থার্টিফার্স্ট নাইটে কড়া নিরাপত্তা

ইংরেজি বছরের প্রথম প্রহরকে (থার্টি ফার্স্ট নাইট) কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে র্যাব। এবারই প্রথম থার্টিফার্স্ট নাইটে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র‌্যাব। গতকাল র‌্যাবের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, এবার থার্টিফার্স্ট নাইট যেকোন বছরের চেয়ে ব্যতিক্রম। করোনাকালে নতুন বছরকে গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এবার থার্টিফার্স্ট নাইটকেন্দ্রিক কোন ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে র্যাব।

তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম ত্রিমাত্রিকভাবে থার্টিফার্স্ট নাইটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সাদা পোশাকধারী র‌্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে র্যাবের যে ১৫টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে, তারা নিজস্ব এলাকায় টহলের দায়িত্বে থাকবেন। সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে র্যাবের সাইবার ইউনিট বিশেষ নজরদারি চালাবে। যেকোন ধরনের জঙ্গি হামলা বা নাশকতার পরিকল্পনা রুখতে তারা কাজ করবে। অর্থাৎ এই ত্রিমাত্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে থার্টিফার্স্ট নাইটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা দিব। তিনি জানান, অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে র‌্যাব। সবাই ঘরে বসে নিজের পরিবার পরিজনদের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাস করুন।

এদিকে গত সোমবার দুপুর ১২টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান, ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টিফার্স্ট নাইটে’ উন্মুক্ত স্থানে লোক সমাগম ও কোন পার্টি করতে দেয়া হবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনক্রমেই ডিজে পার্টি করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, হোটেলগুলোতে থার্টিফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থার্টিফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না। থার্টিফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত ৮টার পর সব ফাস্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

থার্টিফার্স্ট নাইটে কড়া নিরাপত্তা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ইংরেজি বছরের প্রথম প্রহরকে (থার্টি ফার্স্ট নাইট) কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে র্যাব। এবারই প্রথম থার্টিফার্স্ট নাইটে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র‌্যাব। গতকাল র‌্যাবের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, এবার থার্টিফার্স্ট নাইট যেকোন বছরের চেয়ে ব্যতিক্রম। করোনাকালে নতুন বছরকে গ্রহণ করতে যাচ্ছি। এবার থার্টিফার্স্ট নাইটকেন্দ্রিক কোন ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে র্যাব।

তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম ত্রিমাত্রিকভাবে থার্টিফার্স্ট নাইটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সাদা পোশাকধারী র‌্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে র্যাবের যে ১৫টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে, তারা নিজস্ব এলাকায় টহলের দায়িত্বে থাকবেন। সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে র্যাবের সাইবার ইউনিট বিশেষ নজরদারি চালাবে। যেকোন ধরনের জঙ্গি হামলা বা নাশকতার পরিকল্পনা রুখতে তারা কাজ করবে। অর্থাৎ এই ত্রিমাত্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে থার্টিফার্স্ট নাইটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা দিব। তিনি জানান, অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে র‌্যাব। সবাই ঘরে বসে নিজের পরিবার পরিজনদের সঙ্গে আনন্দ-উল্লাস করুন।

এদিকে গত সোমবার দুপুর ১২টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান, ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টিফার্স্ট নাইটে’ উন্মুক্ত স্থানে লোক সমাগম ও কোন পার্টি করতে দেয়া হবে না। হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনক্রমেই ডিজে পার্টি করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, হোটেলগুলোতে থার্টিফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থার্টিফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান করা যাবে না। থার্টিফার্স্ট নাইটে সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে। সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে। তবে যথারীতি রাত ৮টার পর সব ফাস্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে।