রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দেয়ায় খুশি কৃষক। এবারের বন্যার কারনে রোপা আমনের ক্ষতি হলেও তা পুষিয়ে উঠার সম্ভবনায় রয়েছে। কৃষকরা জানান,অনেক মাঠে পোকার আক্রমণ রয়েছে, তার পরও ভাল ফলনের আশা করছে কৃষকেরা। যেখানে যেটুকু রোপণ করা হয়েছে সেটুকুই ভাল ফলন হচ্ছে। জেলার সদরপুর উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার সব কয়টি উপজেলায় কম-বেশী রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। জেলার প্রায় সব কয়টি উপজেলায় একইভাবে আবাদ করছে কৃষকেরা বিশেষ করে জেলার সদরপুর উপজেলার ৯ টি ইউ,পি তে প্রায় ১০ হাজার ৮শ; হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছিল। পদ্মা, আড়িয়াল নদী বৃস্টিত সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চল পলি বেষ্টিত উর্বর মাটিতে ফসল ভালো হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকরা বেশি পরিমান জমিতে বুনাআমনও রোপা আমনের আবাদ করে থাকে। চলতি মৌসুমে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায়, সেচ দিতে হয়নি অনেক মাঠে এতে ফসলের বা ধানের চারার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।

সেচ বন্ধ থাকায় অনেক অর্থ সাশ্রয় হয়েছে কৃষকের। এখন অনেক মঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। সোনালী ধানের হাসিতে কৃষক আত্মহারা হয়ে হাসছে। আর কয়েকদিন পরে পুরোপুরি শুরু হবে রোপা আমন কাটার মৌসুম, যদিও কোন কোন মাঠে দু-একজন ধান কাটতে শুরু করলেও ব্যাপকভাবে শুরু হবে কয়েকদিন পর। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এ মৌসুমে রোপা আমনের আবাদ ভালোই হয়েছে, ফলনও বেশ ভাল হওয়ার আশাই আছে।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রতিনিধি, সদরপুর (ফরিদপুর)

image

চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দেয়ায় খুশি কৃষক। এবারের বন্যার কারনে রোপা আমনের ক্ষতি হলেও তা পুষিয়ে উঠার সম্ভবনায় রয়েছে। কৃষকরা জানান,অনেক মাঠে পোকার আক্রমণ রয়েছে, তার পরও ভাল ফলনের আশা করছে কৃষকেরা। যেখানে যেটুকু রোপণ করা হয়েছে সেটুকুই ভাল ফলন হচ্ছে। জেলার সদরপুর উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার সব কয়টি উপজেলায় কম-বেশী রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। জেলার প্রায় সব কয়টি উপজেলায় একইভাবে আবাদ করছে কৃষকেরা বিশেষ করে জেলার সদরপুর উপজেলার ৯ টি ইউ,পি তে প্রায় ১০ হাজার ৮শ; হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছিল। পদ্মা, আড়িয়াল নদী বৃস্টিত সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চল পলি বেষ্টিত উর্বর মাটিতে ফসল ভালো হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকরা বেশি পরিমান জমিতে বুনাআমনও রোপা আমনের আবাদ করে থাকে। চলতি মৌসুমে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায়, সেচ দিতে হয়নি অনেক মাঠে এতে ফসলের বা ধানের চারার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।

সেচ বন্ধ থাকায় অনেক অর্থ সাশ্রয় হয়েছে কৃষকের। এখন অনেক মঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। সোনালী ধানের হাসিতে কৃষক আত্মহারা হয়ে হাসছে। আর কয়েকদিন পরে পুরোপুরি শুরু হবে রোপা আমন কাটার মৌসুম, যদিও কোন কোন মাঠে দু-একজন ধান কাটতে শুরু করলেও ব্যাপকভাবে শুরু হবে কয়েকদিন পর। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এ মৌসুমে রোপা আমনের আবাদ ভালোই হয়েছে, ফলনও বেশ ভাল হওয়ার আশাই আছে।