুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলামের হাতে তুলে দেয়। এ সময় নজরুল ইসলাম মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে শর্টগান প্রদর্শন করে উচ্চবাচ্য শুরু করে এবং প্রতিপক্ষের লোকজনকে হুমকি প্রদান করে। নজরুল ইসলামের পাশে মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্রীনগর থানার ওসি মো. হেদায়াতুল ইসলাম ভুঞা ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম। এমন ঘটনায় উপস্থিত কাউন্সিলর ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সম্মেলনের মঞ্চে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর চিফ সিকিউরিটি অফিসার মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ লুৎফর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন, সহসভাপতি সেলিম আহমেদ ভূইয়া, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু প্রমুখ।

সম্মেলনে সংঘটিত এমন পরিস্থিতিতে সবাই হতবাক হয়ে যায়। পরবর্তীতে সম্মেলনের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা ওঠে আসে। সম্মেলনে অস্ত্র প্রদর্শন নিয়ে শ্রীনগর থানার ওসি মো. হেদায়াতুল ইসলাম ভুঞা বলেন, হট্টগোল হয়েছিল। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার পর সেখানে নির্বাচন চলছে। অস্ত্র প্রদর্শনের ব্যাপারে কেউ কোন জিডি বা সাধারণ ডায়েরি সন্ধ্যা পর্যন্ত করেনি।