কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পুষ্টি সংবেদনশীল কৃষিনীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষ সচেতন হলেই পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুষ্টি বিষয়ে সব জনগণ বিশেষ করে তরুণরা সচেতন হলেই পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জন করা সম্ভব হবে। কারণ দেশের মোট জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ বয়সে তরুণ। গতকাল বিড ফাউন্ডেশন, গেইন, আইসিটি বিভাগ ও নিউট্রিশন ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড ২০২০’র উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তরুণ জনগোষ্ঠীর শক্তিকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টিসম্মত জীবনযাপন অনুশীলন ও কর্মসূচিতে তরুণদেরকে সম্পৃক্ত করা গেলে পুষ্টিসমৃদ্ধ জাতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ‘তরুণদের নেতৃত্বে পুষ্টি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে নিউট্রিশন অলিম্পিয়ার্ড ২০২০।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া প্রিফন্তেইন, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন, আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক আরশাদ আলী, বিড ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শহীদ উদ্দিন আকবর ও গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর রুদাবা খন্দকার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমএ সাত্তার ম-ল। সচেতনতার পাশাপাশি স্বল্প বা কম আয়ের মানুষের আয়ের উপায় বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে টাকার অভাবে স্বল্প আয়ের বা প্রান্তিক গরিব মানুষেরা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার ক্রয় করতে পারে না। সেজন্য তাদের আয়ের পথ প্রশস্ত করতে হবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির কর্মসূচিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জন্য পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।