বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আট কোটি ছাড়াল

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি দুই লাখ সাত হাজার ১৫৫ জন ছাড়িয়েছে। মারা গেছে ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছে পাঁচ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার ৩৯৪ জন। বর্তমানে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছে দুই কোটি ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ১২১ জন।

বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর হার তিন শতাংশ এবং সেরে ওঠার হার ৯৭ শতাংশ। বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশের অবস্থা গুরুতর এবং বাকি ৯৯.৫ শতাংশের অবস্থা স্থিতিশীল। বিশ্বে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার ১৬৬। মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ২৬৩ জনের। আক্রান্তের হিসাব অনুযায়ী দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১৬ লাখ ৯ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৬। এর মধ্যে এক লাখ ৯০ হাজার ৫১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৩৩ জন। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যে কোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’

মহামারীর শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরালো করে চীনের উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ানের বক্তব্য। লি মেং ইয়ান বলেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে।

হংকংয়ে জন্ম নেয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বছরের শুরুতে তাকে চীন হত্যা করতে চেয়েছিল বলে ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান তিনি। তিনি জানান, চীনের পূর্বাঞ্চলে গত বছরের শেষ দিকে নিউমোনিয়ার মতো এই রোগ নিয়ে প্রথম দিকে গবেষণাকারীদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন তাকে নীরব ও সতর্ক থাকতে বলা হয়। তার সুপারভাইজার তাকে বলেন, আমরা সমস্যায় পড়ব এবং গুম হয়ে যাব।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। একপর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ১২ পৌষ ১৪২৭, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আট কোটি ছাড়াল

image

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি দুই লাখ সাত হাজার ১৫৫ জন ছাড়িয়েছে। মারা গেছে ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছে পাঁচ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার ৩৯৪ জন। বর্তমানে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছে দুই কোটি ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ১২১ জন।

বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর হার তিন শতাংশ এবং সেরে ওঠার হার ৯৭ শতাংশ। বর্তমানে আক্রান্তদের মধ্যে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশের অবস্থা গুরুতর এবং বাকি ৯৯.৫ শতাংশের অবস্থা স্থিতিশীল। বিশ্বে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার ১৬৬। মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ২৬৩ জনের। আক্রান্তের হিসাব অনুযায়ী দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১৬ লাখ ৯ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৬। এর মধ্যে এক লাখ ৯০ হাজার ৫১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৩৩ জন। এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যে কোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।’

মহামারীর শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরালো করে চীনের উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ানের বক্তব্য। লি মেং ইয়ান বলেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে।

হংকংয়ে জন্ম নেয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বছরের শুরুতে তাকে চীন হত্যা করতে চেয়েছিল বলে ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান তিনি। তিনি জানান, চীনের পূর্বাঞ্চলে গত বছরের শেষ দিকে নিউমোনিয়ার মতো এই রোগ নিয়ে প্রথম দিকে গবেষণাকারীদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন তাকে নীরব ও সতর্ক থাকতে বলা হয়। তার সুপারভাইজার তাকে বলেন, আমরা সমস্যায় পড়ব এবং গুম হয়ে যাব।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। একপর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।