ভোলা পবিস কর্মকর্তাদের বেতনের টাকায় ঘর পেলেন প্রতিবন্ধী

চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে প্রয়াত আব্দুল ওহাব চকিদারের মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী দুই কন্যার জননী প্রতিবন্ধী আনোয়ারা(৪৫)। বিয়ের পর প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও এক প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানসহ দুই সন্তান রেখে স্বামী ইয়াছিন অন্যত্রে চলে যায়। এক যুগেও তাদের খোঁজ নেয়নি স্বামী ইয়াছিন।

বাধ্য হয়ে সে আশ্রয় নেয় বাবার ভিটায়। নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে অর্ধহারে অনাহারে থেকে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে বড় মেয়ে তানিয়াকে লেখা পড়া করান স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় সে এখন নবম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট মেয়ে সোনিয়া (১৪) বাঁকপ্রতিবন্ধী ঝিয়ের কাজে মায়ের সঙ্গে সহায়তা করেন।

বাবা আব্দুল ওহাবের বাড়িতে এক টুকরো জমিতে প্রতিবন্ধী দুই সন্তান নিয়ে ঝুঁপড়ি ঘরে তাদের বসবাস। প্রতিবন্ধী পরিবারে অর্ধহারে অনাহারে তিন সদস্যে নিয়ে ঝুপরী ঘরে বসবাসের বিষয়টি দৃষ্টিতে আসে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার আজাদের। পল্লী বিদ্যুত সমিতির উদ্যোগে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তাদের বেতনের টাকায় প্রতিবন্ধী পরিবারকে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেন পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তারা।

গত শনিবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিবন্ধী পরিবারের আনোয়ারাকে ঘরের চাবি তুলে দেন। প্রতিবন্ধী আনোয়ারা জানান, এক যুগ পরে পাকা ঘর পেয়ে আশার আলো খুঁজে পেয়েছি। জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার আজাদ জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনা উপহার এর ধারাবাহিকতায় এই প্রতিবন্ধী অসহায় পরিবারকে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তাদের বেতনের ২ লাখ টাকায় আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, সুবিধাবঞ্চিত এই প্রতিবন্ধী পরিবারকে ভাতার আওতায় এনে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ভোলা পবিস কর্মকর্তাদের বেতনের টাকায় ঘর পেলেন প্রতিবন্ধী

প্রতিনিধি, চরফ্যাশন (ভোলা)

image

চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে প্রয়াত আব্দুল ওহাব চকিদারের মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী দুই কন্যার জননী প্রতিবন্ধী আনোয়ারা(৪৫)। বিয়ের পর প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও এক প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানসহ দুই সন্তান রেখে স্বামী ইয়াছিন অন্যত্রে চলে যায়। এক যুগেও তাদের খোঁজ নেয়নি স্বামী ইয়াছিন।

বাধ্য হয়ে সে আশ্রয় নেয় বাবার ভিটায়। নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে অর্ধহারে অনাহারে থেকে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে বড় মেয়ে তানিয়াকে লেখা পড়া করান স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় সে এখন নবম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট মেয়ে সোনিয়া (১৪) বাঁকপ্রতিবন্ধী ঝিয়ের কাজে মায়ের সঙ্গে সহায়তা করেন।

বাবা আব্দুল ওহাবের বাড়িতে এক টুকরো জমিতে প্রতিবন্ধী দুই সন্তান নিয়ে ঝুঁপড়ি ঘরে তাদের বসবাস। প্রতিবন্ধী পরিবারে অর্ধহারে অনাহারে তিন সদস্যে নিয়ে ঝুপরী ঘরে বসবাসের বিষয়টি দৃষ্টিতে আসে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার আজাদের। পল্লী বিদ্যুত সমিতির উদ্যোগে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তাদের বেতনের টাকায় প্রতিবন্ধী পরিবারকে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেন পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মকর্তারা।

গত শনিবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিবন্ধী পরিবারের আনোয়ারাকে ঘরের চাবি তুলে দেন। প্রতিবন্ধী আনোয়ারা জানান, এক যুগ পরে পাকা ঘর পেয়ে আশার আলো খুঁজে পেয়েছি। জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার আজাদ জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনা উপহার এর ধারাবাহিকতায় এই প্রতিবন্ধী অসহায় পরিবারকে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তাদের বেতনের ২ লাখ টাকায় আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, সুবিধাবঞ্চিত এই প্রতিবন্ধী পরিবারকে ভাতার আওতায় এনে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।