এক মাসে ক্ষুরা রোগে অর্ধশত গরুর মৃত্যু, আক্রান্ত ২০ হাজার

বগুড়ার শেরপুরে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসে অন্তত অর্ধশত গরুর মৃত্যু হয়েছে। পৌরসভাসহ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে বিভিন্ন খামার ও কৃষকের প্রায় বিশ হাজার গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে চিকিৎসা দিয়েও এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, উপজেলায় দুগ্ধ গাভী ও ষাঁড়ের মোটাতাজাকরণ প্রায় ছয় হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে দুই লাখ ছয় হাজারের মতো গরু রয়েছে। এছাড়াও প্রায় সব কৃষকের বাড়িতেই গরু রয়েছে। এরমধ্যে সিংহভাগ গরুই কম- বেশি ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়। তবে প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে সময়মতো পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার ফলে এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন আর আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বেটখৈর গ্রামের খামারি তৌহিদুল ইসলাম বাবু জানান, তার খামারে ষাঁড় ও গাভী মিলিয়ে মোট ১৫টি গরু রয়েছে। বিগত এক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে খামারের সব গরুই ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসা দেয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে শুধুমাত্র পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের সহায়তা পাননি। এরমধ্যে বেটখৈর গ্রামের কৃষ্ণা ঘোষের একটি এঁড়ে গরু, আলম মিয়ার একটি বকনা গরু, নাকুয়া গ্রামের হোসেন আলীর একটি বকনা গরু, নিশিন্দারা গ্রামের আশরাফ আলীর একটি গাভী, টাকাধুকুরিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের একটি ষাঁড় গরু উল্লেখযোগ্য।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমির হামজা বলেন, এটি ভাইরাসজনিত রোগ। শীতকালে ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। এবারও তাই হয়েছে। এছাড়া এই রোগে গরু মারা যাওয়ার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে না পারলেও এই উপজেলার খামারি ও কৃষকের হাজার হাজার গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে আক্রান্ত গরুগুলোকে তার দফতর থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এতে করে মোটামুটি আক্রান্ত সব গরুই সুস্থ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পের মাধ্যমে সুস্থ গরুগুলোকে ক্ষুরা রোগের প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৪ পৌষ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

এক মাসে ক্ষুরা রোগে অর্ধশত গরুর মৃত্যু, আক্রান্ত ২০ হাজার

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

বগুড়ার শেরপুরে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসে অন্তত অর্ধশত গরুর মৃত্যু হয়েছে। পৌরসভাসহ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে বিভিন্ন খামার ও কৃষকের প্রায় বিশ হাজার গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে চিকিৎসা দিয়েও এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, উপজেলায় দুগ্ধ গাভী ও ষাঁড়ের মোটাতাজাকরণ প্রায় ছয় হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে দুই লাখ ছয় হাজারের মতো গরু রয়েছে। এছাড়াও প্রায় সব কৃষকের বাড়িতেই গরু রয়েছে। এরমধ্যে সিংহভাগ গরুই কম- বেশি ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়। তবে প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে সময়মতো পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার ফলে এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন আর আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বেটখৈর গ্রামের খামারি তৌহিদুল ইসলাম বাবু জানান, তার খামারে ষাঁড় ও গাভী মিলিয়ে মোট ১৫টি গরু রয়েছে। বিগত এক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে খামারের সব গরুই ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসা দেয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে শুধুমাত্র পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের সহায়তা পাননি। এরমধ্যে বেটখৈর গ্রামের কৃষ্ণা ঘোষের একটি এঁড়ে গরু, আলম মিয়ার একটি বকনা গরু, নাকুয়া গ্রামের হোসেন আলীর একটি বকনা গরু, নিশিন্দারা গ্রামের আশরাফ আলীর একটি গাভী, টাকাধুকুরিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের একটি ষাঁড় গরু উল্লেখযোগ্য।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমির হামজা বলেন, এটি ভাইরাসজনিত রোগ। শীতকালে ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। এবারও তাই হয়েছে। এছাড়া এই রোগে গরু মারা যাওয়ার সঠিক পরিসংখ্যান দিতে না পারলেও এই উপজেলার খামারি ও কৃষকের হাজার হাজার গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে আক্রান্ত গরুগুলোকে তার দফতর থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এতে করে মোটামুটি আক্রান্ত সব গরুই সুস্থ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পের মাধ্যমে সুস্থ গরুগুলোকে ক্ষুরা রোগের প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।