তথ্য ও প্রযুক্তির সুফল অর্থনীতির চালিকাশক্তি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

বর্তমান সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সুফল অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় এ খাত বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনাময়ী বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের সুযোগ আসলেও তৎকালীন সরকারের অদূরদর্শী নেতৃত্বের অভাবে তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। তৎকালীন সরকারপ্রধান বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন এটির সংযোগ হলে দেশের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে এবং তথ্য পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার অদূরদর্শিতার কারণে এই সুযোগ থেকে দেশ এবং দেশের মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি এই উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু ওই সময়ে পৃথিবীর অনেক দেশ সাবমেরিনে যুক্ত হয়ে এখন তার সুফল নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গতকাল সচিবালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এক কথা বলেন। দেশের সব উপজেলা পরিষদ ভবন ব্যবহার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এমওইউ সাক্ষরিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর প্রতিটি উপজেলায় নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইডিসি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় নেটওয়ার্ক সুইচরুম, উপজেলার নেটওয়ার্ক, অপারেশন সেন্টার, উপজেলায় আইসিটি সার্ভিস ডেস্ক, উপজেলায় সিটির ট্রেনিং ল্যাব ও অফিস স্থাপনের জন্য একটি করে আইসিটি অবকাঠামো ও অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এবং লক্ষ্যমাত্রা ২০২১, ২০৩০ এবং ২০৪১-এ পৌঁছাতে হলে সরকারের সব অঙ্গকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। একত্রে কাজ করার উদাহরণ হিসেবে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের এই চুক্তি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ গার্মেন্টস শিল্প অথবা অন্য কোন শিল্প দিয়ে শুরু করলেও সব দেশ তথ্য প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমানতালে চলতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে যখন সরকার গঠন করেন তখন এদেশে ডিজিটাল সেবা বলে তেমন কোন কিছু ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে সরকারের সব সেবা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা নিয়ে অনেকে হাসি-ঠাট্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদূরপ্রসারী চিন্তা-চেতনার কারণে দেশ আজ ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৩ পৌষ ১৪২৭, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

তথ্য ও প্রযুক্তির সুফল অর্থনীতির চালিকাশক্তি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বর্তমান সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সুফল অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় এ খাত বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনাময়ী বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের সুযোগ আসলেও তৎকালীন সরকারের অদূরদর্শী নেতৃত্বের অভাবে তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। তৎকালীন সরকারপ্রধান বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন এটির সংযোগ হলে দেশের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে এবং তথ্য পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার অদূরদর্শিতার কারণে এই সুযোগ থেকে দেশ এবং দেশের মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি এই উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু ওই সময়ে পৃথিবীর অনেক দেশ সাবমেরিনে যুক্ত হয়ে এখন তার সুফল নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গতকাল সচিবালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এক কথা বলেন। দেশের সব উপজেলা পরিষদ ভবন ব্যবহার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এমওইউ সাক্ষরিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর প্রতিটি উপজেলায় নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইডিসি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় নেটওয়ার্ক সুইচরুম, উপজেলার নেটওয়ার্ক, অপারেশন সেন্টার, উপজেলায় আইসিটি সার্ভিস ডেস্ক, উপজেলায় সিটির ট্রেনিং ল্যাব ও অফিস স্থাপনের জন্য একটি করে আইসিটি অবকাঠামো ও অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এবং লক্ষ্যমাত্রা ২০২১, ২০৩০ এবং ২০৪১-এ পৌঁছাতে হলে সরকারের সব অঙ্গকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। একত্রে কাজ করার উদাহরণ হিসেবে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের এই চুক্তি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ গার্মেন্টস শিল্প অথবা অন্য কোন শিল্প দিয়ে শুরু করলেও সব দেশ তথ্য প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমানতালে চলতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে যখন সরকার গঠন করেন তখন এদেশে ডিজিটাল সেবা বলে তেমন কোন কিছু ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে সরকারের সব সেবা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা নিয়ে অনেকে হাসি-ঠাট্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদূরপ্রসারী চিন্তা-চেতনার কারণে দেশ আজ ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে।