৭ কলেজের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে আটকে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষসহ বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর নির্ধারিত তারিখগুলোয় পরীক্ষা নেয়া হবে। গত শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কার্যালয়ে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মাদ আবদুল মঈনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় পরীক্ষা নেয়ার ওই সিদ্ধান্ত হয়। সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা-প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এই সভায় নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ২০১৯ সালের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। ২০১৭ সালের স্নাতকোত্তর শেষ পর্বের (২০১৬-১৭) পরীক্ষা শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি থেকে আর স্নাতকোত্তর প্রিলিমিনারি (২০১৫-১৬) ও পুরোনো ডিগ্রি বিশেষ ব্যাচের পরীক্ষা শুরু হবে এর দু-তিন দিন পর থেকে। ২০১৮ সালের ডিগ্রি পাস তৃতীয় বর্ষ (২০১৫-১৬) ও ২০১৯ সালের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের (২০১৬-১৭) পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।

ডিগ্রি পাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১০ জানুয়ারি আর ২০১৯ সালের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে হবে। ২০১৮ সালের স্নাতকোত্তর শেষ পর্বের (২০১৭-১৮) পরীক্ষা শুরু আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। এজন্য ১৬ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া পুরোনো শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের বিশেষ পরীক্ষা দ্রুত শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে।

সাত কলেজের সমন্বয়কারী ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিসহ সার্বিকভাবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের নিয়ম অনুসরণ করে সাত কলেজের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই নির্ধারিত তারিখগুলোয় পরীক্ষা শুরু হবে। এজন্য আমরা দ্রুতই আবেদন করছি।’

আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার আরও বলেন, স্নাতক প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

ঢাবি অধিভুক্ত

৭ কলেজের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত

ঢাবি প্রতিনিধি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে আটকে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষসহ বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর নির্ধারিত তারিখগুলোয় পরীক্ষা নেয়া হবে। গত শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কার্যালয়ে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী মুহাম্মাদ আবদুল মঈনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় পরীক্ষা নেয়ার ওই সিদ্ধান্ত হয়। সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা-প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এই সভায় নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ২০১৯ সালের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। ২০১৭ সালের স্নাতকোত্তর শেষ পর্বের (২০১৬-১৭) পরীক্ষা শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি থেকে আর স্নাতকোত্তর প্রিলিমিনারি (২০১৫-১৬) ও পুরোনো ডিগ্রি বিশেষ ব্যাচের পরীক্ষা শুরু হবে এর দু-তিন দিন পর থেকে। ২০১৮ সালের ডিগ্রি পাস তৃতীয় বর্ষ (২০১৫-১৬) ও ২০১৯ সালের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের (২০১৬-১৭) পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।

ডিগ্রি পাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১০ জানুয়ারি আর ২০১৯ সালের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে হবে। ২০১৮ সালের স্নাতকোত্তর শেষ পর্বের (২০১৭-১৮) পরীক্ষা শুরু আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। এজন্য ১৬ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া পুরোনো শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের বিশেষ পরীক্ষা দ্রুত শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে।

সাত কলেজের সমন্বয়কারী ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিসহ সার্বিকভাবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের নিয়ম অনুসরণ করে সাত কলেজের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই নির্ধারিত তারিখগুলোয় পরীক্ষা শুরু হবে। এজন্য আমরা দ্রুতই আবেদন করছি।’

আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার আরও বলেন, স্নাতক প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।