আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির রাজনীতিকে কচ্ছপের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, তারা একবার মাথা বের করে, পরক্ষণেই আবার মাথা লুকিয়ে নেয়। বিএনপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে বলেই, তারা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের আগেই হেরে যায়। গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার দেশে বিএনপি শূন্য করতে চায়- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই অভিযোগ অবান্তর, সরকার বিএপিকে শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকায় দেখতে চায়। দেশের জনগণও চায় বিএনপি মেরুদ- সোজা করে দাঁড়াক। জনগণ চায় তারা স্বাধীনতাবিরোধী উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা ছেড়ে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় রাজনীতি করুক। বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় গুণগত পরিবর্তন আসে বলেও জানান তিনি।
সরকার বিভিন্ন মামলার রায়ে আদালতকে ব্যবহার করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে, উচ্চ ও নি¤œ আদালতে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে বলেই সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে না, বরং বিএনপিই দ্বিচারিতার আশ্রয় নেয় আইন-আদালতকে ঘিরে। বিএনপি মামলায় জিতলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন, আর হারলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ আগুনে যারা পোড়ায়, সন্ত্রাস নিভর্রতা যাদের আন্দোলনের চালিকাশক্তি, তাদের হাত থেকে জনগণের প্রাণ আর সম্পদের সুরক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আন্দোলন আর সন্ত্রাস এক কথা নয়, প্রতিবাদ আর সহিংসতা এক কথা নয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়েছিল বলেই সমগ্র বাংলাদেশে আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি অর্জনের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্লুমবার্গ টিভির প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারী মোকাবিলা করে আর্থসামাজিক অবস্থা ধরে রেখে বসবাস উপযোগী ধারা বজায় রাখতে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে রয়েছে এখন বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, ‘কোভিড সহনশীলতা র্যাংকিংয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ ও মানবিক নেতৃত্বের পরিচয় স্পষ্ট হয়েছে। সরকারের এই উন্নয়ন ও অর্জনের সংবাদ বিএনপি চোখে দেখে না।’
সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির রাজনীতিকে কচ্ছপের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, তারা একবার মাথা বের করে, পরক্ষণেই আবার মাথা লুকিয়ে নেয়। বিএনপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে বলেই, তারা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের আগেই হেরে যায়। গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার দেশে বিএনপি শূন্য করতে চায়- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই অভিযোগ অবান্তর, সরকার বিএপিকে শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকায় দেখতে চায়। দেশের জনগণও চায় বিএনপি মেরুদ- সোজা করে দাঁড়াক। জনগণ চায় তারা স্বাধীনতাবিরোধী উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা ছেড়ে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় রাজনীতি করুক। বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় গুণগত পরিবর্তন আসে বলেও জানান তিনি।
সরকার বিভিন্ন মামলার রায়ে আদালতকে ব্যবহার করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে, উচ্চ ও নি¤œ আদালতে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে বলেই সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে না, বরং বিএনপিই দ্বিচারিতার আশ্রয় নেয় আইন-আদালতকে ঘিরে। বিএনপি মামলায় জিতলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন, আর হারলে বলে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ আগুনে যারা পোড়ায়, সন্ত্রাস নিভর্রতা যাদের আন্দোলনের চালিকাশক্তি, তাদের হাত থেকে জনগণের প্রাণ আর সম্পদের সুরক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আন্দোলন আর সন্ত্রাস এক কথা নয়, প্রতিবাদ আর সহিংসতা এক কথা নয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তখন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত ও বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়েছিল বলেই সমগ্র বাংলাদেশে আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি অর্জনের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্লুমবার্গ টিভির প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারী মোকাবিলা করে আর্থসামাজিক অবস্থা ধরে রেখে বসবাস উপযোগী ধারা বজায় রাখতে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে রয়েছে এখন বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, ‘কোভিড সহনশীলতা র্যাংকিংয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সুদক্ষ ও মানবিক নেতৃত্বের পরিচয় স্পষ্ট হয়েছে। সরকারের এই উন্নয়ন ও অর্জনের সংবাদ বিএনপি চোখে দেখে না।’