গাংনী মহব্বতপুর সর. প্রা. বিদ্যালয়

জমি জটিলতায় মাঝপথে বন্ধ ভবন নির্মাণ কাজ!

মেহেরপুরের গাংনীর মহব্বতপুরে বিদ্যালয়ের নিজেদের জমি ভেবে ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটিকে নিছক ভুল বলে দাবি করলেও প্রকৃত জমির মালিকরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ও আইনী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চাহিদাভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প(প্রথম পর্যায়) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় ও এলজিইডির বাস্তবায়নে ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৭ টাকা ব্যয়ে মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ৬ মাস আগে। কাজটি পান ঝিনাইদহ কাঞ্চন নগরের নিশিতবসু কনস্ট্রাকশন। কাজটির প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। প্রকৃত জমির মালিকগণ এসে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন টনক নড়েছে প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

জমির মালিক প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল খালেক জানান, যে জমিতে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি চার শরিকের। যার মৌজা মহব্বতপুর ১৪৩নং খতিয়ানের ১৮২ দাগ। জমির পরিমাণ ১৬ শতাংশ। এ জমির পেছনের দিকের ৫৭নং খতিয়ানের ১৮৩নং দাগে বিদ্যালয়ের জমি রয়েছে ১৫ শতাংশ। প্রধান শিক্ষককে জমি বিনিময়ের ব্যাপারে অনেকবার বলা হলেও কোন কর্ণপাত করেননি। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিও বারবার বিষয়টি উপক্ষো করেছেন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জমির শরিকগণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজ করতে নিষেধ করেছেন। ফলে বন্ধ হয়েছে নির্মাণ কাজ। বিষয়টি আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, এটি নিছক ভুল হয়েছে। জমিটি বিনিময় করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। এটি সময়ের ব্যাপার। তবে জমির শরিকরা বিনিময় করতে নারাজ।

বিদ্যালয়ের সভাপতি শহীদ সরওয়ার জানান, বিদ্যালয়ের কাজ শুরুর পরে তিনি সভাপতি হয়েছেন তাই জমিজমার বিষয়টি তার অজানা।

গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন জানান, জমির ব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। তবে জমির কাগজপত্র না দেখে ভবন নির্মাণ কাজ কখনও সঠিক হয়নি। বিষয়টি কিভাবে সমাধান করা যায় তার পথ খোঁজা হচ্ছে। মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলে রহমান জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। আর কোন কথাও বলতে চান না। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান জানান, এটি নিছক ভুলের বিষয় নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

গাংনী মহব্বতপুর সর. প্রা. বিদ্যালয়

জমি জটিলতায় মাঝপথে বন্ধ ভবন নির্মাণ কাজ!

প্রতিনিধি, মেহেরপুর

image

মেহেরপুরের গাংনীর মহব্বতপুরে বিদ্যালয়ের নিজেদের জমি ভেবে ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটিকে নিছক ভুল বলে দাবি করলেও প্রকৃত জমির মালিকরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ও আইনী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চাহিদাভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প(প্রথম পর্যায়) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় ও এলজিইডির বাস্তবায়নে ৮১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৭ টাকা ব্যয়ে মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ৬ মাস আগে। কাজটি পান ঝিনাইদহ কাঞ্চন নগরের নিশিতবসু কনস্ট্রাকশন। কাজটির প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। প্রকৃত জমির মালিকগণ এসে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন টনক নড়েছে প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

জমির মালিক প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল খালেক জানান, যে জমিতে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি চার শরিকের। যার মৌজা মহব্বতপুর ১৪৩নং খতিয়ানের ১৮২ দাগ। জমির পরিমাণ ১৬ শতাংশ। এ জমির পেছনের দিকের ৫৭নং খতিয়ানের ১৮৩নং দাগে বিদ্যালয়ের জমি রয়েছে ১৫ শতাংশ। প্রধান শিক্ষককে জমি বিনিময়ের ব্যাপারে অনেকবার বলা হলেও কোন কর্ণপাত করেননি। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিও বারবার বিষয়টি উপক্ষো করেছেন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে জমির শরিকগণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজ করতে নিষেধ করেছেন। ফলে বন্ধ হয়েছে নির্মাণ কাজ। বিষয়টি আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, এটি নিছক ভুল হয়েছে। জমিটি বিনিময় করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। এটি সময়ের ব্যাপার। তবে জমির শরিকরা বিনিময় করতে নারাজ।

বিদ্যালয়ের সভাপতি শহীদ সরওয়ার জানান, বিদ্যালয়ের কাজ শুরুর পরে তিনি সভাপতি হয়েছেন তাই জমিজমার বিষয়টি তার অজানা।

গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন জানান, জমির ব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। তবে জমির কাগজপত্র না দেখে ভবন নির্মাণ কাজ কখনও সঠিক হয়নি। বিষয়টি কিভাবে সমাধান করা যায় তার পথ খোঁজা হচ্ছে। মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলে রহমান জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। আর কোন কথাও বলতে চান না। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মনসুর আলম খান জানান, এটি নিছক ভুলের বিষয় নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।