করোনার নতুন ধরন নিয়ে দুই মত

করোনাভাইরাসের একটি নতুন ধরন (স্ট্রেইন) বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে কিনা তা নিয়ে বিপরীতমুখী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে।

সরকারের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) বিজ্ঞানী ড. সেলিম খান সম্প্রতি দাবি করেন, করোনার নতুন একটি ধরন (স্ট্রেইন) বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এই ধরন বা প্রজাতির সঙ্গে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের মিল রয়েছে।

কিন্তু সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এসএম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হুবহু মিল কোন ভাইরাসের অস্তিত্ব বাংলাদেশে এখনও পাওয়া যায়নি।

আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এই নতুন ধরন নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। তবে মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। নতুন স্ট্রেইনে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও এটি খুব একটা প্রাণঘাতী নয় বলেই তাদের মত।

যুক্তরাজ্যে প্রথম করোনার এই স্ট্রেইন বা ধরন শনাক্ত হলেও পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়ায় এটি শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাসের স্বাভাবিক সংক্রমণের চেয়ে ৬০/৭০ শতাংশ বেশি গতিতে এটি মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। নতুন এই স্ট্রেইনে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে যদি এই ভেরিয়েন্ট ঢুকে যায় সেক্ষেত্রে শিশুরাই সবোর্চ্চ ঝুঁকিতে থাকবে, সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তবে নতুন স্ট্রেইনে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও এটি খুব একটা প্রাণঘাতী নয়।

বিসিএসআইআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান গত ২৪ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের বলেন, ‘নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ যে সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তাতে ভাইরাসটির দুটি স্পাইকে প্রোটিন মিউটেশন পাওয়া যায়।’

বিসিএসআইআর’র বিজ্ঞানীরা গত মাসে ১৭টি নতুন জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে পাঁচটিতে করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরন শনাক্ত করেন। যুক্তরাজ্যে শনাক্ত নতুন ভাইরাসটির ধরনে যে বৈশিষ্ট্য আছে, সেটির সঙ্গে বাংলাদেশে পাওয়া ভাইরাসটির পুরোপুরি মিল না থাকলেও অনেকটাই মিল রয়েছে বলে দাবি করেন ড. সেলিম খান।

বিসিএসআইআর’র দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আইইডিসিআর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এসএম আলমগীর সংবাদকে বলেন, ‘ভাইরাসের মধ্যে চ্যাঞ্জেস (পরিবর্তন) হলে এটিকে যে নতুন স্ট্রেইন (প্রজাতি) বলে না, এটিই তারা বুঝেন না। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হুবহু মিল কোন ভাইরাসের অস্তিত্ব বাংলাদেশে এখনও পাওয়া যায়নি। তারা বলেছে, একটা ভ্যাকট্রাম সাদৃশ্য আছে, বিজ্ঞান এ রকম কথা বলে না। যদি মিউটেশনের সঙ্গে মিল থাকে... বলবে মিল আছে, যদি মিল না থাকে বলবে.. মিল নেই। তারা বলেছে, সাদৃশ্য আছে; এই সাদৃশ্য ও সামঞ্জস্য... এসব জেনেটিক অ্যানালাইসিস আমরা ইউজ করি না।’

বাংলাদেশে করোনার নতুন স্ট্রেইন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে ডা. এসএম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের চিন্তিত না হয়ে একটু সাবধান হলে ভালো হবে। কারণ বাংলাদেশে আমরা দেখছি যে, আমরা যখন মাস্ক পরা বাড়াতে পারছি তখন সংক্রমণের সংখ্যাও কমছে। ইদানীংকালে মাস্ক না পরলে শাস্তি..... ইত্যাদি উদ্যোগ নেয়ায় সংক্রমণ কমেছে।’

করোনার নতুন স্ট্রেইন কতটুকু প্রাণঘাতী এবং বাংলাদেশ এই ঝুঁকিতে রয়েছে কীনা জানতে চাইলে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের যে নতুন স্ট্রেইনের কথা বলা হচ্ছে, আমাদের দেশে সেটি পাওয়া গেছে- সেটি এখনও প্রমাণিত হয়নি। এটি নিয়ে নতুন করে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

করোনার নতুন স্ট্রেইনটি খুব একটা প্রাণঘাতী নয় দাবি করে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘বলা হচ্ছে এটি দ্রুত ছড়ায়। সাধারণত সব ভাইরাসই দ্রুত ছড়ায় এবং রূপ পরিবর্তন করে। আর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপজুড়ে বড় দিনকে সামনে রেখে মানুষের চলাফেরা বেড়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি- এসব কারণে সংক্রমণ বেশি ঘটেছে।’

বাংলাদেশে করোনার নতুন স্ট্রেইনের ঝুঁকি রয়েছে কীনা এবং শীতের কারণে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে কীনা-জানতে চাইলে ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘আমরা তো এখনও ঝুঁকির মধ্যেই আছি। সবাইকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে; মাস্ক পড়তে হবে, যতটুকু সম্ভব মানুষের জমায়েত বা ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। তা না হলে সংক্রমণ বাড়তেই পারে।’

গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর তা পুরো যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অক্টোবরে ব্রিটেনে যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ৫০ শতাংশই নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসের কবলে পড়েছে। নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনা ব্যাপক হারে শিশুদের সংক্রমিত করছে। সে কারণেই উদ্বিগ্ন বিশ্ব। ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকার অন্তত ৪০টি দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।

ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রিস হুইটি বলেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে খুব দ্রুত এর সংক্রমণ বেড়েছে।’ সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে ৪৩ শতাংশ, পূর্ব ইংল্যান্ডে ৫৯ শতাংশ এবং লন্ডনে ৬২ শতাংশ নতুন সংক্রমণের পেছনে এ রূপান্তরিত স্ট্রেইন দায়ী।

করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনটির ২৩টি ভিন্ন ভিন্ন পরিবর্তন দেখা গেছে। যুক্তরাজ্যের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালান্স বলেছেন, ‘অস্বাভাবিকভাবে বড় সংখ্যায় এর রূপান্তর দেখা গেছে।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

করোনার নতুন ধরন নিয়ে দুই মত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাসের একটি নতুন ধরন (স্ট্রেইন) বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে কিনা তা নিয়ে বিপরীতমুখী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে।

সরকারের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) বিজ্ঞানী ড. সেলিম খান সম্প্রতি দাবি করেন, করোনার নতুন একটি ধরন (স্ট্রেইন) বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এই ধরন বা প্রজাতির সঙ্গে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের মিল রয়েছে।

কিন্তু সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এসএম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হুবহু মিল কোন ভাইরাসের অস্তিত্ব বাংলাদেশে এখনও পাওয়া যায়নি।

আর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এই নতুন ধরন নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। তবে মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। নতুন স্ট্রেইনে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও এটি খুব একটা প্রাণঘাতী নয় বলেই তাদের মত।

যুক্তরাজ্যে প্রথম করোনার এই স্ট্রেইন বা ধরন শনাক্ত হলেও পরবর্তীতে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়ায় এটি শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাসের স্বাভাবিক সংক্রমণের চেয়ে ৬০/৭০ শতাংশ বেশি গতিতে এটি মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। নতুন এই স্ট্রেইনে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে যদি এই ভেরিয়েন্ট ঢুকে যায় সেক্ষেত্রে শিশুরাই সবোর্চ্চ ঝুঁকিতে থাকবে, সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তবে নতুন স্ট্রেইনে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও এটি খুব একটা প্রাণঘাতী নয়।

বিসিএসআইআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান গত ২৪ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের বলেন, ‘নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ যে সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তাতে ভাইরাসটির দুটি স্পাইকে প্রোটিন মিউটেশন পাওয়া যায়।’

বিসিএসআইআর’র বিজ্ঞানীরা গত মাসে ১৭টি নতুন জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে পাঁচটিতে করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরন শনাক্ত করেন। যুক্তরাজ্যে শনাক্ত নতুন ভাইরাসটির ধরনে যে বৈশিষ্ট্য আছে, সেটির সঙ্গে বাংলাদেশে পাওয়া ভাইরাসটির পুরোপুরি মিল না থাকলেও অনেকটাই মিল রয়েছে বলে দাবি করেন ড. সেলিম খান।

বিসিএসআইআর’র দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে আইইডিসিআর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এসএম আলমগীর সংবাদকে বলেন, ‘ভাইরাসের মধ্যে চ্যাঞ্জেস (পরিবর্তন) হলে এটিকে যে নতুন স্ট্রেইন (প্রজাতি) বলে না, এটিই তারা বুঝেন না। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হুবহু মিল কোন ভাইরাসের অস্তিত্ব বাংলাদেশে এখনও পাওয়া যায়নি। তারা বলেছে, একটা ভ্যাকট্রাম সাদৃশ্য আছে, বিজ্ঞান এ রকম কথা বলে না। যদি মিউটেশনের সঙ্গে মিল থাকে... বলবে মিল আছে, যদি মিল না থাকে বলবে.. মিল নেই। তারা বলেছে, সাদৃশ্য আছে; এই সাদৃশ্য ও সামঞ্জস্য... এসব জেনেটিক অ্যানালাইসিস আমরা ইউজ করি না।’

বাংলাদেশে করোনার নতুন স্ট্রেইন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে ডা. এসএম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের চিন্তিত না হয়ে একটু সাবধান হলে ভালো হবে। কারণ বাংলাদেশে আমরা দেখছি যে, আমরা যখন মাস্ক পরা বাড়াতে পারছি তখন সংক্রমণের সংখ্যাও কমছে। ইদানীংকালে মাস্ক না পরলে শাস্তি..... ইত্যাদি উদ্যোগ নেয়ায় সংক্রমণ কমেছে।’

করোনার নতুন স্ট্রেইন কতটুকু প্রাণঘাতী এবং বাংলাদেশ এই ঝুঁকিতে রয়েছে কীনা জানতে চাইলে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের যে নতুন স্ট্রেইনের কথা বলা হচ্ছে, আমাদের দেশে সেটি পাওয়া গেছে- সেটি এখনও প্রমাণিত হয়নি। এটি নিয়ে নতুন করে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

করোনার নতুন স্ট্রেইনটি খুব একটা প্রাণঘাতী নয় দাবি করে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘বলা হচ্ছে এটি দ্রুত ছড়ায়। সাধারণত সব ভাইরাসই দ্রুত ছড়ায় এবং রূপ পরিবর্তন করে। আর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপজুড়ে বড় দিনকে সামনে রেখে মানুষের চলাফেরা বেড়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি- এসব কারণে সংক্রমণ বেশি ঘটেছে।’

বাংলাদেশে করোনার নতুন স্ট্রেইনের ঝুঁকি রয়েছে কীনা এবং শীতের কারণে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে কীনা-জানতে চাইলে ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘আমরা তো এখনও ঝুঁকির মধ্যেই আছি। সবাইকে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে; মাস্ক পড়তে হবে, যতটুকু সম্ভব মানুষের জমায়েত বা ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। তা না হলে সংক্রমণ বাড়তেই পারে।’

গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর তা পুরো যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অক্টোবরে ব্রিটেনে যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ৫০ শতাংশই নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসের কবলে পড়েছে। নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনা ব্যাপক হারে শিশুদের সংক্রমিত করছে। সে কারণেই উদ্বিগ্ন বিশ্ব। ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকার অন্তত ৪০টি দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।

ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রিস হুইটি বলেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে খুব দ্রুত এর সংক্রমণ বেড়েছে।’ সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে ৪৩ শতাংশ, পূর্ব ইংল্যান্ডে ৫৯ শতাংশ এবং লন্ডনে ৬২ শতাংশ নতুন সংক্রমণের পেছনে এ রূপান্তরিত স্ট্রেইন দায়ী।

করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনটির ২৩টি ভিন্ন ভিন্ন পরিবর্তন দেখা গেছে। যুক্তরাজ্যের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালান্স বলেছেন, ‘অস্বাভাবিকভাবে বড় সংখ্যায় এর রূপান্তর দেখা গেছে।