প্রতিবন্ধকতা জয়ের গল্প ‘মনোরথ’

শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ ও সুস্থ অনেক লোকের পক্ষে রাজধানীর পাবলিক বাসে যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য। আর আলম নামের একজন এমন শরীর নিয়েই বাসের কন্ডাক্টরের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে! তার শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ অনেককে রাস্তার মোড়ে কিংবা ওভারব্রিজে বসে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। নির্মাতা মুহম্মদ মোফাজ্জল তাকে প্রথমবার দেখেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সম্মানজনক উপার্জনের একটি গল্প ফাঁদলেন। নাম দিলেন -‘মনোরথ’। তাকে ক্যামেরার সামনে ভিক্ষার থালা দিয়ে বসিয়ে দেয়া হলো। তার উল্টো দিকে ভিক্ষার থালা নিয়ে বসলেন অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ। তার একটি কাটা পা প্লাস্টিকে মোড়ানো। দিন শেষে দেখা যায় শতাব্দীর ভিক্ষার থালায় আলমের চেয়ে অনেক বেশি খুচরা টাকা-পয়সা জমা পড়ে। কারণ শতাব্দী তার প্লাস্টিকে মোড়ানো পা ঝাঁকিয়ে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গিতে তার অসহায়ত্ব আলমের বেশি ফুটিয়ে তুলে পথচারীর নজর কাড়ে। কিন্তু আলম শুধু পথচারীর পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর ভাবে তার যদি পা থাকত তবে সে ভিক্ষা না করে কাজ করে খেত। একদিন আলম আবিষ্কার করে ফেলে যে প্লাস্টিকে মোড়ানো শতাব্দীর পাটি সম্পূর্ণ সুস্থ। রাতে কোন ঝোপের আড়ালে গিয়ে সে প্লাস্টিকটা খুলে হেঁটে চলে। আলম এ ঘটনা জেনে যাওয়ায় শতাব্দী তাকে এলাকা ছাড়া করে। পরের অংশটা আলমের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বাসের কন্ডাক্টর হয়ে ওঠা আর শতাব্দীর ভেতরের ভাঙচুরের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধিও গল্প। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন চন্দন রেজা, ইকবাল হোসেন, কাব্য ও সামিন।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

প্রতিবন্ধকতা জয়ের গল্প ‘মনোরথ’

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ ও সুস্থ অনেক লোকের পক্ষে রাজধানীর পাবলিক বাসে যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য। আর আলম নামের একজন এমন শরীর নিয়েই বাসের কন্ডাক্টরের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে! তার শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ অনেককে রাস্তার মোড়ে কিংবা ওভারব্রিজে বসে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। নির্মাতা মুহম্মদ মোফাজ্জল তাকে প্রথমবার দেখেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সম্মানজনক উপার্জনের একটি গল্প ফাঁদলেন। নাম দিলেন -‘মনোরথ’। তাকে ক্যামেরার সামনে ভিক্ষার থালা দিয়ে বসিয়ে দেয়া হলো। তার উল্টো দিকে ভিক্ষার থালা নিয়ে বসলেন অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ। তার একটি কাটা পা প্লাস্টিকে মোড়ানো। দিন শেষে দেখা যায় শতাব্দীর ভিক্ষার থালায় আলমের চেয়ে অনেক বেশি খুচরা টাকা-পয়সা জমা পড়ে। কারণ শতাব্দী তার প্লাস্টিকে মোড়ানো পা ঝাঁকিয়ে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গিতে তার অসহায়ত্ব আলমের বেশি ফুটিয়ে তুলে পথচারীর নজর কাড়ে। কিন্তু আলম শুধু পথচারীর পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর ভাবে তার যদি পা থাকত তবে সে ভিক্ষা না করে কাজ করে খেত। একদিন আলম আবিষ্কার করে ফেলে যে প্লাস্টিকে মোড়ানো শতাব্দীর পাটি সম্পূর্ণ সুস্থ। রাতে কোন ঝোপের আড়ালে গিয়ে সে প্লাস্টিকটা খুলে হেঁটে চলে। আলম এ ঘটনা জেনে যাওয়ায় শতাব্দী তাকে এলাকা ছাড়া করে। পরের অংশটা আলমের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বাসের কন্ডাক্টর হয়ে ওঠা আর শতাব্দীর ভেতরের ভাঙচুরের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধিও গল্প। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন চন্দন রেজা, ইকবাল হোসেন, কাব্য ও সামিন।